কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
চারিদিকে পুষ্টিহীন মানূষ। পুষ্টি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
সরকার চাইলেও প্রতিটি মানূষকে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ানো সম্ভব নয়। আমাদের খামারীদের যা উৎপাদন ক্ষমতা তা দিয়ে মাসের মাত্র তিন দিন সবাই কে বিতরন করা সম্ভব।
প্রতি মাসে আমরা উৎপাদন করতে পারি মাত্র ৪৫কোটি ডিম।
যে কারনে ডিমের চাহিদা থাকায় দাম থাকে উর্ধ্য মুখি।
বিশাল বেকার জনগোষ্ঠির যদি ১০ ভাগ জনশক্তিকে এই কৃষিজ উৎপাদন ক্ষাতে নিয়োগ দেয়া যেত এবং তার সাথে সরকারের সর্বাত্বক সহযোগিতায় উৎপাদন খাতে এবং নুতন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা অনেক সহজতর হতো।
পোল্ট্রি লেয়ার বয়লার মুরগীর মনোপলির কারনে এই শিল্পের সাথে স্ব-উদ্যোগে নিয়োজিত এই শ্রেণীর উদ্যোগতারা বেশ বেকায়দায়।
১২ মাসে ১২টা দামে বাচ্চা কিনতে হয়। কি এমন ঘটনা ঘটে যে একটি বাচ্চার দামের ক্ষেত্রে ২০থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত পার্থক্য দেখা যায়।
ঘনবসতিপূর্ন দেশে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে স্ব-উদ্যোগে সরকারের সহযোগিতা ছাড়া যে শিল্পটি গড়ে উঠেছিল এই শিল্পকে ঘিরে সরকারের কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নাই। বয়লার মোরগ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারনে রপ্তানি করতে পারি না। যখন রপ্তানির চিন্তা শুরু করা হয় তখন মানূষ সৃষ্ট বিভিন্ন ভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। যা অনেক সময়ে আমাদের দেশের পোল্ট্রিকে ধ্বংস করার জন্য এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের আগে ব্যাপক ভাবে প্রচার করে বঞ্চিত করা হয়। রপ্তানি খাতে সুবিধা থাকা স্বত্তেও পোল্ট্রির বাজার ধরতে পারছি না।
সরকার যদি এই খাতের বহুজাতিক বাচ্চা উৎপাদকারী সংস্থাগুলোর মনোপলি ভেঙ্গে দিয়ে সাধারন খামারিদের ক্রয় সীমার মধ্যে নিয়ে আসতে পারতো তাহলে কেজি প্রতি দাম অনেক নিয়ন্ত্রনে মানূষের ক্রয়সীমার মধ্যে থাকতো । আমাদের এই খাত সাধারন মানূষের পুষ্টির ঘাটতি পুরনে ব্যাপক ভুমিকা রাখতে পারতো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।