আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের সেনাবাহিনী।

যদি কখনও সুযোগ পাই, সাত বাজারের চুড়ি এনে দেব, যত্ন করো!

ঘানার এক মেয়ের সাথে চ্যাট হয়েছিল ইয়াহুতে। সে নির্বাচন কমিশনে কাজ করে। আমি বাংলাদেশী বলার সাথে সাথে সে উচ্ছসিত, "তোমাদের সেনা বাহিণী আফ্রিকায় খুবই জনপ্রিয়, তাদের মত এত চমত্কারভাবে শান্তি স্থাপন আর কোন দেশের শান্তি রক্ষী পারে নি.... ইত্যাদি, ইত্যাদি....। " পড়ে আমার গর্ববোধ হচ্ছিল প্রচন্ড। সম্ভবত ১০-১২ বছর আগের ঘটনা... পূর্ব ইউরোপের কোন এক দেশে (খুব সম্ভবত যুগোস্লাভিয়ায়.. মনে নেই) ইউ এন মিশনে বাংলাদেশ আর্মি; প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক দুর্যোগপূর্ণ গ্রামে এক ইউনিটের দায়িত্ব পরেছে।

কাজ হচ্ছে গ্রাম বাসীকে গুপ্ত আক্রমন হতে রক্ষা করা। প্রচন্ড বরফ পরছে এবং রসদ প্রায় শেষ, ওদিকে গ্রমেও খাদ্যের অভাব। এমতাবস্থায় একটি হেলিকপটারে কিছু রসদ এসেছে আর্মির জন্য। কিন্তু আর্মির জোয়ান রা প্রায় সব খাবারই গ্রামবাসীদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছে। আর তারা থেকেছে অনাহারে অর্ধাহারে।

পরে যখন তারা মিশন শেষ করে চলে আসে, ঐ গ্রমের কেউ অশ্রু সংবরন করতে পারে নি। (সেই মিশন কমান্ডার এক পত্রিকায় লিখেছিল । ) আমাদের সেনাবাহিনী নিয়ে আমরা সত্যিই গর্বিত। ইউ এন আকাশী নীল হেলমেট আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনি এখন সমার্থক (আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে)। বাংলাদেশ সেনাবাহিনি এখন শুধু একটি দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনিই শুধু নয়, বিশ্বের শান্তিরক্ষা মিশনের অগ্রদূত।

সাহসিকতা, প্রফেশনালিজম, least technology use করে High output গেইন করতে তারা পারঙ্গম। কিন্তু চিন্তার বিষয় হচ্ছে এরকম সুশৃঙল একটি বাহিনির বর্তমান আচরন। গত কয়েক দিনের ঘটনার সাথে উপরে উল্লেখিত আচরনের কোন মিল কি পাওয়া যাচ্ছে? কি হয়েছে তাদের? ছাত্রদের ফুটবলখেলাকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছে তাতে কাদের গোয়ার্তুমী দায়ী? এর পর যা ঘটেছে তা ত উনমত্ত জনতার ক্ষোভের বহিপ্রকাশ। এর পিছনে কোন অপশক্তি জড়িত আছে কিনা তা ইনভেস্টিগেট করে দেখতে হবে... সময়ের ব্যাপার। কিন্তু কার্ফিউ চরাকালিন সময়ে আর্মির আচরনের পিছনে কোন অপশক্তি জড়িত ছিল তা কি কখনও জানতে পারবো? রা.বি.এর ছাত্রীরা যারা বাড়ী ফেরার জন্য স্টেশনে দাড়িয়ে ছিল তাদের কি অপরাধ ছিল? তারা কেন আক্রান্ত হল আর্মি দ্বারা? অথবা আজিজ সুপার মার্কেটে যেসব ছাত্র (সংখ্যায় খুব সামান্য ছিল) মেসে ছিল কেন তাদেরকে ২ ঘন্টা ধরে পিটানো হল? বিল্ডিঙের মহিলারা যখন বাধা দিতে এসেছিল (মৌখিকভাবে) তখন তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে পাঠিয়ে দিল! অথবা কর্মজীবি মহিলা হোস্টেলে গভীর রাতে অভিযান, বা ঢাবির ভিতর দিয়ে ৩ ছাত্রছাত্রী যখন বাসায় ফিরছিল কেনো তাদে পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করা হল (৩ জনে কি আন্দোলন হয়!!!)? এসব পশ্নের উত্তর কখনও পাওয়া যাবে কিনা জানি না।

কিন্তু এরকম একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক এবং Most Professional সেনাবাহিনি কি কখনও এসব ঘটনার জন্য আত্মসমালোচনায় ভুগবে না? আজ আমার টেক্সের অর্থে পালিত সেনাবাহিনি আমাকে, আমার ভাই-বোনকে নিমর্মভাবে পিটিয়েছে, কোন কারন ছাড়া। ইউ এন মিশনের মনুষ্যত্ববোধের ছিটে ফোটাও তাদের মাঝে পাই নি। আবারও কো আফ্রিকান যখন আমাদের সেনাবাহিনীর উচ্চসিত প্রসংশা করবে জানিনা তখন অজান্তেই দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে পরবেকিনা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।