বাঁশি!
মানুষের মন যদি কোন বাদ্যযন্ত্র দিয়ে প্রকাশ করা যেত তাহলে সেটি হত বাঁশি। মানুষের চাওয়ার সুরটি বাঁশির সেই অনাবিল শব্দেই যেন সবচাইতে বেশি প্রকাশিত হয়। সেই গভীর শুন্যতাই বাঁশির সুরকে অমন পরিশুদ্ধতা দিয়েছে। আজ এই বাঁশরীর সুরেই হারাই না হয়। চৌরাসিয়া কিংবা বারী সিদ্দিকীই শুধু নন, আজ আরো শুনবো উপমহাদেশের বাইরের বংশীবাদকদের সৃষ্টি।
থিওবাল্ড বোয়েহেম কে বলা হয় আধুনিক বাঁশির জনক। এই বাদ্যযন্ত্রটি বানানোর জন্যে উপাদান, কী-নোট, টোন হোল-সব তারই কীর্তি। সিজার পেরেডোর বাজানো থিওবাল্ডের "এলিজিয়া"
স্টিফেন প্রেসটোন- বারোক এবং ক্লাসিকাল এর পথপ্রদর্শক। তার "ফ্লুট সোনাটা" থেকে একটি কম্পোজিশন।
রেড ইন্ডিয়ানদের এই বাঁশির সুরটি যেন মনটাকে হালকা করে দেয় পাখির পালকের মত।
কেলারম্যানের বাঁশি সেই সাথে ট্যাংগো নাচ, অসাধারণ!
এবার আসি আমাদের উপমহাদেশে।
রাভির বাঁশিতে রাগ ইমন কি মনের গভীরতম সুরটিই ধ্বনিত করছে?
বুট্টো (আনন্দ প্রসন্ন পাত্যানায়েক)'র বাঁশিতে রাগ হমশধ্বনি।
বাংলাদেশের আরেক প্রতিভাবান বংশীবাদক জালাল আহমেদ।
পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়াকে ছাড়া এ পোস্টটি একেবারেই মলিন থাকবে।
সবশেষে আমাদের বারী সিদ্দিকী- একটি নাম, আমাদের গর্ব।
বারী সিদ্দিকী
এই পোস্ট টি লিখবার সময় মনে দুজনের নাম বারবার আসছিল। একজন হলেন চয়ন ভাই, যাঁর ভালোবাসা হল বাঁশির সুর। আরেকজন হলেন অনন্ত দিগন্ত, যাঁর আব্দারে কেন যেন বাঁশির সুরেই ভেসে গেলাম।
আগের রাতটি পিয়ানোর ছিল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।