আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারুন্যের গর্জন শুনছে বিশ্ব

...............................................................................................................................................................। উত্তাল সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস চত্বর;উপশহরের শহীদ মিনারগুলোর চত্বর উত্তাল;উত্তাল সব বাঙ্গালী যাদের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ,চেতনায় বাংলাদেশ;উত্তাল শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর;উত্তাল সমগ্র বাংলাদেশ। তারুন্যের গর্জনে উম্মাতাল পুরো দেশ। মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তবু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ এ তরুন প্রজন্ম বীরশহীদদের আত্নত্যাগের প্রতি সম্মান দেখিয়ে,স্বজন হারানোদের ব্যাথা নিজের বুকে গেথে নিয়ে এই সোনার দেশ থেকে চিহ্নিত রাজাকার নিধনের লড়াইয়ে আজ রাস্তায় নেমেছে;তাদের হৃদয়ের অবগাহন জুড়ে প্রতিশোধের উত্তাল তরঙ্গ বইছে। প্রতিটি তরুন-তরুনী যেন ফুল হয়ে ফুটেছে প্রজন্ম চত্বরে।

ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর। তেজদীপ্ত সকল তরুন-তরুনীদের উত্তাল গর্জনের দৈহিক ভঙ্গিমা যেন ফুলের পাপড়ি হয়ে হেসে উঠছে, তাদের গর্জনের শব্দ তরঙ্গ যেন মধু মাখা ফুলের সুগন্ধ ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে আমরা আরো ফুল চাই;কোথায় নবীন-জোয়ানের দল?আরেকটি ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে প্রজন্ম চত্বর তোমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। ……৭১ পেরিয়ে গেছে বহু আগে;সময়ের গন্ডি পেরিয়ে অনেকদুর চলে এসেছি;কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি দোসররা যারা বাঙ্গালীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে,এ ভুখন্ডটিকে সাম্প্রদায়িক জাতিতে পরিনত করার পায়তারা করেছে,দেশের স্বাধীনতা চায়নি, বীরদর্পে এতগুলো বছর তারা এই স্বাধীন বাংলার মাটিতে ঘুরে বেড়িয়েছে;এই বাংলার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে আবার এই বাংলার জলে বাতাসের ঘ্রানে বেড়ে উঠেছে;এই বাংলার শ্রমিক কৃষকের একতায় স্বাধীন হওয়া দেশে আবার তাদের ঘামে ভেজা ফসলের আহার খেয়ে পেট ভারি করে চলেছে,…,…এদেশের ছাত্র,বুদ্ধিজীবী,কৃষক-শ্রমিক,সর্বস্তরের জনতার কষ্টার্জিত ফসল লাল-সবুজের পতাকা তাদের গাড়িতে লাগিয়ে এতবছর পতাকার সম্মান নষ্ট করেছে;মা বোনদের ধর্ষনের আজন্ম ক্ষত সেরে উঠবার আগেই নির্লজ্জ বেহায়ার মত এই বাংলায় বাস করছে; এতগুলো বছর বাংলার মাটিতে বীরদর্পে চলে আমাদের কলংকের বোঝা ভারি করেছে। এই নরপশুদের কেমনে ছেড়ে দিই বল?শোষিতদের আর মুক্তিযুদ্ধের পরের প্রজন্মকে তাদের শাসনের কুপোঘাতে,ধর্মের নামে ভন্ডামিতে এতদিন তালাবন্দি করে রেখেছিল,যাতে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হতে পারে।

এই প্রজন্মের আবির্ভাবের জন্যেই এতদিন দেরি হয়েছে। আজ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল মানুষ,বিভিন্ন ভাবে মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া বাঙ্গালীরা আর চুপ না থেকে জেগে উঠেছে নতুন প্রজন্মের সাথে;তারা জানে নতুন প্রজন্মের জয় হবেই হবে,হয়েছে ৫২-তে;হয়েছে ৭১-এ;হয়েছে গনতন্ত্র আন্দোলনে শহীদ নবীন নুর হোসেনের;এই শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে ও সারা বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে যত নবীন এবং সর্বস্তরের বাঙ্গালীরা রাজাকার দের ফাসির দাবিতে সোচ্চার হয়ে আন্দোলন রত এই ২য় মুক্তিযুদ্ধ ২০১৩-তেও তরুন প্রজন্মের জয় হবেই হবে;হতেই যে হবে না হলে যে ইতিহাস মিথ্যে হয়ে যাবে। বাঙ্গালীদের এত দিনের গর্বিত ইতিহাসে তারুন্যের যে ছাপ ছিল,যে ব্যাপক ভুমিকা ছিল এই প্রজন্মের তরুন-তরুনী হয়ে আমরা যে তাদের লজ্জায় ফেলে দিব। বাংলাদেশের ইতিহাসে তারুন্যের গৌরবজ্জ্বল ভুমিকার ধারা অব্যহত রাখতে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত করতেই হবে। সারা বিশ্ব শুনছে আমাদের গর্জন;হুংকারে কেপে উঠছে সকল সকল যুদ্ধাপরাধীদের বুক;থিতু হয়ে আসছে রাজাকার দোসরদের অগ্রগামী ভুমিকা।

আজকের তরুন প্রজন্মের উত্তাল মোহনা দেখে,গর্জন আর হুংকারের ধ্বনি শুনে যেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশের এবং বিশ্বের যেকোন দেশের সংকটময় মুহুর্তে আর কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করার সাহস না পায় এমন সাহসী ও ভয়ংকার ইতিহাস এবং দৃষ্টান্ত আমাদেরই তৈরী করতে হবে। এই বাংলার অপারেজয় তরুনদের গর্জনে যেন কেপে উঠে সকল অপশক্তির ধারকদের বুক। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।