আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখ হাসিনা কে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হৌক! প্রসঙ্গঃক্রসফায়ার বন্ধ তাই বাংলাদেশে বর্তমানে সন্ত্রাসী-ছিনতাইকারীদের ১০০% মানবাধিকার রক্ষিত!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
আজকের এই লেখার কারণ হচ্ছে নিম্নের এই লিংক টি; Click This Link একজন নিরীরহ মানুষ কে বর্বরের মতন ছিনতাইকারীরা হত্যা করল সেটা ভেবেই শংকিত হয়ে উঠি। এই সরকারের তথাকথিত মানাবাধিকারের মায়াকান্না আসলে খুনী-ছিনতাইকারী-সন্ত্রাসী-চাদাবাজ-টেন্ডারবাজ-দখলবাজদের একান্ত পৃষ্ঠপোষক। তা না হলে হাইকোর্টের রায় যে ক্রসফায়ার অবৈধ ঘোষণার পর পরই ক্রমেই এই সমস্ত খুন-যখম সমানে বাড়বে কেন? পুলিশ, RAB সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কি জানে না যে কারা এই অপরাধ করে? স্রেফ বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি, নেতারা এদের গডফাদার হওয়াতে পুলিশ, RAB এদের কে গ্রেফতার করতে পারে না। কারণ হাসিনাই চান না এরা গ্রেফতার ও অপরাধের মাত্রা কমে আসুক। বিগত ৭ বছর লুটপাট করতে পারে নি বিধায় আজকে ফ্রি ষ্টাইলে ছিনতাই-চাদাবাজী-খুন-যখম সহ ভয়ংকর অপরাধ একের পর এক ঘটে চলেছে।

যদি মহাজোট সরকার সত্যিই দিনবদলের তথা ভালোর জন্য সরকার হত তো অপরাধীদের ক্রসফায়ারের মাধ্যমে দমন করতে পারত। কারণ হাইকোর্টই হৌক আর সুপ্রিম কোর্টই হৌক তারা কোন কালেই ফৌজদারী প্রশাসনের সহায়তা পাবে না এই ক্রসফায়ারের ক্ষেত্রে। এই সব সাজানো ঘটনায় কোন অপরাধী কে মারা হলে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কেউই বিচার বিভাগের কাছে স্বাক্ষী দিবে না যে নিহত অপরাধী কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হত্যা করেছে। বিএনপি-জামাত সরকারের সময় ২/৩ টি ঘটনা ছাড়া বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ জনগণ সকল ক্রসফায়ারে নিহত অপরাধীদের পতনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি আলীগ, মানাবাধিকারের নামে কিছু হিজড়া সংগঠন, বেশ্যার চেয়েও অধম কিছু আইনজীবি যাদের টাকা উপার্জন কমে গিয়েছিল।

তাই অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে আমরা পুনরায় ১৯৯৬-২০০১ এর ভয়াল সন্ত্রাসের যূগে চলে গেছি। প্রকৃতপক্ষে এই ধরণের দিন বদলই আওয়ামী-বাকশালী গং চেয়েছিল। নতুবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর হলে ৭ দিনের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হতে বাধ্য। কিন্ত ৬ মাসে যখন বিগত ৭ বছরের চেয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি ঘটছে সেই মাপকাঠিতে বলা চলে শেখ হাসিনা চাচ্ছেন বলেই উল্লেখিত অপরাধীরা দিন কে দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে যেখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঠুটো জগন্নাথ। উপরন্ত তারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কে রীতিমত চ্যালেঞ্জ করছে যে পারলে ঠেকাও, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আমাদের সাথে আছেন।

সে যাই হৌক শেখ হাসিনার ডিজিটাল মহাজোট সরকার যখন খুনী-ছিনতাইকারী-সন্ত্রাসী-চাদাবাজ-টেন্ডারবাজ-দখলবাজদের সম্পূর্ণ মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছেন তাই তাকে বাংলাদেশের অপরাধীদের মানবাধিকার রক্ষার জন্য শান্তির ক্ষেত্রে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হৌক! ব্লগারগণ কি বলেন?
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।