আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জোয়ার ভাটার নিঝুম দ্বীপ।

কতো কী করার আছে বাকি..................

সেখানে সমস্ত মিলিয়েই এক বিস্ময় তৈরি হয়। বাড়ির উঠানে উত্তাল মেঘনা, মাতাল মেঘনার সিথানে খই ফোটা তারাজ্বলা আকাশ, সেই আকাশে পুবের তারা, পশ্চিমের তারা, সন্ধ্যা তারায় তারা দিক চিহ্নহীন নদীর বুকে পথ আঁকে-বাড়ি ফেরে। জোয়ার ভাটায় জীবন বাঁধা যে জেলেদের তাদের কাছেও এই নদী এক বিস্ময়ই বটে। কতো ঢঙে বয়ে যায় সে, কতো বিশাল, কতো বিচিত্র। নদীর বুকে কতো কিসিমের মাছ।

ইলিশ, রুই, বোয়াল, চিরিং, বাটা, রাজা, চিংড়ি আরো কত। মাছ বিচিত্র তো তাদের জালও বিচিত্র। ঠেলা জাল, টানা জাল, চিরিং মাছ ধরে যে জালে তারা নাম ভেন্ডি জাল, বাটা মাছের জন্য বাটা জাল, খ্যাও জাল, আরো কতো। দিগন্ত বিস্তারি জাল। এক দ্বীপ থেকে আরেক দ্বীপ পর্যন্ত বিছানো যায় এমন লম্বা তাদের জাল।

সেই জালের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায় নোনা মেঘনা, আর বিরুদ্ধতায় আটকা পড়ে মাছেরা। ভাটার সময় দূর নদীতে গিয়ে ডুব দিয়ে লোহার তীক্ষ্ণ ফলা আর লম্বা লম্বা বাঁশ কাদায় গেঁথে আসে তারা। তাতে বেঁধে আসে জাল। জোয়ারের স্রোতে সেই জালে মাছ জমা হয়। জাল ঘিরে তখন ওড়াওড়ি করে খোয়াজ মাউ- মানে গাংচিল।

মাছের গন্ধেই তারা উড়ে আসে, ঘোরাঘুরি করে। তাই দেখে জেলেরা পানিতে নামে জাল তুলতে। সেই জাল ভর্তী মাছ তোলার সংগ্রামটুকু হয়তো কখানোই কলমে কি কথায় ফুটে ওঠে না। মেঘনা যখন ঢেউ দিয়ে আকাশ ছুঁতে চায়, ঝড়েজলে মাতলামি যখন অট্রহাসিতে ফেটে পড়ে, সেই অট্রহাসির মাথায় জালের দড়ি আঁকড়ে তারা ভেসে থাকে, মাছে নিয়ে তীরে ফেরে। তখন দড়ি বাঁধা থাকে আরো শক্ত করে, সেই দড়ি কোমরে বেঁধে আকাশ ছুঁতে চলা ঢেউকে তরা বাগে আনে।

তাদেরই ভাষায়-ফাইট করি ফাইট বুইজ্জেননি, ফাইট ন কইল্লে নি টিকন যাইবো- এই দশ নম্বর সিঙ্গালেও যতক্কন হারি হানিতে থাই-ন হাইল্লে তীরে যাই গই। সেই নদীকেই আবার তাদের-অবিশ্বাস-ভয়-রহস্যময়তা। তাইতো ইলিশ ধরার আগে নদীতে তারা জ্বলন্ত মোম লোবান ভাসায়। খোয়াজ মামার বন্দনা করে। ভান্ডারিরা তাকে নিয়ে গান বাঁধে।

খোয়াজ হুজুর না থাকলে কে তাদের নদীতে এমন অবাধ বিচরণের তাগদ দিতো। আকাশেও তাদের রুপকথা জাগে। আদমসুরতের রাজ্য কল্পনায় তারা বিভোর হয়। আকাশ নদীর বিস্তীর্ণতায় তারা তবে বেঁচে, থাকে জীবন শিল্পেন কারিগরেরা। দ্বীপে আর চরে কিইবা পার্থক্য।

শহুরে ভাষায় চর হয়ে ওঠে দ্বীপ। তো সেই দ্বীপটির আয়তন তেষট্টি বর্গ কিঃ মিঃ। মানুষ সব মিলিয়ে হাজার বিশেক হবে। তবে দেখা পাওয়া যায় না। কতোজন থাকে নদীতে কতোজন অন্য কোন চরে-এক চর থেকে আরেক চরে গেলে ফিরে আসতে হয় পরের দিন।

জোয়ার ভাটার হিসেব না মিললেই আটকা পড়তে হয়। তখন গুণ টেনে নৌকা তীরে ভেড়াও। নৌকাতেই তাই সংসার পাতার আয়েজন থাকে। চরটিতে মহিলার সংখ্যাই বেশি-দশ হাজার পাঁচশ প্রায়। পুরুষ বাকি নয় হাজার পাঁচশো।

কিন্তু সেখানে নারীদের বাজারে বা বাইরে আসা নিষেধ। পর পুরুষের সামনে যাওয়া বারণ। সেই নরীদেরই কেউ কেউ মেঘনার ঢেউ চূর্ণ করে দাঁড় বায় মাঝ নদীতে। গুণ টেনে বয়ে নিয়ে যায় নৌকা। শৈশব তাদের একান্তই নদী সম্ভূত।

সেই চরে মেলাও হতো একসময়, জুয়া খেলার উসিলায় তা বন্ধ হয়ে যায়। সেই প্রত্যন্ত চরে কেবল নেটওয়ার্ক আর উদ্দাম বাজারি সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রণে কেউ নেই। এই নদী যেমন এক বিস্ময় সেখানে-তেমনি বিস্ময় টেলিভিশন, মোবাইল-তবে তা সর্বগ্রাসী বিস্ময়। সেই বিস্ময়ের ছোঁয়া এই অঞ্চলের নারীরা হয়তো পায় না। তাদের কাছে সিনেমা- নাটক- কি মোবাইল সমস্তই পুরুষের ভোগ্য।

যে মেলায় তাদের যাওয়া হতো তাও বন্ধ। তাদের গায়ে শুধু আঁশটে গন্ধ-তাদের হলুদ মাখা হাত চাঁদ বরণ- প্রতিবিম্বিত হয় পাথারে, কানে গুঞ্জরিত জলধ্বণি বয়ে যায় দূর দিগন্তে-সমুদ্রে। অথচ নিজের ঘরের চৌকাঠ হয়ে বয়ে চলা নদী ছাড়িয়ে তার যাওয়া হয় না কোথাও। এমনকি এই দ্বীপের আশপাশে যে চরগুলো আছে-আলতাফ চর, কমলার চর, দমার চর, তাল চর, হিয়াল চর, জাহাজ মারা। সেখানে হয়তো তার নিজের কি কোন আত্মীয়ের বাড়িতে যেতে হলে বোরখায় নিজেকে বেঁধে ট্রলার বা নৌকার কোণায় নিজেকে গুঁজে দিয়ে নদী পাড়ি দিতে হয়।

অথচ উদলা নদীর বুকে সে-ই মানব সভ্যতার উন্মেষ কালের প্রতীক হয়ে ওঠে। প্রকৃতিতে সে কতো উন্মুক্ত, কিন্তু সমাজ তার শৃঙ্খল। নিঝুম দ্বীপে মানব বসতির বয়েস পঞ্চাশ বা কিছু বেশি হবে। আগে জেলেরা মাছ ধরতে এসে এখানে অস্থায়ী বসত গড়ে তুলেছিলো। ধারণা করা হয় চল্লিশের দশকে মানুষের যাতায়াত শূরু হয়।

তবে গল্প এখানেও আছে। প্রথমে এর নাম ছিল বাওল্লার চর। হাবিবুল্লাহ নামক জনৈক ব্যবসায়ী এখানে পরিকল্পিত বসত গড়ে তোলে। ১৯৭২ সালের ঘূর্ণিঝড়ে তিনশো ষাটটি পরিবার ভেসে যায়। পাঁচ বছর পরে এক বাথানিয়া তার শ’ শ’ মহিষ-গরু-ভেড়া নিয়ে সেই দ্বীপে গিয়ে আবারো বসতি গড়ে তোলেন।

তার নামেই চরের নাম হয় চর ওসমান। আশির দশক থেকে সেখানে নিয়মিত বসতি গড়ে ওঠে। ১৯৭৩ থেকে সরকারিভাবে দ্বীপটির নাম নিঝুম দ্বীপ হয়। গল্পকে ছাড়িয়ে যায় যে বাস্তবতা তারও নজির আছে এই দ্বীপে। কেরফা বুড়ি।

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর সংঘটিত ঘুর্ণিঝড় বইছিল একশো তিরিশ মাইল বেগে। দশ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায় সেই ঝড়ে। কিন্তু বেঁচে যায় এই কেরফা বুড়ি। শাড়ি আর শরীরে জড়িয়ে থাকা কেওড়া গাছ সাথে নিয়ে লড়ে যায় পুরোটা ঝড়। মহাপ্রলয়ের ঢেউ তাকে বিশ ফুট উঁচুতে কেওড়া গাছের মাথায় তুলে নেয়।

সেই মাথায় নিজেকে শাড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে বেঁচে থাকেন তিনি। কেওড়া গাছকে স্থানীয়ভাবে কেপড়া ডাকা হয়। কেপড়া থেকে কেরফা। কেরফা নোয়াখালি অঞ্চলের ভাষা। যার অর্থ নতুন কোন জটিলতা তৈরি-অভাবনীয় অবস্থা।

সেই অর্থে বিস্ময়ও বটে। কারণ বিস্ময়ইতো-এতো প্রচন্ড ঝড়কে খালি হাতে হারিয়ে দিয়েছিল যে নারী-সেই এই সমাজের থাবায় কেমন অসহায়, পেটে তার হাহাকারের মেঘ ডাকে, ঝড়ের সাথে লড়ে যাওয়া হাতের তালুতে ভাটা শেষের শূণ্যতা। নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর-চারপাশে মেঘনা। দিগন্তে দুধশাদা ঝুরঝুরে বালি। চরাচর জুড়ে আছে উড়ি ঘাস।

খালি পায়ে এই ঘাসের খোঁচা জলুনি ধরিয়ে দেয়। সবুজ ঘাসের তীক্ষ্ণাগ্র মুখে নিষ্ঠুরতা আর লম্বা লাল শেকড় দ্বীপের মাটিকে আঁকড়ে ধরে। কেওড়ার উর্দ্ধমুখী শ্বাসমুলেও নোনা জলের বিরুদ্ধতা। তারাও তিলে তিলে পলিবালি জমা করে। সরকার ১৯৭৩ সালে এখানে চার জোড়া চিত্রা হরিণ ছেড়েছিল।

তাই এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে সংখ্যায় দশ পনেরো হাজারে। আছে শিয়াল আর শিকারী কুকুর। তাদের খেয়ে যাওয়া হরিণের হাড়গোড় পাওয়া যায় বনে। বাঘও ছেড়েছিল-দুটো। মানুষের হাতেই তাদের শেষ পরিণতি।

এখানে হরিণ মারা নিষেধ। দুই চারজন আইন না মেনে শাস্তিও পেয়েছে। কিন্তু এখানে হরিণ মারার কোন চিন্তাই কেউ করে না। মাত্র দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। বিদ্যালয়ে যাওয়া বা পড়াশোনা নিয়ে কারুর কোন মাথ্যা ব্যথা নেই।

অথচ আইন তারা ঠিকই মেনে চলে। শহরেই এতো পান্ডিত্য-উচ্চ শিক্ষা তবে কোথায় মিলায়। আর হরিণের চলনে যে নিঃশব্দতা, খাড়া কানে সদাই সজাগ থাকা, ওরাও তেমনি। হরিণ যেমন তার শিঙে শিঙ ঠুকে মেতে ওঠে বিকেলের লাল সুর্যের ঝিলিক দেয়া নদীর পাড়ে। ওরাও বলিতে দাগ কেঠে-বাহু আর শিনায় টানটান ভাব এনে হাডুডু দাড়িয়াবান্ধা খেলে-শেষ বিকেলের লাল সূর্য ঠিকই পিছলে যায় তাদের কালো শরীর বেয়ে।

জোয়ার ভাটাই এখানকার মানষের জীবন মরণ। নোনা খালের গায়ে গায়ে গড়ে ওঠা চরের মানুষের ক্ষেতে ক্ষেতে নুন জমে-ওই মাটিতে আর ফসল হয় না। নদীই তাদের ভরসা। সেই নদীর নানা রঙের সোঁতে নানা বরণ মাছ। সোঁতের আঁষটে গন্ধে তাদের দখল।

এটুকু না থাকলে জীবন চলে না। চেনা নদীর বাইরে যে অচেনা নদী আছে তাতে যে ঢেউ জাগে, তাতে যে ঘুর্ণি ওঠে সেখানে মরণ আছে। কেউ তাই ভুলে সেই পথ মাড়ায় না। এটা নদীর সাথে তাদের বোঝাপড়া। আর খোয়াজ নবী তাদেও বাঁচানেওয়ালা।

সারাদিন নদীতে থাকলে নামাজ পড়ে কখন-আল্লানবী তাই মুখে মুখেই। মৃত্যুকে সিথানে রেখে তারপরও এতো নির্ভয়ে ওরা থাকে, কারণ তাদের বেঁচে থাকার আকুতি আর নদীর প্রতি শ্রদ্ধা। বর্ষার ঝড়েজলে নোনা নখর আঁচড় ফেলে চরের মাটিতে, গ্রাসে গ্রাসে মাটি গিলে নদীর পেট গর্ভবতী হয়, হয়তো আবার দূরে কোথাও সেই মাটি জমা হয়, জন্ম হয় নতুন চরের। চরে চরে মানুষ নোনা জলের সাথে লড়াই করে বেড়ায়। গরু-মহিষ-ভেড়ার বাথান আছে, তারাই দুধ দোয়, দই বানায়, বাজারে নিয়ে যায়, ঘরে ফিরে আসে দুধের গন্ধ লাগা টক টক পিছলা শরীরটাকে নিয়ে।

তাদের জন্যে বিদ্যুৎ নেই, হাসপতাল নেই, বিদ্যালয় নেই, বহুবর্ণিল বাজার নেই। মরণ এখানে নৈমিত্তিক কিন্তু ভয়ের নয়। দরিয়ার সরে কতো শরীর অদৃশ্যে মিলায়-তার কোনটা খায় শেয়ালে, আধ খাওয়া লাশ ঘরেও ফেরে না। তবুও সেই দরিয়ার কুলে কুলেই তাদের জীবন। দরিয়াতেই তাদের অবিশ্বাস আর রহস্যময়তার জীবন বাঁধা।

নিঝুম দ্বীপে সারস, মাছ রাঙা, চিল, কুরবা, বক, বুলবুলি, ময়না, আর কাক আছে। কেওড়া শিরিষ কলা এমন কিছু গাছ আছে। মেঘনা আর সমুদ্রের মিলনস্থলে আছে বারো কিঃ মিঃ লম্বা সৈকত। এই দ্বীপে নেই ব্যাংক-হাসপাতাল-বিদ্যুৎ-ইটের রাস্তা-কোন প্রকার ইঞ্জিন চালিত যান-কালো ধোঁয়া-সন্ত্রাস-পুলিশও দেখিনি। শীত আসলে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি।

সাগরের ওঙ্কার আর পাখির কলতানের সুরে ভাওয়াইয়া কি পল্লিগীতি ভেসে বেড়ায় বাতাসে। কতো রঙের পালে পালে কতো স্বপ্ন পাড়ি দেয় জলপথ। নয়টি গ্রাম মিলিয়ে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না শব্দের বিদঘুটে আর্তনাদ। চিত্রল হরিণের শব্দ সতর্কতার প্রতি খেয়াল আছে সবারই-এমনকি কৈশোর পেরোনো বালিকারও। হরিণের সৌন্দর্য আর নৈশঃব্দে সে বেড়ে ওঠে।

চঞ্চলতা আর ক্ষিপ্রতায় নোনা জলের সোঁতে সোঁতে তারা লড়াই করে বেঁচে থাকে। মেঘনার বুকে ফিরে বেড়ায় মাছের নৌকারা- প্রাপ্তিহীন। সেই জেলেরা-মহিষ, গরু, ভেড়া চড়ানো বাথানীরা- তাদেরওতো সভ্যতা আছে-প্রকৃতিসম্ভূত সভ্যতা। কিন্তু ক্রমশ তারা নিবীর্য-হতাশ-পেশা ছেড়ে পালাতে চায়-শহরে। সেখানেও শহর ঢুকছে- বাণিজ্য ঢুকছে।

প্রথমে ধর্ম দিয়ে-সেই ধর্ম উৎসব-মেলা বন্ধ করেছে। কিন্তু বন্ধ করেনি ডিজেলে চলা জেনারেটরের বিদ্যুত দিয়ে যে টেলিভিশন চলে তাকে। ঢুকেছে মোবাইল-এ্যান্টেনা লাগিয়ে। যে ছেলেটি জীবনে একবার চট্রগ্রাম গিয়েছিলো-বাস দেখে এতো ভয় পেয়েছিলো, আর কখনোই শহরে যাবে না বলেছে। তার হাতেও মোবাইল।

সেও গেয়ে ওঠে-চটুল বাংলা সিনেমার গান। এমনই হয়েছে সব জায়গায়। বাংলা সিনোমর নায়িকারাই পরে হিন্দি হয়ে গেছে-তারপর পর্ণো হয়েছে। এখনও সেখানে গাজির গীত গায় যে মানুষটি-তার দেখা পাইনি। আবার যাবো।

আমাদের সংস্কৃতিকে ধ্বংসের কৌশলটা বুঝতে হবে। আসার সময় নোয়াখালির চেয়ারম্যান ঘাটে নেমে দেখলাম অসংখ্য বাজারি পানীয় ট্রলারে উঠছে-যে ট্রলার মাছ নিয়ে এসছিল। নিঝুম দ্বীপের জোয়ার ভাটায় মিলে গিয়ে নিত্যই পুঁজিবাদ যাওয়া আসা করছে-টের পেলাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।