আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মের পথচলা - ১

comments.plz@gmail.com

স্বরণাতীত কাল থেকেই মানুষের মাঝে প্রাকৃতিক শক্তিগুলোকে পুজো করার একটা প্রবণতা চালু রয়েছে। কখনো বা কিছু প্রতীক, যা প্রাকৃতিক শক্তির প্রকাশক বা কোনো মুর্তিকে প্রাকৃতিক শক্তির প্রকাশ্য রূপ ধরে নিয়ে সেটাকে পুজো-অর্চনা করার ভিতর দিয়ে প্রাকৃতিক শক্তির পুজোর প্রবণতাকে ভিন্ন মাত্রা দেয়া হয়েছে। তুলনামূলক মিথলজীতে যে বিষয়গুলোর উপস্থিতি অনিবার্য তা হলো ১) মানুষের ঈশ্বর ধারণা সবসময় অনেকাংশেই মানবিক গুনাবলী উদ্ভুত। যেসব গুনাবলী তারা নিজেদের ভিতর দেখতে ভালোবাসে, ঠিক সেগুলো দিয়েই তারা নিজ নিজ ঈশ্বর কে সাজায়। ২) প্রাচীন মানুষের রহস্যময়তার ভয় বা যা যা নিজেদের জন্য ক্ষতিকর বলে ভাবে সেগুলোকেও তারা ঐশ্বরিক মর্যাদায় দেখতে চায়।

আসলে এই মর্যাদার দেবার পিছনে কাজ করে এসকল ক্ষতিকর ব্যাপারগুলোকে শান্ত রাখার চেষ্টা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের গুটি বসন্তের দেবী শীতলার কথা। ৩) এর কিছুটা বিবর্তিত রূপ হিসেবে আসে যে সকল পশু-পাখী মানুষের জন্য ক্ষতিকর তাদের পুজো করার ব্যাপারটা। যেমন স্বর্প পুজা। এটা এখনও বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় টিকে আছে।

মিশরীয় মিথলজীতে কুমির(যা নীলনদে সহজলভ্য), কুকুর, ষাঁড়, বক পরিবার ভুক্ত (Ciconiidae) পাখিরা সরাসরি বা প্রতীকি অর্থে পুজিত হ'তো। ৪) মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি যখন আরো উন্নত হ'তে থাকলো তখন তারা দৃষ্টি দিলো স্বর্গীয়(আকাশে বিদ্যমান/দৃশ্যমান) বস্তুর দিকে এবং তাদের চলাচলের উপর। এবং এই বস্তুগুলোর রাজসিক চলন, সৌন্দর্য, রহস্যময়তা ইত্যাদি অনুভব করে মানুষ এগুলোকে ঈশ্বরের আসনে বসাতে শুরু করলো। প্রাচীন আমলের বিশিষ্ট জ্যোতির্বিদদের প্রায় সকলেই ব্যাবিলনীয় বা ক্যালিডনীয়। আব্রাহামের বাসস্থানও ছিলো এই এলাকায়।

আব্রাহামের গাথা গুলো স্বর্গীয় বস্তুগুলোকে কাল্টের মাধ্যমে পুজো করা এবং এর ভ্রান্ত বিশ্বাসকে নির্দেশিত করে। চলবে........


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.