সামনে আছে অনেক কি ছু, দেখতে চাই আর ও কিছু
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা স্হায়ী কমিটির সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমদ সিদ্দিকির ছেলে দাবি করেছেন ঢাকার মেয়র নির্বাচনে দলের মনোনয়নের জন্য চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার কাছে পাঁচ কোটি টাকা চেয়েছেন।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দীকির ছেলে
চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দীকি এ অভিযোগ করেন।
গুলশানের বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইরাদ সিদ্দীকি এক পর্যায়ে বলেন, "তিনি জানতে চান আমার কাছে যথেষ্ট টাকা আছে কি না। নির্বাচনের (ব্যয়) জন্য তিনি পাঁচ কোটি টাকা চান। কিন্তু আমি ফালু (মোসাদ্দেক আলী ফালু) বা আব্বাস (সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস ) নই।
"
ইরাদ বলেন, "আমি তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তখন আমি এ ব্যাপারে (ঢাকার মেয়র পদে নির্বাচন) আগ্রহ প্রকাশ করি। "
পূত্রের পেছনে বসে থাকা বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দীকি এ পর্যায়ে উঠে দাঁড়ান এবং সংবাদ সম্মেলন শেষ বলে ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, "ইরাদ নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি। সে আমাদের চেয়ে বেশি মেধাবী ও প্রতিভাবান।
তবে তার অভিজ্ঞতা কম। আবেগপ্রবণ হয়ে সে কিছু কথা বলে ফেলেছে। আশা করি আপনারা মিডিয়া ব্যাপারটা সেভাবে দেখবেন। "
মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, সাবেক মেয়র বিএনপির মীর্জা আব্বাস ও আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ হানিফকে দুর্নীতিপরায়ণ আখ্যায়িত করে ইরাদ বলেন, "তারা সবাই ব্যর্থ। "
যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেছেন দাবি করে তিনি বলেন, "আমি সৎ, সাহসী, ন্যায়পরায়ণ ও আত্মনিবেদিত বাংলাদেশী।
"
বিএনপি'র সব প্রার্থীকে কটাক্ষ করে ইরাদ বলেন, "খোকা, আব্বাস, আ স ম হান্নান শাহ ও আব্দুল আওয়াল মিন্টুদের কেউই গ্রহণযোগ্য প্রার্থী না। "
ইরাদ বলেন, "তাদের সবার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ১/১১ এর পর তারা সবাই বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। কাউকে কাউকে জেলেও যেতে হয়েছে। "
এক প্রশ্নের জবাবে 'বিএনপিমনা' এই মেয়র প্রার্থী বলেন, "সাদেক হোসেন খোকা মেয়র হিসেবে ব্যর্থ।
তিনি সিটি মেয়রের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে অর্থ কামিয়েছেন।
"মির্জা আব্বাস একজন পরিবহন চাঁদাবাজ।
"হান্নান শাহের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি গণতন্ত্রের জারজ-সন্তান।
"মিন্টু বিদেশি পাসপোর্টধারী পাশ্চাত্যের দুর্নীতিবাজ দালাল।
"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।