আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাব্লিক এহন আর ভোদাই না , ধর্ম নিয়া "রাজনীতি-ব্যবসা" আর চলতো না

এখানে বিনামূল্যে বিশ্ব-বিখ্যাত মাইন্ড বৈজ্ঞানিক দ্বারা মাইন্ড রিলেটেড এনি প্রবলেম অতি যত্ন সহকারে সলভ করা হয় । “অতি চালাকের গলায় দড়ি” বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রে এই কথাটা সবচাইতে বেশী খাটে । সিম্পলী দেশপ্রেমের চেতনা নিয়া তারা যদি চলতো , তাইলে এতো ক্যাচাল হইতোনা কি দেশের ভিত্রে – কি তাদের দলের ভিত্রে , আর জনগনো হ্যাগো লগে থাকতো – ভোট চুরি ডাহাতি দলবাজী টেন্ডারবাজী দুর্নীতি দালালী ল্ইয়া লোড় পাড়ান লাগতো না । “দেশপ্রেমিক সেই- যে মুক্তিযুদ্ধের শক্তির সাথে । আর রাজাকারের সাথে যে- হ্যায় দেশদ্রোহী” – জনগনের কাছে বিষয়টা এহন ক্লিয়ার ।

তাগারো লয়া ধান্দাবাজী ? আর সম্ভব না । ইসলামী ব্যাংকের চাইর ভাগের তিনভাগ মালিকানা দেশের বাইরে- মিডিল ঈষ্টে , দেশের হাজার হাজার কোটি ট্যাহা তারা আরামসে বিদেশে পাচার কইরা ফালাইতাছে , ধর্মের দোহাই দিয়া – জনগনরে বেকুব বানায়া । এগো কারনে বাংলাদেশ ব্যাংক সব সময় ডলার সংকটে থাকে আর দেশের দারিদ্রতার এইটাও একটা মুল কারন। তয় এহন বিষয়টা আর সহজ হইতো না , কারন জনগন এরি মধ্যে হ্যাগো বয়কট করা শুরু কইরা দিছে । আমরা ব্লগাররা চেতনার জগতে যে বিপ্লব ঘটাইয়া ফালাইলাম হেইটার ছোয়া কম বেশী আমগো রাজনীতিবিদগো বডিতেও লাগছে ।

হ্যারাও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেমিক হইতে চায় – গনজাগরন মঞ্চে সংহতি জানায়া এইটা কিছুটা হইলেও পরিষ্কার করছে । মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্লগাররা আজ জাতির বিবেক , তাগো কথায় সারা দেশ ৩ মিনিটের ল্যাইগগা দাড়ায়া যায় , তয় রাজাকাররা দাড়ায়না , হ্যারা ঘাড় ত্যাড়াতো তাই । ধর্ম নিয়া ধান্দা-বাজি ব্যবসা আর চলতো না । দেশপ্রেম যে ধর্মেরি আরেক নাম এইটা আমার নিচের লেখাটায় ক্লিয়ার করছি , দ্যাহেনতো ঠিক আছেনিঃ “কে বোঝে তোমার অপার লীলে আপনি আল্লাহ , ডাকো আল্লাহ বলে (লালন সাই)” সাইজী’ এই গানটির মাধ্যমে মানুষের অসীম সম্ভাবনার কথা বলছেন। “ক্ষুদার্থ কে অন্ন দিলে বলে- তুমি মানুষ না ফেরেস্তা ।

অথচ যখন বলা হয়- শুধু “দেশপ্রেমের চর্চা” পারে তোমাদের সুখী করতে” , তখন তারা বলে- “সবি কপালের লিখন না যায় খন্ডন” দেশপ্রেম-টেম দিয়ে কিচ্ছু হবেনা। জনগনের এমন নীরবতা দেশ বিরোধী কার্যকলাপকে আরো উতসাহ দেয় আর তাদের ধ্বংস তরান্বিত করে মাত্র। উপরের দুটি উদ্ধৃতি ধর্ম এবং রাজনীতিকে এক সুতায় গাথার প্রয়াসে উল্লেখ করলাম । ধর্মের চূড়ান্ত লক্ষ্য- সব কিছু নিজ অস্তিত্ব জ্ঞান করা অর্থাৎ সব কিছুকে আপন করে নেবার মত মানোসিকতা অর্জন করা- সার্বোজনীন প্রেম ধর্মের জয় উতসব । আর রাজনীতির চূড়ান্ত লক্ষ্য- এ উন্নত মানোসিকতার বাস্তব চর্চা ।

এ চর্চা একমাত্র সমাজতন্ত্রের সঠিক পথ ছাড়া অন্য কোন পথে সম্ভব নয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে ধর্ম ও রাজনীতি একি মুদ্রার(মানব সভ্যতার) এপিঠ ওপিঠ । একটি ছাড়া অপরটির অস্তিত্ব সব সময়ই নাজুক । আবার ধর্ম ও রাজনীতির পরষ্পর বিরোধী মতবাদ মানব সভ্যতা কে শুধু ধ্বংসের দিকেই নিয়ে যায় । তাই বিশ্বজনতার মানোসিক কাঠামোয় ধর্ম ও রাজনীতির সঠিক সমন্বয় ছাড়া এ ধ্বংস যাত্রা থেকে উত্তরনের বিকল্প আর কোন পথ নেই ।

এ বিষয়টা আরো সহজ করে বলতে গেলে আমাদের বাস্তবতা কে পরিষ্কার বুঝতে হবে । বাস্তবতার দুটি অংশ- বিমূর্ত সুচেতনার জগত আর মুর্ত জগত । আর যা সুচেতনা তাই ধর্ম। প্রেমের সৌরভ-শান্তি হয় যদি সুচেতনা তবে ফুল রূপে এর মুর্ত প্রকাশ । ফুল ঝরে যায় অথচ চেতনা থেকে চেতনায় বয়ে চলে প্রেমের সৌরভ-শান্তি , চীর অমলিন ।

সুচেতনা হচ্ছে পিলার আর মুর্ত জগত হচ্ছে বিল্ডিং । তাই সুচেতনা ছাড়া মুর্ত জগত সহজেই ধসে পরে । সুচেতনা হচ্ছে ভালোলাগা ভালোবাসা , যা জটিল পরিস্থিতিতেও প্রান সঞ্চার করে সুন্দর । সুচেতনা মানে নিজেতে গুটিয়ে থাকা না বরং নান্দনিক মূর্ত প্রকাশি এর স্বাভাবিক প্রবনতা । আর মানবতা প্রতিষ্ঠায় সুস্থ্য রাজনীতির চর্চা- সুচেতনার চূড়ান্ত গন্তব্য ।

দারিদ্রতা আর কিছু না শিক্ষিত জনগনের দেশপ্রেমমূলক রাজনীতিতে উদাসিনতার ফল । গরীব দেশের “রাজনীতিবিদদের-মন” পুটি মাছের আর “শিক্ষিত জনগনের-মন” কাচকি মাছের । তো কি আর করা , ব্যবসায়ীরা আরামসে পুটি আর কাচকি মাছের ভাগা দিয়ে তাদের বেচাকেনা করে আর দেশ যেই গরীব সে গরীবি থেকে যায়। কেবলমাত্র মৃত্যুকে বুড়া আঙ্গুল দেখানো বড় মনের মানুষি পারে এই বেচাকেনা বন্ধ করে দেশ কে উন্নত করতে । মানবজাতী একটাই পরিবার।

সবাই আমার মা-বাবা ভাই-বোন সন্তানতুল্য। সার্বোজনীন পরিবার-চেতনা জনগনের মন-মগজে গেথে দিতে এগিয়ে আসেন এক মানুষ রতন । সে শুধু দিতেই আসে , নিতে না । তাই সে মাইন্ডও খায় না । সমুদ্রের মত উদার আর বিশাল সে ।

বস্তু ধন নয় , মনের ধনে ধনীই আসল ধনী । তাইতো দেখা যায় মনে যে দেশের মানুষ ধনী , সেই দেশও ধনী । রাস্ট্রের উন্নতিতে বড় মনের মানুষের অবদান বেশী থাকে । উদারতা , নান্দনিকতা , যৌবনের সাবলীলতা , শিশু সুলোভ সরলতা , মাতৃ সুলোভ মমতা – এই গুন গুলো একজন মানুষ কে সবার কাছে প্রিয় করে তোলে । তার সান্নিধ্য পেতে সবাই চাতক পাখির মত থাকে উদগ্রীব ।

তার ব্যক্তিত্বের স্নিগ্ধ ছায়াতলে সবাই পায় আশ্রয় । তাই জনপ্রিয় মানুষ যা চায় তাই হয়ে যায় । তার উন্নতি কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারেনা ।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.