আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বদলে যাচ্ছে ফেসবুক প্রাইভেসি

সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত এ দুই হিসেবেই ফেসবুক এগিয়ে। তবে 'প্রাইভেসি নীতি' বা ব্যক্তিতথ্য সুরক্ষার প্রশ্নে ১২০ কোটি গ্রাহককে থেকে থেকেই হতাশ করছে ফেসবুক। এ নিয়ে চলছে দ্বৈত আইনি লড়াই। অবাধে ব্যক্তিতথ্য বিপণন এবং বিজ্ঞাপনী কৌশলে ফেসবুক কাজ করছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠেছে। খবর বাংলানিউজের।

এ নিয়ে ফেসবুক কাজও শুরু করেছে। কিন্তু অভিযোগ আর আইনি মামলার বেড়াজালে ভালোই জড়িয়েছে ফেসবুক। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের আদালতেই লড়তে হচ্ছে ফেসবুককে। এমনকি ফেসবুকের কাছে বিভিন্ন দেশ থেকে তথ্যও চাওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ফেসবুক খুব বেশি সহায়ক মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে না।

এ মুহূর্তে ফেসবুক দুটি ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করছে। একটি ইউজার নেম। অন্যটি প্রোফাইল পিকচার। কারণ এ দুটি তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এসেছে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ। বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর কাছে চড়া দামে এসব ব্যক্তিতথ্য বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযুক্ত হয়েছে ফেসবুক।

এ ইস্যুতে খুব বেশি সন্তোষজনক এবং সদুত্তর দিতে বরাবরই ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এবার তাই ফেসবুক প্রাইভেসিতে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে ফেসবুক। এক্ষেত্রে গ্রাহকই নির্ধারণ করবেন তার ফেসবুক তথ্য কোনো ধরনের সংশ্লিষ্ট মাধ্যমকে বরাদ্দ করা যাবে কিনা। এখানে অবশ্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাই মুখ্য মাধ্যম। ব্যক্তিতথ্যের অনিশ্চয়তা, অপব্যবহার এবং যথেচ্ছ বিনিময়কে কিছুটা কোণঠাসা করতেই ফেসবুককে আইনি তর্কে পড়তে হয়েছে।

অচিরেই নেম, প্রোফাইল পিকচার, কনটেন্ট, বাণিজ্যিক লিঙ্ক, পৃষ্ঠপোষকতা এবং ব্র্যান্ড সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে বেশকিছু নিয়মের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ বিষয়ে ফেসবুকের চিফ প্রাইভেসি অফিসার (পলিসি) ইরিন ইগান বলেন, অচিরেই বিজ্ঞাপনী প্রচারে নেম, প্রোফাইল পিকচার এবং কনটেন্টের যথেচ্ছ ব্যবহার যেন না হয়, এ বিষয়ে ফেসবুক বাণিজ্যিক প্রচারণা এবং তথ্য দৃশ্যমান করতে অবশ্যই গ্রাহকের অনুমতির বিষয়টি নিশ্চিত করবে। তথ্য বিনিময়, বিপণন এবং তথ্যকে পাবলিক করতে ফেসবুক তার প্রচলিত রীতিকে ঢেলে সাজাচ্ছে। এ মুহূর্তে ফেসবুক গ্রাহক না হয়েও এ সামাজিক সাইটের তথ্য অবলোকন করা সম্ভব। কিন্তু নতুন নিয়মে এ সুবিধা প্রযোজ্য নাও থাকতে পারে।

এ ছাড়াও ফেসবুক এঙ্সে কোডের মাধ্যমে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, আইপি অ্যাড্রেস, আইপি ফোন নম্বর, ব্রাইজার এবং যেসব পণ্য থেকে ফেসবুক এপলিকেশন ব্যবহার করা হয় এমন সব তথ্যই ডেটা স্টোরে জমা থাকে।

ফেসবুকের ভাষ্য, গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম পদ্ধতিতে গ্রাহকের তথ্য, ভৌগোলিক অবস্থান এবং তথ্যগুলোকে পুনর্বিন্যাস করা হয়। অ্যাপ দিয়েও একই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে ফেসবুক। তবে তা স্ট্যাটাসের কারণেই, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়। কবে নাগাদ এ পরিবর্তন আনা হবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি ফেসবুক।

* ইনফোটেক ডেস্ক

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.