আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিরীয় শরণার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে: জাতিসংঘ

মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানায়, গত ১২ মাসে সীমান্ত পেরোনো নারী, পুরুষ ও শিশুর ঢল প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার এন্টনিও গুটারেস বলেছেন, “সিরিয়া এ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়েছে”।
তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক ইতিহাসে মানুষের ভয়াবহ দুর্ভোগ আর বাস্তুচ্যুতির এক লজ্জাস্কর মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে সিরিয়া সঙ্কট”।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর সিরিয়া সঙ্কটই বিশ্বশান্তির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন গুটারেস।
জাতিসংঘের হিসাবমতে, সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোতে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে।


এ হারে পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকলে শরণার্থীর সংখ্যা কেবলই বাড়বে।
ফলে বাড়তি শরণার্থীর চাপে সিরিয়ার কিছু কিছু প্রতিবেশী দেশ পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইউএনএইচসিআর এর দূত এবং হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।
জাতিসংঘ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার ভেতরে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৪২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
সঙ্কটের ভয়াবহতা বর্ণনা করে হাই কমিশনার গুটারেস বলেন, প্রথম ১০ লাখ মানুষ সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছে ২ বছরে। আর পরবর্তী ১০ লাখ মানুষ সিরিয়া ছেড়েছে মাত্র ৬ মাসে।


জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে গুটারেস জানান, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে মোট বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬০ লাখ মানুষ। বিশ্বের যে কোনো জায়গার চেয়ে সিরিয়া সঙ্কটে বাস্তচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যা এটাই সর্বোচ্চ।
আফগান সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই সময়টিতে খুব সম্ভবত এমন বিপুল সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
তবে ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর বিশ্বে যত সঙ্কট দেখা গেছে তার তুলনায় সিরিয়া সঙ্কট বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো অংশেই কম ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে সতর্ক করেছেন গুটারেস।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.