আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোহিনী মিল রবীন্দ্র ভার্সিটি না আত্মঘাতী বাঙালি?

কুষ্টিয়া পৌঁছেই গবেষক-শিক্ষাবিদ আবুল আহসান চৌধুরীকে টেলিফোন করি। তিনি বললেন, পরদিন প্রথম আলোর অনুষ্ঠানে অবশ্যই আসবেন। তার আগে তিনি চান রাতে যেন ছেঁউড়িয়ায় লালন আখড়া, শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি এবং শহরে টেগর লজটি একবার ঘুরে যাই। এ তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত আবেগ জড়িত। প্রথমে আমরা লালনের আখড়ায় যাই, আমাদের সঙ্গে প্রথম আলোর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি তৌহিদী হাসানও ছিলেন।

সেখানে লালনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং মোহাম্মদ সাঁই নামের এক খাদেমের সঙ্গে আলাপ হয়, যিনি ১৯৬৯ সালের স্নাতক। অনেকের ধারণা, লেখাপড়া না জানা লোকেরাই লালনের আখড়ায় থাকেন। মাজারের ওপাশে গানের আসর চলছিল, বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্তভাবে। কিন্তু তোরণ পার হয়ে ভেতরে ঢুকতেই যেই বৈসদৃশটি চোখে পড়ে তা হলো মিলনায়তনের নামে একটি দ্বিতল স্থাপনা। কংক্রিটের স্তূপও বলা যেতে পারে।

বিভিন্ন মহলের প্রবল প্রতিবাদ সত্ত্বেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এটি করা হয়। স্থানীয় লোকজন বলছেন, আসলে সরকারি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই এই অদ্ভুত স্থাপনাটি করা হয়েছিল। আবুল আহসান চৌধুরীর ভাষায় বাঙালি সংস্কৃতির সমঝদার আওয়ামী লীগের ‘সাংস্কৃতিক কলঙ্ক’। এরপর আমরা যাই টেগর লজে। রবীন্দ্রনাথ কলকাতা থেকে শিলাইদহ ও শাহজাদপুরে  যাওয়ার সময় দু-এক দিন এখানে বিশ্রাম নিতেন।

এই লজে বসে তিনি বেশ কিছু কবিতা ও গান লিখেছেন। দেশবিভাগের পর বাকি খাজনার দায়ে টেগর লজ নিলাম হয়ে যায়। অনেক বছর পর কুষ্টিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান আনোয়ার আলীর নেতৃত্বে এটি মুক্ত করতে আন্দোলন হয়। জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বর্তমানে টেগর লজ রবীন্দ্র জাদুঘর ও সংগ্রহশালায় রূপান্তরিত হয়েছে। ভবনের সামনে রবীন্দ্রনাথের একটি বড়সড় আবক্ষ ম্যুরাল স্থাপিত।

দোতলা এই ভবনটি নানা ছবি দিয়ে সাজানো, যার বেশির ভাগই দিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন। রবীন্দ্রনাথের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন ছাড়াও এখানে নিয়মিত সংগীতের অনুশীলন হয়।  ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।