আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারুণ্যের আরেকটি মহান উদ্যোগ-স্বেচ্ছায় ফ্রিল্যান্সিং শেখানো।

সবার আমি, আমার দেশ। আজ আমরা তথ্যপ্রযুক্তির শীর্ষ যুগে বাস করছি। আমাদের দেশ উন্নয়নশীল দেশ হলেও প্রতিবেশী সকল দেশের ঈষা হয়ে আমরা আমাদের তরুণ সমাজের সাফল্য নিয়ে আমরা খুব দ্রুত উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছি। এটা কেবল সম্ভব হলো, আপনাদের মত সচেতন তরুণ সমাজের আত্নত্যাগ, মেধা, আর কঠোর পরিশ্রমের সমন্বয়ে। কিন্তু এখনো আমাদের দেশে হাজারো শিক্ষিত তরুণ বেকার।

এদের বেশীরভাগের প্রযুক্তি জ্ঞান সীমিত। তাই তারা বর্তমান যুগের তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারছে না। কারণ তাদের তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানের অভাব অথবা তারা সঠিক শিক্ষা পাচ্ছে না। ফলে একদিকে তারা দেশের উন্নয়নের পথে অন্তরায়, অন্যদিকে সমাজে তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। আর অথচ সামান্য প্রযুক্তি জ্ঞান নিয়ে তাদের চেয়ে অনেক কম শিক্ষিত তরুণ সমাজ বর্তমানে নিজেদের অবস্থা পরিবর্তনের পাশাপাশি দেশের জন্য বয়ে আনছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের স্বপ্ন: উপরোক্ত বিষয়সমুহ চিন্তা করে, আমাদের তরুণ যুবক ভাইদের প্রযুক্তির সঠিক প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে, তাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে দেশের উন্নয়নে অংশ নিতে, পাশাপাশি বেকার সমস্যা দুর করে তরুণদের স্বাবলম্বি করতে, আমাদের বাচাইকৃত কিছু মেধাবী তরুণ ও পেশাদার ফ্রিল্যান্সার এবং দেশের সব স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এক্যবদ্ধ হয়েছি।

এই সকল ফ্রিল্যান্সার ও শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় দ্বাদশ থেকে স্নাতক পযার্য় পযর্ন্ত সকল বেকার যুবকদের বিনামুল্যে প্রযুক্তি শিক্ষার প্রশিক্ষণ দিবেন। কিভাবে সম্ভব: আমরা প্রথমে প্রতিটি জেলা থেকে ৫জন করে প্রতিনিধি নিবো। তাদের প্রত্যেককে আমাদের ফ্রিল্যান্সাররা ৫টি ভিন্ন প্রোগ্রাম এবং উক্ত প্রোগ্রামের সাথে সম্পৃক্ত ফ্রিল্যান্সিং শেখাবেন। তবে জেলা প্রতিনিধিকে অবশ্যই ইংরেজীতে ভালো হতে হবে এবং একটি ইন্টারনেট সংযুক্ত পিসি, ল্যাপটপ থাকতে হবে। প্রতিনিধিকে ইন্টারনেট এর ভালো ব্যবহার জানতে হবে।

জেলা প্রতিনিধি থেকে আমরা দক্ষতার ভিত্তিতে প্রতিটি বিভাগের জন্য দুজন বিভাগীয় প্রতিনিধি নিবার্চন করবো। জেলা প্রতিনিধিরা দুভাবে প্রোগ্রামটা শিখতে পারবেন। ১. ইন্টারনেট এ টিমভিউয়ার এবং স্কাইপে এর মাধ্যমে। ২. সরাসরি আমাদের অফিস এ এসে। প্রতিটি প্রোগ্রামের মেয়াদ ২ থেকে তিনমাস।

সপ্তাহে ৬ দিন তিন ঘন্টা করে। তাই যারা সরাসরি অফিস থেকে শিখবেন, তাদের ঢাকায় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা নিজেদের দায়িত্বে করতে হবে। জেলা পযার্য়ে মেম্বারদের শিখানো শেষ হলে তাদের একটা আইডিকার্ড দেওয়া হবে এবং প্রতিটি জেলা প্রতিনিধি তাদের জেলার অন্তর্গত উপজেলা মেম্বারদের শেখাবেন। জেলা প্রতিনিধিগণ প্রতিটি উপজেলা থেকে ২০ থেকে ৩০ জন করে শিক্ষিত বেকার যুবকদের বাচাই করবে। এরা ইউনিয়ন প্রতিনিধি।

প্রতিনিধির শর্ত থাকবে প্রতিনিধির একটি ইন্টারনেট সংযুক্ত পিসি, ল্যাপটপ থাকতে হবে। জেলা প্রতিনিধিগণ(৫ জন) প্রতিটি উপজেলা প্রতিনিধিকে বিনামূ্ল্যে তাদেরকে শেখানো প্রোগ্রাম সমুহ একইভাবে শিখিয়ে দেবে। সকল উপজেলা প্রতিনিধি নুন্যতম মাধ্যমিক পাশ হতে হবে। কোথায় হবে ট্রেনিং সেন্টার: আমরা জেলা প্রতিনিধিদের আমাদের ফ্রিল্যান্সার, ডিজাইনার দ্বারা সরাসরি অফিস বা অনলাইনে শেখাবো। প্রতিটি প্রতিটি ক্লাসে ২০ জন/৪ জেলা অংশ গ্রহণ করবে।

এবং দৈনিক ৫টি ক্লাশ হবে। এভাবে পুরো বছর আমাদের কাযর্ক্রম চলবে। আর উপজেলা প্রতিনিধিগণ নিজ নিজ জেলায় যেসব কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার আছে সেখানে আমরা তাদেরকে আমাদের জেলা প্রতিনিধি কতৃর্ক প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিব। তবে প্রতিটি প্রতিনিধিকে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক গ্রুফের মেম্বার হতে হবে। কিভাবে প্রতিনিধি হবেন? এই জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে মেম্বার নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করতে আমাদের উপজেলা,জেলা ও বিভাগীয় প্রতিনিধি আবশ্যক।

যারা আমাদের কার্যক্রমের শিক্ষার্থী, প্রশিক্ষক,বিভাগ, জেলা,উপজেলার প্রতিনিধিত্ব করতে চান তারা আমাদের গ্রুপে(http://www.facebook.com/groups/infonetbd/ ) সদস্য হউন। আরো বিস্তারিত আমরা গ্রুপে আলোচনা করেছি। বেকার তরুণ সমাজকে উন্নয়নের হাতিয়ারে পরিণত করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। কেউ যদি আমাদের এই উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আর্থিক সহযোগীতার হাত বাড়াতে চান, তারাও আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। (আমাদের গ্রুপের মেম্বার হয়ে)।

আপনাদের যেকোনো রকমের সাহায্য আমাদের কাম্য । প্রতিনিধিদের শর্তসমূহ: . প্রতিনিধিকে নুন্যতম এসএসসি পাশ হতে হবে। . ইংরেজীতে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। . একটি ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটার/ল্যাপটপ। . অবশ্যই নির্ধারিত জেলায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হবে।

. অবশ্যই আমাদের উপজেলা মেম্বারদের শেখাতে বাধ্য থাকবে। . উপজেলা মেম্বারগণ নুন্যতম ৫ জন বেকার-যুবককে শেখাতে হবে। শেষকথা: আমাদের দেশমাতা, আমরা সবাই তার সন্তান। তাই নিজে একা না এগিয়ে আসুন সব ভাইকে/বোনকে নিয়ে এগিয়ে চলি। ১৯৭১ সালে ভাইয়েরা/বোনেরা নিজের জীবন দিয়েছেন দেশের জন্য, আমাদের জীবন দিতে হবে না, এই দেশমাতাকে সব তরুণ এক হয়ে এগিয়ে নিতে একটু সাহায্যের হাত বাড়ালেই হবে।

সেটা আপনি প্রশিক্ষক হয়ে, বিভাগ, জেলা, উপজেলা, প্রধান হয়ে, কিংবা আর্থিক সহযোগীর মাধ্যমেও হতে পারেন। আপনাদের সাহায্য কামনা করছি । । আমাদের গ্রুফে যোগ দিতে এখানে যান: http://www.facebook.com/groups/infonetbd ) ধন্যবাদ । ইব্রাহিম আকবর(http://www.facebook.com/w3cibrahim ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।