আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক স্বপ্নচারীর আত্নকথন ও একটি দীর্ঘশ্বাস...

স্বপ্ন জগতের গোলাপী আকাশে ডানা মেলা মুক্ত বিহঙ্গ ! না ভয় আর না পিছুটান ....

একটা ছেলে। মঝারী হালকাপাতলা গড়ন, উজ্জ্বল ফর্ষা গায়ের রং । একটু ভাবুক টাইপ, কেমন একটু বিষন্ন, কিছুটা যেন বিমর্ষ। অনেকের শোরগোলের মাঝে থেকেও যেন একটু বিচ্ছিন্ন, আলাদা আর নিস্প্রভ। কিন্তু, চারপাশের ছাইপাশ নিয়ে মেতে থাকা মানুষগুলো ঠিক জানত না অথবা ধারণায় আনতে পারত না যে তাদের দৈনন্দিন রোজনামচার সাথে জড়িয়ে থাকা, নিজের জ্বলজ্যান্ত ছায়ার মত এই ছেলেটা আসলে কি, বা কিধরনের তার চিন্তা ভাবনা।

কি নিয়ে সে ভাবে, কিভাবে কাটে তার একান্ত সময়গুলো কিংবা কেমন ধরনের স্বপ্ন সে দেখে। একেবারে তাকে যে ঠিক ইগনোর করা যেত, তাও বলা যাবে না। আবার,আসর গরম করাও তার দ্বারা হবার নয়। কেমন যেন নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকা স্বভাব, অনেকের দৃষ্টিতে গর্তে থাকা জীব। এমন আজব ধরনের একটা জীব নিজের গর্তে বসে যে সবই শুনে যাচ্ছে, কিন্তু সাড়া দিচ্ছে না কিংবা দেয়ার প্রয়োজনবোধ করছে না ।

আসলে আসর গরম করার চেয়ে নিজেকে চিন্তার জন্য দু-দন্ড সময় দেয়াটা ওর কাছে বেশি দামি মনে হয় সবসময়। কিন্তু, তার ভেতরের সত্তাটার খোঁজ না পেলেও যে জিনিসটায় সে নিমিশে যে কারো সমীহ আদায় করে নিত, তা হচ্ছে - তার মোহনীয় শৌখিন মুখাবয়ব মানে অভিজাত এবং কিছুটা ঈ্ষণীয় একটা চেহারা সে পেয়েছিল। যদিও বা ওতে তার নিজস্ব কোন কৃতিত্ব ছিল না; কিংবা নিজের চেহারা কিংবা স্রষ্টাপ্রদত্ত আলীশান শরীরখানার প্রতি কোন দিনই মুখ ফিরিয়ে তাকায়নি; এবং কেন যেন শুধু এই দিকটাতেই সে যেন ছিল আজন্ম অলস। কখনো এদিকে খেয়াল হত যখন সে দেখত, রাস্তাঘাটে ভিষন স্মার্ট ভিউ এর একটা গড়পড়তা ছেলের চাইতে আশপাশের দুচারজনের দৃষ্টি যেন তার উপরই আটকে যায় মুহূর্তখানেকের জন্য - যদিওবা আগাগোড়াই সে অগোছাল এবং আদৌ রূপসচেতন সে না । যখন বিষয়টা খেয়ালএ আসত, খুব বড়জোড় আধমিনিট আফসোসের জন্য সে ব্যয় করত, ঠিক যেন ওই মুহূর্তে তার মনে হত, ইশ! মা যদি আবার ছোট্টবেলাটির মত তার সোনামনিটাকে যত্ন করতে আসতেন ! তারপর ভাবত, কি হবে নিজেকে সাজালে? কে দেখবে আমাকে ? যারা দুমিনিট দেখবে তারা ওই বড়জোড় চারমিনিট মনে রাখবে ।

তারপর?? যদি কেউ তাকে মনে রাখতে চায় তবে তাকে অবশ্যই তার আসল রূপটাকে চিনতে হবে । ছেলেটার নাম আহমদ। ছোটকালে একদম সে যখন শিশুটি ছিল, মাথার চুলগুলো ছিল একেবারে পাতলা লালচে দেখতে, যেন ছুঁলেই পড়ে যাবে সব । সে নিয়ে বাবার সেকি চিন্তা, হেন ফলের রস থেকে শুরু করে ডিম দুধ উপাদেয় কোন কিছু গিলাতে বাদ রাখেন নি। ছেটে দিলে দ্রূত বাড়ে বলে নিয়মিত নিজের হাতে ছেলের চুল ছেটে দিতেন বারান্দায় বসে।

আর, এত পরিশ্রম বৃথা্ যায় নি, কৈশরে পা দেয়ার অনেক আগেই মাথায় ঘন কুচকুচে কাল, পরিপুষ্ট ঝাঁকরা চুলের বাহার সে আবিষ্কার করে। শুধু ঝাঁকরা বললেই হবে না, তার চুল অনেকের নজরও কাড়ে - সাধারনত যে ধরনের চুল রুপসচেতন যে কোন ললনা পেলে বর্তে যায়। বাবা, হেসে হেসে বলতেন, “চুলতো না, যেন বরাক বাঁশ” । কিছুটা একরোখা সাদাসিদে ছেলেটা ছোটকাল থেকেই অংকে ছিল কাঁচা। ক্লাস এইটের প্রথম সাময়িকি পরীক্ষা পর্যন্ত টেনেটুনে পাস করল অংকে।

তারপর বৃত্তি পরীক্ষা দিল এবং সেখানেও সম্ভবত আটকে গেল অংকেই। অংকে কাঁচা খেতাবটা যখন লেগেই গেল, ঠিক তখনই একদিন এক ক্লাসমেটর অংক করা দেখে তার আফসোস হল ইশ! আমিও যদি পারতাম! কি ভালোই না লাগত। সেই, শুরু হল অংকের সাথে লীলা খেলা। তারপর এক বছরের মাথায় অবস্থা এমন দাঁড়াল, যে সে শুধু একটা জিনিস ই পড়ে আর বাকিগুলোয় টেনেটুনে পাস। শুধু ওইটাতেই কঠিন-সহজ যেকোন পরীক্ষায় ৯৫% মার্কস ফিক্সড।

ওই অংক নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে ইন্টারে উঠল, এবার তার মন জয় করে নিল পদার্থবিজ্ঞান। এবং ওইখানেও তার চিন্তা চেতনা নিবিষ্ট হয়ে গেল শুধু অংকেই। দিনরাত শুধু অংকই করত, কেননা ওই জিনিসটায় পড়ে থাকত তার মন। এমনকি পরীক্ষার বাঁধাধরা নিয়ম কানুনও তাকে বাঁধতে পারত না। যেকোন, পরীক্ষার হলে সে যেত শুধু ম্যাথসগুলো দেবার জন্য এবং প্রস্নের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যতগুলো অংক থাকত, সবগুলো অপশন সহকারে কয়েকটা নিয়মে করে রেখে আসত, কিন্তু কোন থিউরি না! কারন, থিউরি জিনসটায় বাঁধাধরা আছে বলে তার মনে হত, এবং চরম বিরক্ত লাগত তার কাছে।

সে কোন বাঁধাধরায় বন্দি হতে রাজি না। যেদিকে মন টানে সেদিকেই মনের নৌকা ভাসাতে ভালো লাগত তার –তা হোক উজান কিংবা ভাটি। আর, এমনি মনের সুখের নৌকায় ভাসতে ভাসতেই সে যেন পেয়ে গেল গন্তব্যের খানিক আভাস; অথচ এতদিন যখনই যেখানেই এই ধরনের প্রশ্নের সম্মুক্ষিন সে হয়েছে, শুধু হাবার মত চেয়ে থেকেছে আর শুনে গেছে সবার বড় বড় আকাঙ্খার কথা। কিন্তু এবার সে পেয়ে গেছে একটা কিছু। পেয়ে গেছে এমন কিছু যাতে তার অনুভুতি সাড়া দেয়, যা্তে তার মন খুশিতে অবগাহন করে- ঠিক তেমনি একটা স্ব্প্ন; যে স্বপ্নের সূচনাও ওই অংক নিয়ে খালতে খেলতেই আর যার পথটাও পাড়ি দিতে হবে অংকের রেলিং ধরেই- হ্যাঁ, প্রকৌশলের দরজায় সে খুঁজছিল অংকের নতুন পাঠ।

এবং স্বভাবতই তার মন-মস্তিস্ক জুড়ে যায়গা করে নিল একটা শব্দ- “বুয়েট” ঘুম, জাগরণ সবই যেন হয়েগিয়েছিল বুয়েটময়। তারপর যখন ভর্তী পরীক্ষা এল, কোচিংয়ের বুয়েটে পড়া এক বড় ভাইয়ের সাথে সে পা রাখল স্বপ্নে দেখা সেই ক্যাম্পাসে এবং ওই ভর্তী পরীক্ষার আগের একটা দিন একটা রাত সে ভুলে গিয়েছিল সবকিছু এমনকি পরদিন পরীক্ষার কথাও। তার চোখ যেন আর নিতে পারছিল না স্বপ্নিল সৌন্দর্যকে। আর অন্ধকার থেকে হঠাৎ আলোতে আসলে যেমন চোখ ঝলসে যায় ওইরকম চোখ ঝলসে সারাটা রাত সে তার স্বপ্নকে যেন ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখল। এবং পরদিন ভাগ্য যেন পিঠের পেছন থেকে দুটো শক্তিশালী অদৃশ্য হাত নিয়ে এসে চেপে ধরল তার মগজ, সেই সঙ্গে যেন তাল মিলাতে যোগ হয়ে গেল তীব্র জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং যা হবার তাই- পারা, চেনা চেনা জিনিসগুলো বেইমানী করতে থাকল একের পর এক।

অবশেষে, লজ্জা, ক্ষোভ আর অপমানের অতিশায্যে সব ছুঁড়ে দিয়ে বেরিয়ে এল মাথা নিচু করে। শেষবারের মত বিদায়ী প্রিয়তমাকে একবার ফিরে দেখে বিদায় নিল। এরপর আরোও বেশ কয়েকটা ক্যাম্পাসে তাকে পা দিতে হল এবং সবগুলোই তাকে প্রথম সারি ছেড়ে দিল সাদরে। কিন্তু, তার মন যেন তখন মরে গেছে। কোনটাই তেমন কোন অর্থ তৈরী করতে পারল না তার কাছে।

এবং বাসার চাপে সবচেয়ে কাছেরটাকেই বেছে নিল। এবং মফস্বলে বেড়ে ওঠা ছেলেটি ২য় বারের মত ফিরে আসল তার জন্মস্থানে। কিন্তু, সবই যে বড় অপরিচিত, অর্থহীন! কারণ, কিছুদিন আগেও সে জানত না, ভাগ্যের আরো কি কি খেলা তার দেখা বাকি। আর তখন যে খেলাটা সে দেখল, তার জন্য কেউ প্রস্তুত থাকেনা, কেউ সুস্থ চিত্তে হয়ত কল্পনাও করতে পারে না এমন কিছু। আর তাই তাকে মোকাবেলা করতে হল ; - সে যখন পরীক্ষার জন্য খুলনা, রাজশাহী প্রভৃতি জেলায় জেলায় দৌড়াচ্ছে বাবার সাথে, তখন বাবার অফিসে ঘটে গেল লঙ্কাকান্ড।

তার বাবা ছিলেন সরকারি শিক্ষা অফিসের বই বিতরণের দায়িত্বে। সম্পুর্ণ জেলার সবগুলো উপজেলার হাজার হাজার বইয়ের গোডাউনের দায়িত্ব ছিল তার উপর। তিনি অত্যন্ত সরল বিশ্বাসে অধিনস্তদের সুযোগ সুবিধ দিয়ে দিতেন, এবং একটু বেশিই দিতেন। এমনকি বাসায় অফিসের উঁচু থেকে শুরু করে গার্ডটির পর্যন্ত দাওয়াত করে খাওয়াতেন। আর সেই সরলতাকে সুযোগসন্ধানি কিছু কর্মচারী ধরে নেয় বোকামি হিসেবে।

এবং এর সদ্ব্যবহার করে কয়েকদিনের অনুপস্থিতিতে। তারা চোরাচালান সংঘের সাথে হাত মিলায় এবং রাতের অন্ধকারে ট্রাকের পর ট্রাক বই ব্ল্যাক মার্কেটে বেচে দেয়। এবং আহমদের বাবা আমিন সাহেব ফিরে এসে আর হিসাব মেলাতে পারেননা। এবং চোরাই দলের ট্রাক রাস্তায় পুলিশের হাতে ধরাও পড়ে। আর সাজানো অনুযায়ি তারা সহ অফিসের গার্ড পর্যন্ত একযোগে আমিন সাহেবকেই দোষী সাব্যস্ত করে এবং সাক্ষ্য দিতে থাকে ।

যুক্তি স্বরূপ তারা সমস্ত কিছুর চাবি আমিন সাহেবের কাছে থাকাকে চিনহিত করে। আসলে চাবি উনার কাছে অরিজিনালটা ছিল বটে, কিন্তু, তার সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে বহু আগেই তারা সবকিছুর ডুপ্লিকেট বানিয়ে নিয়েছিল, তিনি টেরও পাননি। অবিশ্বাস তো দূরের কথা সব সময় যেন প্রাপ্যের চেয়ে অধিনস্তদের একটু বেশিই দিয়ে গেছেন তিনি। কল্পনাও করেননি কোনদিন যে বিশ্বাসের এই সাধারন মানুষগুলি তার সাথে এত বড় বেইমানি করবে, তার এত বড় ক্ষতি এরা চাইবে। এবং ২ নাম্বারি টাকায় ওরা পুলিশকেও একরকম ম্যানেজ করে ফেলল।

ফল যা হবার তাই হল- আসামিদের ছেড়ে দিয়ে পুলিশ ভুয়া চার্জশিট বানাল আমিন সাহেবের বিরুদ্ধে । তারপর একে একে আইনের মারপ্যাচ, কোর্ট কাচারী, জেল জরিমানা করতে করতে সাজানো সংসারটা যেন, লন্ডভন্ড হতে চলল। আহমদ নামের ছেলেটা নতুন জীবনে পা দিতে মফস্বল ছেড়ে ঢাকায় আসল, ঠিক যেভাবে মধ্যবিত্ত আরো দশটা ছেলে তীব্র পরিশ্রমের পর এক টুকরো সাফল্যের সনদ হাতে নতুন জীবনের স্বপ্ন নিজ হাতে বোনার জন্য আসে, সেভাবেই আসল তার আসেপাশের ছেলেগুলো। সেও আসল, কিন্তু এমন কিছু ভয়ংকর নিষ্ঠুর বাস্তবতা মোকাবেলা করতে করতে যেগুলো ওই বয়সে বা তার অনেক পরেও কেউ কল্পনা করতে পারে না। একের পর এক বিড়ম্বনা আর পরিহাসের শিকার হয়ে হয়ে তার বাসায় শুরু হয়েগেল চরম আর্থিক টানাপোড়েন।

এরও চেয়ে বড় হয়ে দেখা দিল তীব্র মনকষ্টের অন্তর্দাহন। যে সময়টার কথা সে ভাবত কিছুদিন আগেও, যে ভাল একটা ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে চান্স পেলে কি স্বস্তি্টাই না মিলত সেই জায়গায় একটার জাগায় চান্স কয়েকটা মিলল ঠিকই, কিন্তু, স্বস্তি জিনিস্টা আর মিলল না, প্রিয় বন্ধুরা যখন মুক্ত পাখির মত ঘুরে বেড়াচ্ছে, ঠিক ওই মুহূর্তে তার এটাওটার উছিলা দেখিয়ে তাদের এড়াতে হচ্ছে, তাদের এড়িয়ে দৌড়ে বেড়াতে হচ্ছে কোর্ট-উকিল-জেলখানা আর টাকার পেছনে। সারা জীবন যে মানুষটা তার হৃদয়ের মণিকোঠায় হাস্যোজ্জল ছায়ার মত ছিল। আজ জালিমদের মিথ্যা চক্রান্তে সেই আকাশের মত বড় হৃদয়ের সরল মানুষটার অসহায় মলিন মুখখানা দেখতে হচ্ছে। যে মানুষটা নীতির প্রশ্নে আপোসহিন থাকার কারনে জীবনে অজস্র হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন, বিষর্জন দিয়েছেন শত সুখ, অভিলাস।

আজ সেই মানুষটার উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে মিথ্যা আর দূর্ণীতির অপবাদ। আর আহমদকে দৌড়াতে হচ্ছে জীবন মোহনায় এসে স্বপ্নগুলোকে একপাশে সরিয়ে রেখে এই উদ্ভট কঠিন আর ভয়ংকর বাস্তবতাকে মোকাবেলা করতে। ঠিক যখন একদিকে তারই কিছু নতুন সহপাঠি গাড়ি করে ভার্সিটি আসছে, সে মাটির দিকে তাকিয়ে তখন ভাবছে সব বিলটিল দেয়ার পর ছোট বোনের জন্য এই ঈদে কিই বা কেনা যাবে, মায়ের অসুখের চিকিৎসা শেষ করতে পারবে তো /?!?/ তারপরেও তো সে রক্ত মাংসেরই একটা টগবগে তরুন। তারও একটা মন আছে। তারও তো একটা সত্তা আছে ভেতরে।

যে সত্তাটা দু-দন্ড স্বস্তি চায়, ভালবাসতে চায়, পেতে চায় এক টুকরো ভালোবাসা। তারও হয়তো ভালোলাগে ক্যাম্পাসেরই কোন মেয়েকে। কিন্তু, ওই ভালোলাগার কোন পরিনতি নেই তাকে বলে দিতে হয় না; বাস্তবতার কড়াঘাতে হৃদয়ের একটুকরো সজীব উষ্ণ কোণ থেকে উদয় হওয়া ওই ভালোলাগাটুকু ওখানেই আরো গহীনতর প্রকোষ্ঠের দেয়ালে আছড়ে পড়ে মারা যায়… আর রেখে যায় শুধু এক আকাশ সমান দীর্ঘশ্বাস, আর পাথরচাপা কিছু কষ্ট…… যে কষ্ট সবচেয়ে পীড়া দেয় মর্মে, পীড়া দেয় এজন্য যে সে কষ্ট শেয়ার করা যায় না । ওর জীবনে বুক ভরে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে সে ওই রকমই নির্মম কিছু কষ্ট। যা শুনলে বিশ্বাস করা কঠিন কিন্তু কাউকে শোনানোও যায় না।

শুধুই একান্তে বিধাতার দরবারে চোখের পানিতে বিসর্জন, গোপনে ফেলা দুফোঁটা অশ্রু, দুফোটা তপ্ত নোনাজল আর একবুক চেপেরাখা দীর্ঘশ্বাস…… জানা নেই এর শেষ কোথায়………

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।