আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাননীয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রী সমীপে,

জীবন হচ্ছে সরল সমীকরণ

শ্রদ্ধেয়া বিদুষী দিপু মনি, আপনি বলেছেন, বিচার-বহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ হতে সময় লাগবে ?কিন্তু একজন নিরীহ ছাত্রের জীবনের দাম কি আপনার মন্ত্রীসভার বিশিষ্ট নিরবকন্ঠ ও বিনয়ী স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রী ও আপনি মিলে কি ক্রেডিট কার্ডে পরিশোধ করতে পারবেন। একজন ছাত্র আপনার কাছে শুধু একজন ছাত্র, কিন্তু তার পরিবারের কাছে সে আশা-ভরসার কেন্দ্রস্থল। একজন মারা গেলে আপনার কিছুই আসে-যায় না, কারণ দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী যখন বিদেশ থেকে নিঃস্ব-রিক্ত হয়ে ফিরে আসে, তখন এ ঘটনা আপনার কাছে শুধুমাত্র স্বাভাবিক প্রত্যাবর্তন। জনগন কম থাকলেই ভাল; কম পাবলিক,কম ঝামেলা। বিশাল জনগোষ্ঠী আপনাদের ম্যান্ডেট দিয়েছে জনগনের সেবা করার জন্য; কারো বাড়ি দখল করা যদি খুব দরকারই হয়, তাহলে আদালত আছে,উকিল আছে,আপনাদের প্রিয় বিচারপতিরা আছে; কেন শুধু শুধু গ্রীষ্মের মার্তন্ডে কাঠ ফাঁটা রৌদ্রে গলার ব্যায়াম করে ক্যালরি খরচ।

আপনি সাথে একজন ইতিহাসবেত্তা সাথে রাখলে অনাকাংখিত ভুলগুলো শুধরে নিতে পারবেন। কে কখন কোথায় কোন বাদশাহর সাথে দেখা করেছে কিনা, তা বলতে অন্ততপক্ষে ভুল হবার কথা নয়। আপনি একজন আন্তর্জাতিক আইন ও পরিমন্ডল সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ রাখলে অন্তত পক্ষে বিদেশী সাংবাদিকদের উচ্চ-মার্গীয় কথা বার্তায় ঘাবড়াবেন না,রাষ্ট্র নিয়োগ না দিলেও নিজের ঘাটের পয়সা খরচ করে মান-ইজ্জত বাঁচাতে দোষ কি? হাজার হোক,মান-সম্মানবালে কথা, আপনার ইজ্জত মানে দেশের ইজ্জত; দেশের ভালর জন্য হলেও এতটুকু ত্যাগ না হয় করলেন। কারণ; ঢাকা কলেজে যখন আমি পড়তাম, তখন সেখানে বিশেষ ছোট রূমের বক্ষদেশে লেখা থাকত "ত্যাগই প্রকৃত সুখ '। আপনার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন,'তিনি দিন বদল ঘটাইবেন"।

তাঁহার সেই দিন বদল হইয়া রাত্রি আসিবে কিনা কে বলেতে পারে? যুদ্ধপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, আমি চাই । কিন্তু বর্তমান দন্ডবিধিতে যেখানে যুদ্ধপরাধী বিষয়ে কোন ধারা নেই, সেখানে নতুন আইন আবশ্যক হলে তা শীগ্রই প্রনয়ন করুন। আপনাদের মুখে প্রতিদিন একবিষয় নিয়ে কথা শুনতে ভাল লাগে না,মামালার বিষয় আমলাদের হাতে ছেড়ে দিন। আপনার দেশকে নিয়ে ভাবুন,দেশের দুঃখ দুর্দশা জানুন, দেশকে জানার জন্য খেলতে পারেন এসিআই এর অনলাইন প্রতিযোগিতা, "দেশকে জানুন"। ভাগ্য ভাল হলে পেতে পারেন লাখ টাকা, খারাপ কি? তোফায়েল,সুরঞ্জিত,সবাই কি দূর্নীতি গ্রস্ত ? কেঊ কি আপনাদের মন্ত্রীসভায় স্থান পাওয়ার যোগ্য ছিল না; আপনার প্রধানমন্ত্রী একথা কি আগে জানতেন না, নাকি জেলে যাওয়ার পর সবার চেহেরা মোবারক নতুন চোখে আবিস্কার করলেন।

তাহ্লে কি এতদিন, তিনি দূর্নীতি বাজদের সাথে ঘর-বসতি করতেন। হাদিছে বলেছে, তোমরা খারাপ কাজের নিকটবর্তী হইও না,তাহলে তোমরাও খারাপ কাজে জড়াইয়া পড়িতে পার; সীমান্তের কাছে না গেলে যেমন সীমান্ত অতিক্রম করার সম্ভাবনা থাকে না । "মাননীয় পরম শ্রদ্ধেয়া, প্রধানমন্ত্রী কি এইসব লোকদের কাছ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পেরেছিলেন; নাকি আজম, জে, চৌধুরী উক্তি' উনি সব সরকারের সময়ই সবাইকে ডোনেসন দেন"। তার কথা মত ভুল বুঝাবুঝি জনগনের সাথে আপনাদের ভুল বোঝাবুঝি হিসেবেই থেকে যাবে। সকল সমস্যার সমাধান; মুসকিল আসান (আলাদিনের চেরাগ এখন আমার হাতে),বারাক ওবামাmর মত দিন বদলের গল্প শুনালেন ।

এখন বলছেন, আপনারা মানুষ, চেরাগ নেই আপনাদের হাতে। তিন বৎসরের মাঝে কিছু আশার বাণী শুনাতে পারবেন না (বিদ্যুত মামা)আপনারা, এই তিন বৎসর আমাদের বধির হয়েই থাকতে হবে। আপনারা কাজ ভাল করলে, ভোট আপনাদের ঘরেই যাবে। বিরোধী দল নিয়ে অহর্নিশ চিন্তা করার দরকার নেই। তারা তাদের মহানগরীর কমিটি করা নিয়ে ব্যস্ত থাকুক।

মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী সমীপে, অনেক কথা বলে ফেললাম, যা আপনার এখতিয়ারে নেই,এজন্যে আন্তরিক ক্ষমা চাচ্ছি। আর আপনার প্রধানমন্ত্রীকে বলবেন,একটি কথা মনে রাখতে, ছোটবেলায় গুরুজনেরা বলত "ছোটদের স্নেহ করতে, বড়দের সম্মান করতে"। বি, এন,পি এখন ছোট দল (সংসদে), তাকে স্নেহ করা গুরুজনদের কথা অনুসারে আপনার কর্তব্য। আরেকটা কথা ,বড়দের দায়িত্বও কিন্ত বড়। "শাসন করা তারি সাজে, সোহাগ করে যেগো।

"দেশের মানুষের প্রতি একটু সহানুভূতি দেখান। আবার, আপনাদের প্রধানমন্ত্রীর ভালবাসা-সহানুভূতি যাতে ডিজিটাল না হয়। ডঃ ওয়াজেদ মিয়া একটা কথা বলতেন, "দেশ-প্রেমের প্রধান শর্ত হচ্ছে সততা' । দেশের জন্য একটু না হয় সৎ হলেন। এজন্য একটা বাংলা চলচ্চিত্র দেখতে পারেন।

চলচ্চিত্রের নাম "আবার তোরা মানুষ হ । " দেশ চালানোর ইঞ্জিন হচ্ছে প্রশাসন। প্রশাসনকে অন্ততঃপক্ষে দলীয় প্রভাব মুক্ত রাখুন। আর যদি এটা একদম অসম্ভব মনে হয়, তাহলে দলীয় যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিন। আরেকটা আবদার জানাই,আপনাদের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করুন।

তারা আপনাদের জন্য এতকিছু করছে, আপনার তাদের জন্যা কি করেছেন? এত অবিচার আল্লাহ সইবে না ? এতে অন্তত তাদের বাহিরে বিভিন্ন ঊপায়ে কষ্টকর রোজগার করা বন্ধ হত, জাতির কিছু অংশ একটু আরাম পেত। প্রধানমন্ত্রীকে বলছি,বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর আবাসিক হলগুলোর দিকে একটু ডান চোখে তাকাবেন। আমার জানা মতে আপনার কোন চোখেই কোন সমস্যা নেই। মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করি ; আপনার উজ্জ্বল নির্বিঘ্ন জীবন নদীর টলটলা পানির মত বহমান হোক , আর যাতে কোন সাংবাদিক আপনাকে বিব্রত করতে না পারে ,সেই দোয়া উপরওয়ালার কাছে রইল। ইতি, বাংলাদেশের একজন নগন্য নাগরিক বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সামহ্যোয়ার ইন ব্লগের কর্তৃপক্ষকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ, যদিও সরাসরি প্রশংসা হাদিসে নিষিদ্ধ, তবুও না করে পারলাম না, এজন্য আন্তরিক ভাবে লজ্জিত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.