আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এরশাদকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বা ভ্রাম্যমান রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাবটি ভালো

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

দিন দিন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্সের যোগানটা কমে আসছে। সব গুলো মিডিয়া সমান ভাবে প্রকাশ করছে এজাতীয় খবর। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যেসব পরিবারের সদস্যরা দেশের বাহিরে আছেন তারা জানেন বর্তমান তাদের আত্মীয়স্বজন কেমন আছে সেখানে।

তারা সেখানে অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমাদের অর্থনীতির বড় একটি যোগান আসে বিদেশে থাকা শ্রমিকদের কামাই করা টাকা। তারা এদেশে সেই টাকা বিনিয়োগ করছে। যেটা পুরোটাই লাভ এই বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলেও সত্য যে বিগত কোন সরকারই এই অতিলাভজনক খাতটিকে সবসময় অযত্ন দৃষ্টিপাত করেছে।

খুব একটা গা করেনি। বিদেশে কাজ করা শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা, আইনগত জটিলতা, দুতাবাসীয় সাহায্য সহযোগীতা কোনটাই দেখভাল করেনি সরকার। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে, "টাকাতো আসছেই, এত নজর দেয়ার কি আছে? নজর দিলেও আসবে, না দিলেও আসবে। " প্রচন্ড অভিযোগ আছে, সেসব দেশে অবস্থানরত শ্রমিকেরা সেসব দেশে আমাদের দূতাবাস থেকে কোন প্রকার দাপ্তরিক সুযোগ সুবিধা পায় না। বরং তারা সেখানে প্রচন্ড হয়রানির শিকার হতে হয়।

কিন্তু গত প্রায় দুই তিন বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক জট লাগার সাথে সাথে বিদেশে অবস্থানরত শ্রমিকদের উপরেও নেমে আসে দুর্যোগ। কারণ যে পরিবারের কর্তা নেই সেই পরিবারের সদ্যসের উপরে তো দুর্যোগ নেমে আসবেই। এই পোষ্টে সেসব দুঃসহ অবস্থার কথা বলতে গেলে পাতার পর পাতা লেখা যাবে। মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের প্রচুর শ্রমিক আছে, তারা যে এখন কতটা কষ্টে আছে সেটা বলার মত নয়। তার উপরে আছে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা।

অনেক আশা ছিল, একটা গণতান্ত্রিক সরকার আসার পর মধ্যপ্রাচ্যের এই সমস্যাগুলো কেটে উঠবে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এই সরকারের উচিত ছিল প্রথমেই রেমিটেন্স খাতটাকে যত্ন নেয়া। অর্থাৎ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সমস্যার সমাধান করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে লিখা সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে যদি তাকে ভ্রাম্যমান রাষ্ট্রদূত বা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দুত করে এই জাতীয় সমস্যা সমাধান কল্পে নিয়োগ দেয়া হয় তবে চলমান মধ্যপ্রাচ্য সহ অন্যদেশে কাজ করা শ্রমিকদের সমস্যগুলো নিরসন হবে। কারণ এই ধরনের লিঁয়াজো ব্যাক্তিগত ইমেজের উপরে নির্ভর করে।

এটা সত্য। আর সেদিক দিয়ে এরশাদের বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রনায়কদের সাথে লিঁয়াজো ভালো। আর্ন্তজাতিক ভাবে পরিচিত বিশেষ করে এই মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের সাথে সুসম্পর্ক আছে এমন কোন নেতা-নেত্রী বা আমলার অভাব আছে বলে মনে হয় বর্তমান সরকারের। অন্যকোন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয় বা কোন প্রকার রাজনৈতিক সমর্থন না করেই আমাদের দেশের বর্তমান স্বার্থরক্ষার খাতিরেই এরশাদকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বা ভ্রাম্যমান রাষ্ট্রদূত করা উচিত। এই প্রস্তাবটি যথাযথ যুক্তিপূর্ণ।

অন্ততঃ কিছুদিন পরীক্ষামূলকভাবে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়ে দেখতে পারে। কারণ আমাদের মনে রাখতে হবে, বহিঃবিশ্বে এদেশের ভাবগাম্ভীর্য উন্নয়নের চিন্তাভাবনা দেশের অভ্যন্তরের রাজনৈতিক মতাদর্শ উর্দ্ধে রাখা উচিত। সব কিছুর আগে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে কিভাবে হবে সেদিকে খেয়াল রাখা সরকারের উচিত।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.