আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুভি নিউজ - "কে ভাংগে কাঁঠাল ম্যাডামের মাথায়!"

আগামী ১২ই মার্চ ঢাকার নয়া পল্টন এবং এর আশেপাশের এলাকার জনগনকে জানানো যাচ্ছে যে - অত্র এলাকায় একটি একশ্যান মুভির সুটিং অনুষ্ঠিত হবে। যারা গোল্ড ফিম মেমোরি থেকে একটু বেশী মেমোরীর অধিকারী তাদের নিম্চয় মনে আছে - "মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী" মুভির সুটিং এর কথা । ২৮ এ অক্টোবরের সেই মুভিটির প্রযোজক সংস্থা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাইতুল মালের গোপন সূত্রে জানা গেছে যে সুটিং এ রিয়েলিটি শোর মতো দৃশ্য ধারন করতে গিয়ে তাদের কিছু কর্মী জীবন দিলেও তারা তাদের বিনিয়োগ উঠিয়ে আনতে পারেনি। কারন মুভিটির পরিবেশক সংস্থার প্রধান ইয়াজউদ্দিনের অতিরিক্ত ম্যাডাম নির্ভরতা সমস্ত পরিকল্পনাকে ল্যাজেগোবরে করে ফেলে দিলে সেন্সর বোর্ড নতুন মুখ হিসাবে দুই উদ্দিনরে আগমনে মুভিটির উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। তারপর প্রযোজক সংষ্থা জামায়াত নতুন মুভি তৈরী উদ্যেগ নেয় - "চোরাগোপ্তা হামলা" নামে এই মুভিটির সুটিং করার লক্ষ্যে ওরা কোন পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই ঢাকার প্রানকেন্দ্র মতিঝিল-বিজয় নগর - কাররাইল-মগবাজার এলাকায় অফিস সময়ে যানবাহনের উপর হামলা করে।

আইনশৃংখলা বাহিনীর কিংকর্তব্যবিমূরতার সুযোগ তাদের উপরও হামলা হয়। কিন্তু গনতন্ত্রমনা দর্শকরা এই ধরনে আচমকা হামলার মুভি পছন্দ করেনি। বিশেষ করে মিডিয়ার লোকজন যথাসময়ে উপস্থিত হতে না পারার করনে অনেক দৃশ্যধারন থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারনেও মিডিয়া সিন্ডিকেট মুভিটি পছন্দ করেনি। মিডিয়া সকল কর্মকান্ডের জন্যে ঘোষনা দিয়ে সময় নিতে পছন্দ করে - যাতে তাদের টিভি ক্যামেরাগুলো যথাযথ ভাবে স্থপান করা যায় আর আগে থেকেই কথকশোতে কথকগুন সময় ব্যয় করে টিভিকে অল্প খরচে অন এয়ার রাখতে পারে। "চোরাগোপ্তা হামলা" ফ্লপ হওয়ার পর প্রযোজক সংস্থা জামায়াত নতুন পরিকল্পনা নিয়ে নামে।

এরা নতুন মুভির প্লট তৈরী করে যার নাম - "ইস্যু ছিনতাই" - এই নামের মুভিটির মুল থীম ছিলো জাতীয়তাবাদী ব্যানারের। বিজয়দিবসের মাত্র দুই দিনের মাথায় জাতীয়তাবাদী ব্যানার মুক্তিযুদ্ধা সমাবেশ আয়োজন করে। এখানে দুই গ্রুপের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে মুভির দৃশ্যধারন দূর্বল হয়ে যায়। জাতীয়তাবাদীরা দেরীতে ঘুম থেকে উঠে তাই অনুষ্ঠানের সময় ছিলো বিকেলে আর জামাত-শিবির একশ্যানগ্রুপ ফাইটিং দৃশ্যগৃলো ফজর নামাজ পড়েই চিত্রায়িত করা শুরু করে। নায়ক নায়িকার দেখা হওয়ার আগেই ভীলনের সাথে ফাইটিং বিষয়টা সকল দর্শকদের অবাক করে দেয়।

এই ধরনের মিসআনডারস্যান্ডিং এর কারনে জাতীয়তাবাদী প্রযোজনা সংস্থা "ইস্যু ছিনতাই" মুভিটির সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা সম্পূর্ন অস্বীকার করে। ফলে মুল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জামায়াতের সকল বিনিয়োগ মাঠে মারা যায়। এবার জামায়াত আর ভুল করছে না। নিজেদের প্রডাকশন হাউজকে পুরোপুরি মার্জ করে দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ব্যানারের সাথে। ১২ মার্চ যে মুভিটি সুটিং হবে তার ফাইটিং দৃশ্যগুলো যদিও জামায়াত শিবির ফাইটিং গ্রুপের তত্ত্বাবধানে এবং সার্বিক অংশ গ্রহনেই হবে।

কিন্তু তারা এবার পুরো মুভির পরিচালনার ভার দিয়ে দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ব্যানারের পরিচালক খালেদা জিয়ার হাতে। তবে যতটুকু জানা যায় ছবির ব্যয় ভার বহন করবে যৌথ ভাবে জামায়াতের বাইতুল মাল এবং জাতীয়তাবাদী ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কমিশনার ও মেয়র মনোনয়ন প্রার্থীগন। আর ফান্ড ব্যাকআপে আছে জোট সরকারের সময়কার লুটপাটের মাধ্যমে টাকার কুমির বনে যাওয়া ব্যক্তিবর্গ। এই মুভির দৃশ্যগুলোকে হূদয়গ্রাহী ও বাণিজ্যিকভাবে সফল করার লক্ষ্যে পরিচালকের নেতৃত্বে পুরো টিম দফায় দফায় মিলিত হচ্ছে এবং প্রতিদিন সংবাদের মুল আইটেমে তাদের আপডেট দিচ্ছে ছবির চিত্রগ্রাহক মিডিয়া সিন্ডিকেট। মিডিয়ার এই উৎসাহের কারন হিসাবে তাদের বিনা খরচে প্রোগ্রাম আইটেম এবং কথক শোর আইটেম পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে মুভির ভীলেন হিসাবে কয়টি গ্রুপ থাকবে তা নিয়ে নিশ্চিত কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। এই ক্ষেত্রে ভীলেন হিসাবে শুধু আইন রক্ষার বাহিনীই থাকবে নাকি সরকারী দলের ক্যাডারও থাকবে - তা একটা সাসপেন্স হিসাবে গোপন রাখা হয়েছে। অন্যদিকে জামায়াত শিবির ফাইটিং গ্রুপের অধিকাংশ সদস্য দেশের বিভিন্ন জেলে এবং পুলিশের ভয়ে পলাতক থাকায় দৃশ্যকে আরো একশানপূর্ন করার লক্ষ্যে জেএমবি বা হুজি বা হিজবুতের স্পেশাল ইফেক্ট ষ্পেশালিস্টদের সাথে যোগাযোগের উড়া খবর বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। তবে - "কে ভাংগে কাঁঠাল ম্যাডামের মাথায়!" মুভিটির শেষ দৃশ্যটি এখনও পরিষ্কার নয়। যদিও জামায়াত-শিবিরের ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ড ম্যাডামের মাথায় ভাংগবে এবং ম্যাডাম জেনেশুনেই সন্মতি দিয়েছে - কিন্তু কাঁঠালের রসালো কোঁয়াগুলি কার ভাগে যাবে তা জানার জন্যে ১২ তারিখে টিউন করুন - বাংলাদেশের যে কোন টিভির রংগীন পর্দায়।

মুভি বিষয়ক অতিরিক্ত খবর হলো - আগামী ১৪ তারিখে সরকারী দলে প্রযোজনায় আরেকটি সামাজিক সেন্টিমেন্টাল মুভি "বুবুর ডাক!" এর সুটিং হবে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে। সামাজিক ছবিতেও মাঝে মধ্যে যে লাঠি মারামারির দৃশ্য থাকে তা এই মুভিতে থাকার সম্ভাবনা কম - কারন এই মুভির ভীলেন গ্রুপের গ্রেনেড হামলার কলাকুশলীগন এখ্ন চৌদ্দশিকের ভিতরে অবস্থান করছে। আর সাধারনত রাজপথে চিত্রায়িত মুভিগুলোর ভীলেন হিসাবে আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনী অভিনয় করে - এরা এখানে মুভির নায়কের সাথে কমেডিয়ান হিসাবে অভিনয় করে। এই মুভির অর্থ যোগান দেবে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সম্ভাব্য প্রার্থীগন এবং বর্তমানে চুরিচামারিরত নেতারা। যেহেতু বিশাল ব্যানারে নির্মিত হবে দুইটি মুভি - সুতরাং জনদুর্ভোগের কথা নাই বা বললাম।

যারা বানিজ্যে লক্ষী খোঁজের তাদের জন্যে সুখবর হলো এই বিশাল বাজেটের দুইটি মুভির জন্যে হাজার হাজার এক্সট্রা নেওয়া হবে। যারা মিছিল মিটিং এ আদম সাপ্লাইএর বিষয়ে সামান্য অভিজ্ঞতা আছে - তারা এখানে ভাগ্য পরীক্ষা করতে পারেন। তবে যেহেতু একদিন সুটিং - তাই বাকীতে কাজ করলে পস্তাতে হবে। তা ছাড়া দৃশ্যগুলো ভায়লেন্ট করতে গিয়ে যদি কিছু আদম রাজপথে অন্তিযাত্রা করে - তাহলে মহাবিপদের সম্ভাবনা - তাই একটা বিদেশী পাসপোর্ট্বা ভিসা তৈরী রাখাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। (ব্লগার এস্কিমো থেকে নেওয়া) Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.