আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার ক্ষ্যাত জীবন এবং একটি জন্ম দিনের পার্টি



গতকাল দুপুরে জন্মদিনের পার্টির একটা দাওয়াত ছিল স্থানীয় একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে, অবশ্য একার না। আর পার্টি টা ও বন্ধৃ বান্ধবদের নিয়ে। আমার আবার অফিসে এমন চাপ যে, কখন বের হতে পারি ঠিক নেই। তাই অপরাজিতাকে বলে এসছিলাম সে যেন চলে যায়, আমি পরে পৌছে যাব। অফিসে আমার পোষাক আশাক দেখে অনেকে ভূল করে কারন জিন্স টি শার্ট আমার ফেবারিট আর শেভ কখন ও নিয়মিত করি না।

কাল ও তার ব্যতিক্রম ছিল না। যাই হোক ২ টা নাগাদ অফিস থেকে বের হয়ে ২:৩০ নাগাদ চাইনিজ রেষ্টুরেন্টের গেটে পৌছালাম। রিক্সা থেকে নামতে দেখে আর পোষাক আশাক দেখে রেষ্টুরেন্টের কর্তব্যরত প্রহরী সালাম তো দূরে থাক বাঁকা চোখে একবার তাকালো। ভিতরে ঢুকেই দেখি, অপরাজিতার ক্লাসমেটদের লাইন পড়ে গেছে। এরা আবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ না, তাই আমি চিনি না আর তারা ও আমাকে চেনে না।

কেউ কেউ আড়চোখে আমার দিকে একটু তাকিয়ে নিজেদের জগতে ডুবে গেল। এমন সময় অপরাজিতা আমার দিকে যে দৃষ্টিতে তাকাল তাতে আমার আত্না খাঁচা ছেড়ে পালাতে পারলে বাঁচে। আমিও মুচকি হাসি দিলাম। যাই হোক ানিচ্ছা সত্বেও অপরাজিতা সবার সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিলো এবং মজার ব্যাপার হলো আমি যেন ভূল করে কোন নারী রাজ্যে চলে এসেছি, আমি ছাড়া সেখানে সবাই নারী। কোনরকমে খাবারটা খেয়ে নিয়ে গল্প জমিয়ে দিলাম, কেউ কেউ আমাদের আসরে সঙ্গী হলো আবার কেউ কোক এর গ্লাস হাতে নিয়ে অন্য টেবিলে অন্য আড্ডায় সামিল হলো।

আমার আবার অফিসে ফেরার তাড়া ছিল, তাই অপরাজিতাকে তাগিদ দিরাম। ফেরার পথে আমার টি-শার্ট আর জিন্স পরার উপর আজীবন ১৪৪ ধারা জারি হলো। আর সন্ধ্যায় বাসায় পিরে দেখি একগাদা শার্ট আর প্যান্টের কাপড় বাসা ভর্তি এবং সম্ধ্যা বেলাই ছুটতে হলো টেইলার্সে। হায়রে কপাল নিজের মত চলব পোষাক পরব সে উপায় ও নেই

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.