আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপনার একুরিয়াম- শেষপর্ব

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

পূর্বে প্রকাশের পরে এংকরঃ এইটা একটা কমন রোগ মাছের। অনেকসময় দেখা যায়, মাছের দেহের শেষ প্রান্তে অর্থাৎ লেজ শুরু হওয়ার আগের অংশে অথবা পেটের নিচে পাখনার কাছে একটা লাল ফুসকুরির মত দেখা যায় (অনেকটা ব্রনের মত)। এই রোগটাকে এংকর বলে। এই লাল ফুসকুরিটি আস্তে আস্তে বড় হয়।

কিছুদিন পরে এখান থেকে একটা ছোট সুতার মত বের হয়। সেটা দেখতে অনেকটা গাছের শিকড়ের মত। চিকিৎসাঃ এই রোগের চিকিৎসাও লেজ পচা রোগের মত (যা আগের পর্বে আলোচনা করা হয়েছে)। এন্টিবায়োটিক এপ্লাই করতে হয়। অর্থাৎ টেট্রাসাইক্লিন।

ঔষধ ব্যাবহারের কিছুদিনের মধ্যে এটি ঠিক হয়ে যায়। তখন ঐ ছোট শিকড়ের মত অংশটি পড়ে যায়। কষা রোগঃ এই রোগ হলে মাছের পেট ফুলে যায়। মাছ আর কোন খাবার খেতে চায় না। মাছের মল ত্যাগে কষ্ট হয়।

কষা হয়ে যায়। চিকিৎসাঃ আসলে এই রোগের চিকিৎসা হলো মাছের খাদ্যাভাস চেইঞ্জ করা। আমরা সবাই বাজার থেকে প্যাকেট খাবার কিনে খাওয়াই। সেখানে লাল ও সবুজ রং এর দানা থাকে। কিন্তু কিছুদিন পর পর এগুলো পরিবর্তন করা ভালো।

একুরিয়ামের দোকানে জীবন্ত ওয়ার্ম পাওয়া যায় সেটা এনে মাঝে মাঝে খাওয়াতে পারেন। এবং মৃত ওয়ার্ম প্রসেস করা অবস্থায় কৌটাতে পাওয়া যায়। সেটাও মাঝে মাঝে দেয়া যেতে পারে। যদিও এগুলোর দাম একটু বেশী। বাজারে এক রকম গোলাপী রংএর লিকুইড পাওয়া যায় যেগুলো মাছের ভিটামিন নামে পরিচিত।

দুই/তিন ফোঁটা দিয়ে খাবারটা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে তারপর খেতে দিলে ভালো হয়। এগুলিই সাধারনত আমাদের আবহাওয়ায় মাছের অসুখ হয়ে থাকে। মূলতঃ সুস্থ্য মাছের জন্য একটি সুস্থ্য একুরিয়াম প্রয়োজন। তারজন্য প্রয়োজন নিয়মিত যত্ন করা। পানি কিছুদিন পর পর বদল করা।

নতুন পানিতে পরিমান মত একুরিয়াম সল্ট দিতে হবে। আপনি ট্যাপের পানিই দিতে পারেন। আর যেসব স্থানে পানিতে আয়রন বেশী সেসব জায়গায় পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে থিতিয়ে দিতে পারেন। যেকারণে আমরা একুরিয়াম রাখতে চাইনা ১) পরিষ্কার করা ঝামেলা ২) কিছুদিন পর পর মাছের রোগ ও মাছের মৃত্যু পানি পরিষ্কার করতে আপনাকে সাহায্য করবে ১) আপনার ট্যাপ থেকে একুরিয়াম পর্যন্ত একটি বাবারের পাইপ। ২) একুরিয়ামের পানি বের করার জন্য প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা রাবারের পাইপ।

পানি পরিবর্তনঃ পানি পরিবর্তনের আগে নেট ব্যাবহার (মাছ ধরতে হাত ব্যাবহার না করাই ভালো) করে মাছকে একুরিয়াম থেকে তুলে নিয়ে আরেকটি পানি দেয়া জারে রাখবেন। তারপর পাঁচ ফুট লম্বা একটি রাবারের পাইপ (হার্ডওয়্যারের দোকানে ওয়াটার লেভেল নামে পাওয়া যায়) একুরিয়ামের তলদেশ পর্যন্ত পৌঁছিয়ে অপর প্রান্তে আপনার মুখ লাগিয়ে অল্প একটু বাতাস টেনে ছেড়ে দিন নিচে রাখা বালতির ভিতরে। একসময়ে পানি সব বালতিতে পড়ে গেলে কাছাকাছি কোন ট্যাপ থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি একুরিয়ামে দিন। এভাবে পানি পরিবর্তন সবচেয়ে সহজ। আমি মূলতঃ এই লেখায় শুধু সেসব বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছি যেগুলোর ব্যাপারে দোকানীর কাছ থেকে কোন হেল্প পাওয়া যায় না।

তবে আগের পর্ব গুলোতে আপনাদের প্রাণবন্ত আলোচনা এবং পরামর্শ থেকে আমার অনেক অজানা বিষয় জানা হয়েছে। আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। সমাপ্ত ১ম পর্ব Click This Link ২য় পর্ব Click This Link ৩য় পর্ব Click This Link ৪র্থ পর্ব Click This Link

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.