আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

" মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে " - ২

একট হাসি, অলস দুপুর, এক ফোঁটায় জলের পুকুর।

উঁহু, এখন আমার কাজের চাপ নেই। মিডটার্মের ছুটিতে খাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি আর আড্ডা দিচ্ছি। সেদিন গল্পে গল্পে আরও কিছু গল্প মনে হলো জমার... তখন আমরা ২-২ তে, রিয়াদ স্যারের প্রজেক্ট, ট্রনসিয়েন্ট স্পেস ডিজাইন। মম তার প্রেজেন্টেশনের জন্য জলরঙ করছিলো টেবলে বসে।

আমি কাজ করছিলাম পিসিতে। চা দিয়ে গেলো টেবলের উপরে। দেখে আমি মম কে বললাম দেখিস, তুলি আবার চায়ে দিয়ে দিস না। মম খুব ভাব নিয়ে বললো, আমাকে তোর তাই মনে হয়? আমি বললাম দেখা যাবে। হাতের কাজটুক শেষ করে মমকে দেখানোর জন্য ডাকবো বলে তাকিয়েই দেখি ম্যাডাম তুলিটা তার কাপে ডোবাচ্ছেন।

ডাক দিতেই তার খেয়াল হলো। সে কাহনিক অবাক হয়ে নিজের হাতের দিকে তাকায় বললো, তাই তো ভাবছিলাম, পানিতে গরম লাগে কেন? যা করেছিস করেছিস, আমার কাপ থেকে চা খা। কিন্তু আবার তুলি ডুবাস না যেন, বলে তার কাপ নিয়ে রেখে আসলাম রান্না ঘরে। এসে দেখি মহোদয়া আমার কাপে এবার তুলি নিয়ে ডুবিয়ে বসে চিন্তা করছেন। তুলির কথায় মনে পড়লো আমাদের তুলির গল্প।

এই ম্যাডাম খুবই সিরিয়াস, টীচার ফাইটার। তো তার বাচ্চা কালের গল্প এটা। ১-২ এর শেষ প্রজেক্ট - অডিও-ভিজুয়্যাল কম্পোজিশন ইন ডিজিটাল মিডিয়া, টপিক - মুক্তিযুদ্ধ ইন ব্রিফ। গ্রুপে কাজ, চারজনের গ্রুপ। চারটা মেয়ে, এবং আমি ছাড়া বাকি তিনজন বেশ ভালো লেভেলে সিরিয়াস।

সবাই মিলে বসে ভাবছি, কি কি করা যায়। তো তুলিও ভাবছে কপালে আঙ্গুল ঘষতে ঘষতে। রাত বাড়ে, ক্লান্তি বাড়ে। বেশ খানিকক্ষণ তুলির কোনো সাড়াশব্দ নাই। ধাক্কাদইলাম, কিরে কি করিস, ঘুমাস?? সে চোখ রগড়ে জবাব দেয়, না রে চিন্তা করি।

বলে সে আবারো ভাবতে বসে, এবং আবারো ঘুমিয়ে পড়ে- পড়ে মানে লিটারারী পড়েই যায় । এরপর থেকে আমরা রাত হলে তুলিকে চিন্তা করতে দিতাম না।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।