আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটুস খানি ফিজিক্স: নয়া বোতলে পুরান জিনিস: লার্জ হেড্রন কোলাইডারের একটা খবর!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
ভাইয়েরা আমার আর ফিজিক্স প্রিয় বোইনেরা আপনের কেমুন আছেন? আইজকা একটু ফিজিক্সের একটা পুরান বিষয় নিয়া নতুনভাবে বাতচিৎ করবার চাই সেইটা হইলো লার্জ হেড্রন কোলাইডার! যদি হাত তুইলা কন এইটা কি? আমি কমু কিছু না! আর পড়নের দরকার নাই। আর যদি কন নামখান মনে হয় শুনছি তাইলে তারে কই এইটা দিয়া অনুগুলানরে ধইরা ধইরা ভাইঙ্গা গুড়া গুড়া কইরা ফেলায়! মানে গুড়া কইরা মিহি করনের জিনিস আর কি! কিছু অতীত জাননের লিগা! ইন্টারন্যাশনাল লিনিয়ার কোলাইডার বা আইএলসি -১! ইন্টারন্যশনাল লিনিয়ার কোলাইডার-২! লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার কিভাবে কাজ করবে?-১ ইন্টারন্যশনাল লিনিয়ার কোলাইডার-২! লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার কিভাবে কাজ করবে?-২ লার্জ হেড্রন কোলাইডরকে কি টাইম মেশিন বানানোর ফ্যাক্টরী বলা যায়? প্রচলিত পদার্থবিজ্ঞান অনুসারে সম্ভাবনাসমূহ! একটা বদ নিউজ শেয়ার করি! কোনো ভালো খবর নাই আজ! একটা খবর শেয়ার করি, পুরো মাথা নস্ট খবর! একটা খবর শেয়ার করি, পুরো মাথা নস্ট খবর! এইটা এই যাবৎকালের সবচেয়ে বড় অনুগুড়াকারী মেশিন যেইটা তার কাজ এই শীতকালে (এইডা কিন্তু ইউরোপের শীতকাল) শুরু করছে যদি এইটার গতরের শক্তির অর্ধেক শক্তি দিয়া কাজ করন হইতাছে! যাই হোউক আজকা কিছু কঠিন জিনিস নিয়া বাতচিত করুম না খালি কিছু খবর কইয়া যাই। যারা ডিটেলস জানবার চান লিংকে গিয়া কিলকাইয়া কস্ট কইরা পইড়া আসেন! মাথা ঘুরলে আমারে বইকেন না! এখন কইবার পারেন পুরা গায়ের জোর না লাগাইয়া অর্ধেক কেনো লাগাইলো? উত্তরে কি কমু আর! আপনে জিগাইবারই পারেন, বুলগে মানুষ আহে গাবানীর লিগা, কে আহে আপনের মতো জিগাইতে, কারই অতোবড় মুখ আছে! যাই হোউক উত্তর হইলো গত বসন্তকালেও (এইডাও ইউরোপের বসন্তকাল, দুঃখ কইরা অখন আবার ইউরোপ যাইবার চাইয়েন না!) এইডা চালু করতে গিয়া দেখা গেলো ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ কোলাইডারের ভিতর দিয়া প্রথম বীম সন্ঞ্চালনের ৯ দিন পর সুপারকন্ডাক্টিভিটির জন্য তৈরী ম্যাগনেট গুলান গইলা গেলো বেশ কয়েকটা জায়গায়। তবে বৈজ্ঞানিকরা অখনও কইতাছে এই অর্ধেক শক্তিতে চালানোর পরও যেই শক্তির উদ্ভব ঘটছে সেইটার পরিমান অখনো খুব বেশী এবং এই ভাবে চলতে থাকলে সামনের বছর এর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্ধী ইলিনয়েসের বাটাভিয়ায় অবস্হিত ফার্মি ন্যাশনাল কোলাইডারকে ছাড়িয়ে যাবে।

অবশ্য অখনও পর্যন্ত বাটাভিয়ার এই বুড়া কোলাইডারটাই টপচার্টে আছে অনুগুড়া করনের শক্তিতে! আসলে বৈজ্ঞানিকগুলান হাজার হাজার ম্যাগনেটগুলান সুপার কুলড ট্যাম্পারেচারে রাইখা চৌম্বাকায়িত করায় রাখনের দায়িত্বে আছে এই জন্যই যে এই চৌম্বকত্ব দিয়াই প্রোটন বীম গুলানরে গাইড কইরা নিয়া যাওয়া হয়। এইখানে কিছু ত্রুটিযুক্ত কানেকশন ছিলো সেগুলা ঠিক করানো হইছে এবং ঠিক এইসময়টায় এগুলান যেনো ওভার লোড না হইয়া যায় সেইব্যাবস্হাও করতাছে! তবে এইখানে একটা কথা: কারেন্টের পরিবহন কি তাইলে এই ত্রুটিযুক্ত কানেকশনের মধ্য দিয়া যাইবো? এইডা তো ভারী সর্বনাইশা কথা কারন এই কোলাইডার নাকি ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট! আবার কুশ্চেন করলে কি আর ঠেকানো জোর আছে আমার, কুশ্চেন করবারই পারেন আর আমি থুক্কু বৈজ্ঞানিকরা এর উত্তর দিতে বাধ্য! যাই হোউক, কারেন্ট নিশ্চয়ই এইসব ত্রুটিযুক্ত কানেকশনের ভিতর দিয়া প্রবাহিত হইবো না, কারন কারেন্টের পরিমান হইলো কয়েক হাজার এ্যাম্পিয়ার। এই পরিমাণ কারেন্ট যখন ম্যাগনেটের ভিতর সুপার কুলড অর্থাৎ সুপার কন্ডাক্টিভ তারের মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইবে তখন অবশ্যই তাপ উৎপন্ন হইবে এবং কোনো রেজিস্ট্যান্স ছাড়াই এর বিদ্যুৎ প্রবাহের সামর্থ্য হারাবে (এইটা সাধারন ইলেক্ট্রিক্যাল নিয়ম)। সেই জন্য অর্ধেক পাওয়ারে চলনের অর্থ হইলো একটু রক্ষণশীল পলিসি নিয়া চলা। এইখানকার ডিরেক্টরের কাছে এর সেফটি মারজিন হইলো ২ অথবা ২৫।

তবুও না বললেই নয় এই অর্ধেক পাওয়ারে চলতে থাকলে সামনে বছরে এটার মাধ্যমে যেসব সাবএ্যাটোমিক পার্টিক্যাল দেখনের সম্ভাবনা আছে সেগুলা টেভাট্রনেও দেখার সম্ভাবনা নাই---এই মত দিছে সার্নের ফেবিওলা জিনাট্টি যিনি এলএইচসির এ্যাটলাস ডিটেক্টরে কর্মরত ২৫০০ কর্মীর পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন যেকোনো প্রেস রিলিজে। অখন এইখানেও আপনি হাত তুইলা কারন খান জিগাইতে পারেন আর এইটারও কারন না কইয়া যামু না। টেভাট্রন প্রোটন গুলানরে এ্যান্টপ্রোটনে গুড়া করে ২ টেরা-ইলেক্ট্রন ভোল্টে, যেইখানে এলএইচসির সক্ষমতা হইলো ১৪ টেরা-ইলেক্ট্রনভোল্টে। আর যেহেতু অর্ধেক ক্যাপাসিটি ব্যাবহার করা হইতাছে সেহেতু এ শুরুই করতাছে ৭ টেরা-ইলেক্ট্রনভোল্টে। এরকম এই বছর ভইরা ৭ টেরা-ইলেক্ট্রনভোল্টে গুতাগুতি করতে থাকলে সুপার সিমেট্রি থিওরী অনুযায়ী সেইসব নতুন পার্টিক্যালের দেখা পাওন বেশ ভালো ভাবেই সম্ভব যেটা টেভাট্রনের পসিবল না।

কারন এইসব পার্টিক্যাল পাইতে হইলে ৬ টেরা-ইলেক্ট্রনভোল্টও অপ্রতুল- জিয়ানাট্টি চামে হিসাব কইরা বইলা ফেলাইছে! কেউ কেউ অবশ্য ৭ টেরা-ইলেক্ট্রনভোল্টকেরও সাফিশিয়েন্ট মনে করতাছে না। ইম্পেরিয়াল কলেজের তিজেন্দর ভার্দ যিনি মূলত সিএমএস এ কর্মরত ৩৬০০ বৈজ্ঞানিককে লীড করছেন, তেনার মতে, সামনের বছরের শেষের দিকে সার্নের কর্মকর্তারা যখন ১০ টের-ইলেক্ট্রনভোল্টে সংঘর্ষ ঘটাবে ঠিক সেই মূহুর্তে যে পরিমান ডাটা গুলো ডাম্প করা হবে সেগুলোর কাছে ৭ টেরা-ইলেক্ট্রনভোল্টের ডাটা কিছুই মনে হবে না! যাই গা, মেলা ফাউ প্যাচাল পারলাম! ভুল হইলে নিজগুনে ক্ষমা কইরেন!
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.