আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুকুরের স্বভাব ও আমার ভোগান্তি

সময় হয়েছে আজ আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠার; দৃপ্ত শপথ করে সম্মুখে পা ফেলে ছুটে চলার চিরন্তন সত্য ও সুন্দরের পথে......

যখন আমি একটু বুঝতে শিখেছি তখনি আমি দেখেছি আমাদের পাড়াতে অনেক কুকুরের আনাগোনা। সমবয়সীরা অনেকেই কুকুরের বাচ্চা নিয়ে খেলা করতো। নিজের ঘরে বেঁধে রাখত। কিন্তু আমি এসবের কিছুই করতাম না। কুকুরের প্রতি তাদের অত্যাচার দেখে কষ্ট পেতাম।

ভাবতাম এই কুকুর যদি আমি হতাম, তবে এই অবস্থাতো আমারও হতো? শৈশবে যখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই তখন স্কুলে যাবার পথে দুটি বাড়ির কুকুর আমাকে আক্রমণ করত। মনে হতো যেন কনের বাড়ির গেট পেরিয়ে যাচ্ছি। একটি বাড়ির কুকুরের কাছ থেকে রেহাই পেলে আর একটু দূরে অন্য একটি বাড়ির আরও ৪ টি কুকুরের আক্রমণে পড়তাম। স্কুলে যাবার ৩ মিনিটের রাস্তা ৩৫ মিনিট লেগে যেত। ফিরে আসতেও ঠিক একই অবস্থা।

এভাবেই দিন কাটতে লাগল। লক্ষ্যণীয় বিষয় এই যে, ঐ কুকুরগুলি রাস্তায় পেলে আমাকে আক্রমণ করত না। যখনই কুকুরগুলির মালিকের বাড়ির সামনে দিয়ে যেতাম তখনই কেবল আক্রমণ করত। এটাই ছিল ঐ কুকুরগুলির স্বভাব। সমাজে ঠিক এমনই মানুষবেশী কুকুর আছে যাদের স্বভাবও এই কুকুরের মতোই।

কুকুরগুলো যেমন মালিকের বাড়ির সামনে দিয়ে যেতে দেখলেই আক্রমণ করত; তেমনি মানুষবেশী কুকুরগুলোও এভাবেই আক্রমণ করে। তারাও সুযোগের অপেক্ষা করে কখন তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাবে। আর এই মানুষবেশী কুকুরগুলিও এই সুযোগটাই ব্যবহার করে। তাদের ইচ্ছেমতো কামড়ে দেয়। কিন্তু শত কামড়েও তাদের কিছুই করা যায় না।

ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি দিলেই এই কথাটি স্পষ্ট হয়ে যায়। একদিন লক্ষ্য করলাম আমাকে কোনো কুকুরই আক্রমণ করছে না। আমি বেশ অবাক হলাম! পরে জানতে পারলাম ঐ কুকুরগুলি আর এখানে নেই। পরে শান্তিতে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে পারলাম। মনের আনন্দে স্কুলে আস-যাওয়া করলাম, আসা-যাওয়া করলাম, আসা-যাওয়া করলাম।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।