আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিজিটাল বাং‌লাদেশ‍-১ মধ্যরাতে কাপড়ে মুখ ঢাকা লোকজন সরিয়ে নেয় জিয়ার প্রতিকৃতি



ঢাকা, আগস্ট ০৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, সোমবার মধ্যরাতে কাপড়ে মুখ বাধা একদল লোক বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের তোরণ থেকে জিয়ার প্রতিকৃতি স্ট্যান্ড থেকে কেটে সরিয়ে নেয়। স্টেডিয়াম এলাকার ওইসব প্রত্যক্ষদর্শী পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি। এ ঘটনার ব্যাপারে মঙ্গলবার দিনভর সংশি�ষ্ট মন্ত্রী বা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়ার প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলার সুপারিশ করে। তাদের যুক্তি ছিল বঙ্গবন্ধুর নামে স্টেডিয়ামে অন্য কারো প্রতিকৃতি থাকা অবাঞ্ছনীয়।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পাহারায় রাতে ছয় জন নিরাপত্তা কর্মী থাকলেও এমন ঘটনা ঘটে। সোমবার রাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে কারা ছিলেন এ বিষয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনএসসির এক কর্মচারী জানান, মশালের পাশ থেকে ম্যুরাল অপসারণ করা হলেও ভিআইপি গ্যালারির পাশের প্রতিকৃতিটি ভেঙে ফেলাই হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রবেশের সবগুলো দরজাতেই তালা ঝুলতে দেখা যায়। বেলা দু'টার পর স্টেডিয়ামে অবস্থিত ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোতে ঢোকার জন্য কয়েকটি গেট খুলে দিলেও বাকিগুলো বন্ধ থাকে।

সকাল থেকেই এনএসসি টাওয়ারের সামনে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন ছিল। স্টেডিয়াম এলাকার পরিবেশ ছিল থমথমে। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে দুপুরের পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব শফিক আনোয়ার এবং পরিকল্পনা পরিচালক আব্দুর রহমানকে তাদের অফিসে খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি। এর আগে বিকাল চারটায় এনএসসির অভ্যর্থনা বিভাগ এবং সচিবের ব্যক্তিগত কর্মচারীরা জানান শফিক আনোয়ার এবং আব্দুর রহমান সচিবালয়ে আছেন।

বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারের তিনটি সেল ফোনই বন্ধ পাওয়া যায়। ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান জাহিদ আহসান রাসেলের সেল ফোনে একাধিকবার যোগযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবারই ফোন ধরেছেন তার পিএ। যতবারই ফোন করা হয়েছে তিনি পরে যোগাযোগ করতে বলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ আগের মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর দেশের প্রধান স্টেডিয়াম 'ঢাকা স্টেডিয়াম' এর নাম বদলে 'বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম' করা হয়।

এরপর ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টের আগে উত্তর গেটের মশালের এক পাশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি বসানো হয়। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৩ সালে মশালের অন্যপাশে জিয়ার প্রতিকৃতি বসানো হয়। বিগত চারদলীয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু এবং জিয়ার প্রতিকৃতির মাঝখানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রতিকৃতিও বসিয়েছিলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এবার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরই তা সরিয়ে নেওয়া হয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.