আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বন্ধুবন্দনা - একটি ব্যঙ্গ রচনা

লিখতে তো দেখি ভালোই লাগে.......

বন্ধুদের নিয়ে একটি কাব্য রচনা করি আজ জানিনা কাব্য নাকি অখাদ্য বন্ধুরা আমার বড়ই রসিক ঠিক যতটা রস থাকে মৌমাছির মৌচাকে কিংবা শীতে খেজুরের কান্ডে তার চেয়েও কিছুটা বেশি আমার রসালো বন্ধুদের নিয়ে অনেক স্মৃতিগাঁথা আছে সেই রকম স্মৃতিগাঁথা সেই স্মৃতি নিয়ে কাব্য কভুও শেষ হওয়ার ন্য় তাই ভয়ে আমি আর স্মৃতি চারণে গেলাম না। শুরু টা যে কাকে দিয়ে করি কিছুতেই বুঝতে পারছিনা বন্ধু মানে সবাই সমান আগে পরে ভাবার কোন উপায় নেই। আমাদের সবচেয়ে ছোট বন্ধু (ছোট বলতে ছোট খাট) নুপুরকে দিয়েই শুরু করি, আমাদের বাঁশ প্রিয় বন্ধু নুপুরকে বাঁশের ব্যাপারীও বলা চলে, অন্যকে বাঁশ দেওয়ায় তার অশেষ আনন্দ বিশেষ করে নিতিকে। হায় রে! বেচারী নিতি, বাঁশ খেতে খেতে সে এখন বাঁশ প্রায়, খুব শিঘ্রীই গুট্টু নামের এক ছেলে আমাদের বাঁশ প্রায় বন্ধুকে বিয়ে করে ঘরে তুলবে বেচারা গুট্টু, বাঁশের বাড়ি না আবার তার গায়ে গিয়ে পরে। ক্যান, ডানো কতো নামেই তাকে ডাকা হয় ইদানিং আসল নামটা হয়ত, হারিয়েই যাবে তার, সুদুর আমেরিকা থেকে তার আকুন্ঠ আহবান লাগে রাহো বন্ধুগণ , যোগাযোগের ডিজিটাল সিঁড়ি চালু রাখো।

তবুও চালু রাখা হয়ে উঠে না সবার তাই মাসে, বছরে কিংবা যুগেও দেখা মেলে না আমাদের হারানো বন্ধু স্নেহার, স্নেহার স্নেহের টানে আমরা বারংবার আওয়াজ দেই তার পানে, কিন্তু সে প্রতিবারই ফিরিয়ে দেয় হয়ত তার কানের পর্দা বন্ধ করে রেখেছে আমাদের আওয়াজ তাই পৌঁছোতে পারে না সেখানে, হয়ত তিন তিনটি সোনামনির মধুর সব নয়েস শুনতে শুনতেই তার দিন শেষ হয়ে যায়। একটি সোনামনির দুষ্টুমিতেই অতিষ্ঠ বেচারী জুহি, কালে ভাদ্রে দেখা দেয় আমাদেরকে, তার জাপানী বোল ফুটা ফুটফুটে মেয়েটির বুদ্ধিমান দুষ্টুমির কাহিনীগাঁথা শুনায় মাঝে মাঝে সাথে সাথে তার করুণগাঁথাও। অষ্ট্রেলিয়ায় অধীর অপেক্ষায় আছে শিমি, তার গর্ভে একটি ফুটফুটে ছানা এসেছে, খুব শিঘ্রীই মাসাল্লা আলোকিত করবে পৃথিবীকে তার গুদু গুদু হাত পা নেড়ে, কুটু কুটু চোখে তাকিয়ে এবং পুটু পুটু ঠোঁটে ভুবন ভুলানো হাসি হেসে। শিক্ষার মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে আমাদেরই বন্ধু জাফরিন পরে আছে আমাদেরই সেই ইউনিভার্র্সিটিতে তার অমুল্য ঙ্গান ভান্ডার বিলিয়ে দিয়ে রসালো করছে রসহীন কষহীন এক গাদা রোবটদের পিছে পিছে আমরাও আছি তার সাথে রস যদি কভু কম পরে তো, রস সরবরাহ করার জন্য। মিসেস তানিম বড়ই ব্যস্ত থাকে আজকাল ছুটতে ছুটতেই তার জীবন চলে, ছুটোছুটির ফাঁকে খানিকটা সময় পেলেই আমাদের সাথে শেয়ার করে তার অমুল্য কিছু সুখ-দুখের স্মৃতিগাঁথা।

আমাদের একমাত্র সিরিয়ালিস্ট বন্ধু ডানা জীবনে চলার পথে মাঝে মাঝে বিষন্ন হয়ে পরে, ভাবে, জীবনে কেউ একজন থাকলে ভালোই হতো কিন্তু পরক্ষণেই আবার ভাবে , সেই কেউ একজন যদি মনের মানুষটি না হয় সঙ্গী নির্বাচনে তাই তার এতো কনফিউশন কিন্তু ঠিকই খুঁজে নিবে তার যথার্থ জীবন সাথীটি নিজেরই মনের অজান্তে। সবশেষে আসি এই অধমের কথাই অধমের দিন কাটে, তার বিচ্ছু ছেলেটির নানান সব বিচ্ছুমির কথা ভেবে ভেবে, ফাঁকে ফাঁকে বন্ধুদের সাথে কিছুটা কথোপকথন, কাব্য রচনা অধমের নাগালের বাইরে প্রায় কিন্তু বন্ধুরা যখন তাকে কবি বলেই আখ্যায়িত করেছে তখন বন্ধু সম্মান রক্ষার্থে কিছুটা কাব্য তো, রচনা, করতেই হয়, যদিও তা কাব্যের ক-ও হচ্ছে কিনা তাতে রয়েছে আমুল সন্দেহ। আমার কাব্য প্রায় রচনায় ফুটে উঠেছে দশটি স্বর্ণালী জীবনের কিছু কিছু কথামালা যদি কারো মনে আঘাত দিয়ে থাকি তবে ক্ষমা চাই বন্ধু, প্লিজ ক্ষমা করে দিও।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.