আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খৃষ্টান ধর্মে নারীর মর্যাদা : সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

---
খৃষ্টান ধর্মে নারীকে চরম লাঞ্ছনার নিম্নতম পংকে নিমজ্জিত করা হয়েছে। খৃষ্টধর্ম মতে মানব জাতির স্বর্গ হতে পাপ-পংকিল দুনিয়ায় আগমনের জন্যে নারীই দায়ী। সত্যি কথা এই যে , বিবি হাওয়া (Eve) হচ্ছে শয়তান প্রবেশের দ্বারপথ। ঈশ্বরের আনুগত্য ভঙ্গ করার কাজ সেই সর্ব প্রথম শুরু করে। এ কারণে নারী সমাজেরও অনুরুপ পাপ কাজেরই উদগাতা হওয়া স্বাভাবিক | তাই খৃষ্টধর্ম মতে নারীরা হচ্ছে শয়তানের বাহন, নারীরা হচ্ছে এমন বিষধর সাপ যা পুরুষকে দংশন করতে কখনো কসুর করেনি।

এসব কারণে দুনিয়ার বিভিন্ন সমাজ ও সভ্যতায় নারী জাতির মর্মান্তিক অবস্থা দেখা দিয়েছে। এথেন্সবাসিরা হচ্ছে সভ্যতা ও সংস্কৃতির ইতিহাসে উল্ল্যেখযোগ্য প্রাচীনতম জাতি। কিন্তু সেখানে নারীকে পরিত্যক্ত দ্রব্য-সামগ্রির মত মনে করা হত। ব্লগের অনেকেই হয়তো তা মেনে নিতে চাইবেন না। যাই হোক , হাটে বাজারে প্রকাশ্যে নারিকে বেচাঁকেনা করা হত।

শয়তান থেকেও অধিক ধিকৃত ছিল সেখানে নারী। ঘরের কাজকর্ম করা এবং সন্তান প্রসব ও লালন-পালন ছাড়া অন্য কোন মানবীয় অধিকার তাদের ছিল না। প্রত্যেক পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখতো । এমনকি নারী বাধ্য হত একাধিক পুরুষের যৌন চাহিদা নিবৃত্ত করতে। গ্রীকদের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা কি ছিল , তা তাদের একটি প্রবাদ বাক্য থেকেই অনুমান করা যায় ।

“ আগুনে জ্বলে গেলে ও সাপে দংশন করলে প্রতিবিধান সম্ভব; কিন্তু নারীর দুস্কৃতির প্রতিবিধান অসম্ভব। ” জনৈক পাদ্রির মতে নারী হচ্ছে শয়তানের প্রবেশস্থল। তারা ঈশ্বরের মান-মর্যাদার প্রতিবন্ধক ও মানুষের পক্ষে তারা বিপজ্জনক। পাদ্রি মহোদয় আরোও বলেছেন “ নারী সব অন্যায়ের মূল, তার থেকে দূরে থাকাই উচিৎ। নারী হচ্ছে পুরূষের মনে লালসা উদ্রেককারি, ঘরে ও সমাজে যত অশান্তি সৃষ্টি হয় সব তারই কারণে।

” এবার অত্যান্ত দুঃখজনক হলেও একটি সত্যে ঘটনার উল্ল্যেখ করতে হচ্ছে। ৫৮৬ সালের ঘটনা। ফ্রান্সে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বহু গবেষক পন্ডিত ব্যক্তি সেই সম্মেলনে অংশগ্রহন করেন। তারা বহু আলোচনা গবেষণা, চিন্তা ভাবনা ও তর্কবিতর্কের পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে নারী জন্তু নয় মানুষ!! তবে সে এমন মানুষ যে, পুরুষের কাজে নিরন্তর সেবারত হয়ে থাকাই- তার কর্তব্য ! ইংরেজদের ১৮০৫ সাল পর্যন্ত আইন ছিল যে, পুরুষ তার স্ত্রীকে বিক্রি করতে পারে।

অনেক ক্ষেত্রে একটি স্ত্রীর দাম ধরা হয়েছিল অর্ধ শিলিং। এক ইটালিয়ান স্বামী তার স্ত্রীকে কিস্তি আদায়যোগ্য মূল্যে বিক্রয় করেছিল। পরে ক্রয়কারি যখন কিস্তিবাবদ টাকা দিতে অস্বিকার করে, তখন বিক্রয়কারি স্বামী তাকে হত্যা করে। অষ্টাদশ খৃষ্টাব্দের শেষ দিকে ফরাসি পার্লামেন্টে মানুষের দাস প্রথার বিরুদ্ধে যে আইন পাস হয়, তার মধ্যে নারীকে গণ্য করা হয় নি। উপরের আলোচনা থেকেই বোঝা যায় খৃষ্টানরা নারীদের মর্যাদা ও আত্ম সম্মান কোন পর্যায়ে নামিয়েছিল!
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.