আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিএসটি চালু, সময় এগিয়ে আনা এবং দুই মন্ত্রণালয়ের কনফিউজড অবস্থা

কেএসআমীন ব্লগ

দেশে খুব শীঘ্র ডিএসটি (ডেলাইন সেভিং টাইম) চালু হচ্ছে মনে হচ্ছে। বিদ্যুত মন্ত্রণালয় এর উদ্যোক্তা। কারণ লোডশেডিং কমানো। প্রায় ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত সাশ্রয হবে বলে তাদের ধারণা। কীভাবে? মূল ব্যাপারটা হচ্ছে ঘড়ির কাটায় এক ঘন্টা যোগ করতে হবে।

এতে সময়টা একঘন্টা এগিয়ে যাবে। আমরা যারা সকাল ন'টায় অফিসে যাই তারা তখন সকাল আটটায় অফিসে যাব। (এখনকার প্রকৃত সকাল আটটা, আমাদের ঘড়িতে ন'টাই বাজবে) ফলে অফিস ছুটিও হবে এক ঘন্টা আগে। দিনের বাকি কাজগুলো দিনের আলো থাকতে থাকতে শেষ করা যাবে, কারণ তখন অন্ধকার হতে প্রায় আটটা বেজে যাবে। আটটায় সন্ধ্যা হলে দোকানপাট ততক্ষণে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।

ফলে দোকানপাটের ব্যবহৃত বিদ্যুত বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত হবে। তখন লোডশেডিং কমে যাবে। রাতের বেলা আমাদের বিদ্যুত পাওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা বাড়বে। কিন্তু আমাদের ধর্ম মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই এই সময় এগিয়ে আনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে... নতুন পদ্ধতিতে নামাজের সময়সূচি কী হবে তা নিয়ে তারা ভেবে দিশেহারা। তারা আরও সময় চেয়েছে, বারবার মিটিং করছে বিভিন্ন জনের সাথে।

আসলে ধর্ম মন্ত্রণালয় হয়তো পুরো ব্যাপারটা বুঝতেই পারছে না.... ঘড়ির কাটায় এক ঘন্টা যোগ হলে জোহর ও জুমার নামাজ বাদে সব নামজের সময়েই এক ঘন্টা যোগ করতে হবে, ব্যাস.... যেমন, এখন ফজরের আযান যদি সকাল ৪:১৫ মিনিটে হয় তবে তখন হবে ৫:১৫ মিটিটে। এশার আযান হবে ৮:০০ টার পরিবর্তে রাত ৯:০০টায়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অবগতির জন্য জানাতে চাই, পাকিস্তানেও গত বছর থেকে ডিএসটি পদ্ধতি চালু হয়েছে। সুতরাং তাদের ভাবনার কোন কারণ নেই... শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে কদিন পরই তাদের শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষা। সময়ের হেরফের তাদের বিরাট ভাবনায় ফেলে দিয়েছে।

তাদের অবগতির জন্য বলা প্রয়োজন যে, এতে পরীক্ষা টাইমিং-এ কোন পরিবর্তন আনবে না। পরীক্ষার্থীরা যদি সকাল ৯টায় পরীক্ষা শুরু করে থাকে, তবে নুতন পদ্ধতিতেও একই সময়েই পরীক্ষা শুরু হবে। এটা নিয়ে তাদের এত দুর্ভাবনার কারণ নেই... পুরো বিষয়টাকে না বোঝার জন্যই এই কনফিউশন... এ বছরের পয়লা এপ্রিল থেকেই এটা চালু করা উচিত ছিল। এত মন্ত্রণালয়ের মতামতের কোন প্রয়োজনই নেই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।