আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সোয়াইন ফ্লু মারাত্মক ছোঁয়াচে : মৃত্যুহার ৫৩% : যুবকরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে

কারার ঐ লৌহ কপাট, ভেঙ্গে ফেল কর্‌রে লোপাট, রক্ত জমাট শিকল পূজার পাষাণ বেদী, ওরে ঐ তরুণ ঈষান. বাজা তোর প্রলয় বিষাণ, ধ্বংশ নিনাদ অরুৎ প্রাতের প্রাচীর ভেদী। ।

সোয়াইন ফ্লু একটি আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে বিশ্ব জুড়ে। গত বুধবার পর্য বিশ্বের মোট ১৩টি দেশের প্রায় ৩ হাজার লোক এ রোগে আকদ্ধাল্পø হয়েছে। এর মধ্যে ১৬০ জন মারা গেছেন।

এ রোগে মৃত্যুর হার ৫৩ শতাংশ। এখন পর্যল্পø আমাদের দেশের কোথাও এ রোগের সল্পব্দান পাওয়া না গেলেও বাংলাদেশও এ রোগের ঝুঁকির ঊর্ধ্বে নয়। সাধারণত যুবকরাই এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ জন্য যুবকদের এ ব্যাপারে বেশি সচেতন হতে হবে। বিশেষগ্যদের মতে, সোয়াইন ফ্লু একটি জেনেটিক রোগ।

জেনেটিক রোগ হচ্ছে এমন ধরনের রোগ, যা যে কোনো জন্তু (শুকর, পাখি ইত্যাদি) থেকে মানুষে এবং মানুষ থেকে মানুষ বা অন্য প্রাণীতে বায়ু বা প্রত্যক্ষ সংক্রমনের মাধ্যমে ছড়ায়। এ রোগের প্রাথমিক উৎপত্তি শুকর (সোয়াইন) থেকে। শুকর হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র স্টন্যপায়ী প্রাণী যা একইসঙ্গে পাখি ও স্টন্যপায়ী প্রাণীর শ্বসন অঙ্গের বৈশিষ্ট্য বহন করে। এরা বাইরে থেকে প্রবেশ করা ভাইরাসসহ অন্যান্য জীবাণুকে ধারণ করতে পারে এবং পরে তা থেকে ভিল্পুধর্মী বৈশিষ্টের নতুন ভাইরাস তৈরি করতে পারে। এভাবে শুকর একসঙ্গে একই সময়ে একটি চক্রের (৪ থেকে ৮ দিন) ২৫৬ প্রজাতির নতুন ভাইরাস তৈরি করতে পারে, যার বেশিরভাগই সংক্রমিত হওয়ার ক্ষমতা রাখে।

দেশের বিশিষ্ট ভাইরোলজি্স্ট অধ্যাপক ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম বলেছেন, সোয়াইন ফ্লু রোগটির ক্ষেত্রে মিশ্র ভ্যাসেল (পাত্র) হিসেবে দুই ধরনের ভাইরাস গ্রাহক (রিসেপটর) (আলফা-২-৩ এবং আলফা-২-৬ সায়ালিক এসিড গ্যালাকটোজ) থাকায় খুব সহজেই তা মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে। এ রোগের ভয়াবহতা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (বার্ডফ্লু) রোগ থেকে কয়েকগুণ বেশি এবং বর্তমানে বিভিল্পু দেশে এটি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে। সোয়াইন ফ্লু থেকে বাঁচতে করণীয়: বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাসটির বিস্স্তৃতি রোধ করতে এই মুহূর্তে যেসব বিষয়ে নজর দিতে হবে তা হলো : ১. আগামী ৩-৪ সপ্টাহ বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তির মেক্সিকোসহ ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডায় ভ্রমণ না করা। ২. মেক্সিকো, ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডা থেকে কোনো ব্যক্তি (দেশি-বিদেশি) গত ৩-৪ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তাদের শারীরিক অবস্থার (উচ্চ তাপমাত্রা, মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, বমি বমি ভাব ও শ্বাস-কষ্ট) প্রতি সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা। ৩. যেহেতু সিজনাল ফ্লু হিসেবে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশে বিরাজমান, সেহেতু ওই ভাইরাস দুটির সার্ভিলেন্স স্টল্াডি (সার্বক্ষণিক তদারকি) বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করা দরকার।

(বিশেষ করে যেসব এলাকায় শুকর পালন করা হয়, সেসব এলাকায় শুকর ও শুকর পালনকারীদের)। ৪. সিজনাল ফ্লুতে আকদ্ধাল্পø যে কোনো ব্যক্তিকে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপল্প হতে হবে। ৫. যেহেতু অন্যান্য আল্ন্তঃসীমান্তীয় (ট্রান্সবাউন্ডারি) রোগের মতো সোয়াইন ফ্লু অত্যন্ত মারাত্মক ও ঝুঁকিপূর্ণ একটি ভাইরাসজনিত রোগ, তাই কমপক্ষে আগামী ২ সপ্টাহ যে কোনো বিমান বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময়ে এবং বিমান থেকে যাত্রী বাইরে আসার আগে বিমানের বাইরে, ভেতরে-বাইরেও প্রতিটি যাত্রীকে এন্টিভাইরাল করতে হবে। ৬. বিমান থেকে অবতরণ করার সময় কোনো যাত্রীর শারীরিক পরীক্ষায় উচ্চ তাপমাত্রা, মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, বমি বমি ভাব ও শ্বাস-কষ্ট ধরা পড়লে তাকে কমপক্ষে ২ সপ্টাহ বিমানবন্দরের কোয়ারেন্টাইন সেলে রাখতে হবে বা নিজ গৃহে অবস্ট’ান করতে হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।