আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেনাবাহিনী কি সত্যি এর বিচার চায়?



Click This Link এই ব্লগের লেখাটা পড়ে কিছু কথা মনে হলে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করি। যা মনে হচ্ছে তা ধারাবাহিক ভাবে লিখি তাহলে হয়তো ভালভাবে বলতে পারবো - ১. এই যে কিছু বিডিআর জোয়ানদের দ্বারা সংঘটিত আর্মি অফিসারদের হত্যাকান্ড এটা এখন কম বেশি প্রচারিত যে - ষড়যন্ত্র এবং পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এটা যদি তাই হয় তাহলে সবাই মানবে যে এটা অবশ্যই খুবই চমৎকার একটা আক্রমণ পরিক্ল্পনা এবং একই সাথে সফল। (আমি সফল এবং চমৎকার বলছি এর সুক্ষতার দিক দিয়ে। কখনওই এর বর্বরতা বা নিষ্ঠুরতার দিক দিয়ে নয়।

) এবং একই সাথে একটি সামরিক আক্রমণ পরিকল্পনা। তাহলে ক্লাস ৮ পাস জোয়ানদের পক্ষে কি এত সুক্ষ এবং বিশাল কর্ম সম্পাদন করা সম্ভব? তাদের কি সেই ট্রেনিং এবং যোগ্যতা আছে? যদি না থাকে তাহলে এই পরিকল্পনাকারী কি শুধু একজন সিভিলিয়ানের? না এই রকম একটা সামরিক পরিকল্পনা করতে আর্মির স্ট্রাটেজিক নলেজও দরকার? তাহলে কারা তারা? আর এটা যদি আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে ঘটে তাহলে দেশের এতগুলো ইন্টেলিজেন্স তারা কেউ জানতে পারলো না?? তাহলে এই ব্যর্থতার দায়িত্ব তো এদের। যার জন্য আমরা দেশ হিসেবে এতগুলো অফিসারকে হারালাম। ব্যক্তিগত ভাবে অনেকে তাদের বাবা কে হারাল, স্বামীকে হারাল, ভাইকে হারাল। এক/দুই জন তো না, ধারণা করা হচ্ছে এটা ১৬০ এর কাছাকছি।

কি ভয়ংকর। কিছু লোকের দায়িত্বহীনতা এবং দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতা আমাদের অপূরনীয় একটা ক্ষতির মধ্যে ঠেলে দিল? এরা কি অযোগ্য না এর সাথে জড়িত? ২. এই হত্যাকান্ডের ন্যায্য বিচার করতে হলে তো যারা এর পিছনের মাস্টার মাইন্ড তাদের খুজে বের করতে হবে। বিডিআর'দের যারা শুধুমাত্র হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে শুধু তাদের শাস্তি দিয়ে কি এর প্রকৃত বিচার হবে? যারা নির্মম ভাবে খুন হলেন তাদের কি যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়া হবে? ৩. যেসব জোয়ান হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত তাদের তো বিচার করতেই হবে। কিন্তু শুধু তাদের বিচার করেই যেন তদন্ত বন্ধ করা না হয়। ৪. বাইরে থেকে দেখে একটা কথা মনে হয়েছে যে সেনাবাহিনী প্রধান মইনুল আহমেদ আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো ব্যাপারটা যেভাবে সামলেছে তা এক কথায় অসাধারণ।

এতটা প্রজ্ঞা আর বিচক্ষণতা এদেশের সরকার এবং আর্মির কাছ থেকে আমি অন্তত আশা করিনি। অনেকের কাছে শুনলাম আর্মির মধ্যে অনেকে ক্ষুব্ধ যে কেন আগেই আর্মিকে মার্চ করার অনুমতি দেয়া হয়নি। কিন্তু তা হলে মৃতের সংখ্যা কি আরও বাড়তো না? আর সারা দেশে যে অবস্থাটা তৈরী হতো তা কি শুধু গায়ের জোরেই সামলানো যেত? বলা হচ্ছে যে এটা একটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, তাহলে তাৎক্ষনিক একটা প্রতিক্রিয়া বা কাজ কি সেই ষড়যন্ত্রকেই সাহায্য করতো না দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করতে? গায়ের জোরে সব হয় না। ঐ মুহূর্তে যদি আর্মি ঢুকতো তাইলে দেশের মানুষ আজকে যেভাবে সহানুভূতিশীল তা কখনওই থাকতো না। বরং যে ঘটনায় মানুষের পক্ষে থাকার কথা বা এখন আছে আর্মি সেই মানুষকে বিপক্ষে ঠেলে দিতো।

এখন তো তা হচ্ছে না। বরং সবাই চায় এর সাথে জড়িতদের সামনের এবং পিছনের - সবার যেন বিচার এবং শাস্তি হয়। আবারও বলি যেই প্রজ্ঞা আর বিচক্ষনতার পরিচয় সেনাবাহিনী প্রধান দিয়েছে সাথে প্রধানমন্ত্রী তা অসাধারণ। ৫. ব্যাপারটা আর্মি ভার্সেস বিডিআর না..এটা যেন আমরা ভুলে না যাই। কারন দুটো শক্তিই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে।

সব বিডিআর তো আর এর সাথে জড়িত ছিল না। অনেক অফিসার তো বললো যে তাদের কে রক্ষা করেছে বিডিআর জোয়ানরা। সব মিলিয়ে আমার একটা আশংকা এটাই যে প্রতিশোধ স্পৃহায় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত কিছু সৈনিক এর জীবন নাশের মাধ্যমে যেন এই শহীদের হত্যার আসল খলনায়কেরা বেচে না যায়। আসল অপরাধীরা যেন বেচে না যায়। যারা খুন করেছে তাদের সাথে যেন পিছনের পরিকল্পনাকারীরাও ধরা পড়ে, বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি পায়।

আর্মি এবং সরকারেরই সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।