আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিশরের কাপুরুষ সেনাবাহিনী-

আমি সকলের মংগল কামনা করি।

ইসরাইলের সামান্য কটা সেনাবাহিনীর সামনে যে সেনাদের হাতপা চারটেই কাঁপে, ভয়ে কাপড় নষ্ট করে ফেলে, আর সুড়সুড় করে আত্মসমর্পনের পথ ধরে এগোয়, সেই কাপুরুষ সেনাবাহিনীই নিজ দেশের নিরস্ত্র জনগনের উপর চালালো ইতিহাসের ভয়াবহ গণহত্যা। এটা পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে জঘন্যতম গণহত্যা-কোন সন্দেহ নেই। যে যুক্তরাষ্টের পরামর্শে তারা নির্বাচিত মুরসী সরকারকে মাত্র এক বছরের মাথায় ক্ষমতাচ্যৃত করেছিল, মিশরের জনগণের উপর এমন গণহত্যা তারাও সমর্থন করতে পারছে না। নির্বাচিত মুরসী সরকারের অপরাধ তারা নাকি ইসলামপন্থী।

কিন্তু এই ইসলামপন্থীরাই যখন নির্বাচিত হয়েছে, তাহলে তাদের মেয়াদ শেষ হলে তো অন্যরা নির্বাচিত হতে পারতো। মুরসী তো জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চায়নি। কিন্তু আসল ঘটনা হলো, মুরসী মুবারকপন্থী বিচারকদের এবং সেনাবাহিনীর অতি ক্ষমতা খর্ব করতে চেয়েছিলেন। তিনি সে লক্ষ্যে বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপও নিয়েছিলেন। আর সে কারণে ক্ষমতা বঞ্চিত সেকুলাররা হাত মেলালো অতিলোভী সেনাবাহিনীর সাথে।

মিশরের সেনাবাহিনী দেশের প্রায় বড় বড় সব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পায় মোটা অংকের সাহায্য। সেনাবাহিনীর রন্দ্রে রন্দ্রে দূর্ণীতি আর লোভ। সেনাবাহিনীর পছন্দ না হলে কোন সরকারই ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। কেননা বন্দুক তাদের হাতে।

মিশরবাসীর বড়ই দুর্ভাগ্য যে, এই সেনাবাহিনী তাদের রাষ্ট্রের কোন কাজেই আসছে না। না পারে যুদ্ধ করতে না পারে সীমান্ত রক্ষা করতে। যা পারে তাহলো ইসরাইলের সাথে আপোষ, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা আর দেশের সম্পদ লুটপাট করে খেতে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে সেনাবাহিনী যেমন জনগনের গৌরবের একটি সংস্থা, মিশরে ঠিক তার উল্টো। জেনারেল সিসি যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং সৌ্দি আরবের সাথে শলাপরামর্শ করেই ক্যু ঘটিয়েছিলেন, এটা তিনি স্বীকারও করেছেন।

এখন প্রশ্ন হলো, মুরসী ইসলামপন্থী হলে সৌদিরা (সরকার) কেন তার বিরোধিতা করবে? আসলে সৌদিরা ভয়ে আছে আরব বসন্তের। মুরসীর বিজয় তাদের কাছে পরাজয়ের সংবাদ। আরেকটি বিষয় হলো, মিশরের ফেরাউন নামে পরিচিত হোসনী মুবারক হলেন সৌদি বাদশার পেয়ারের মানুষ। তার পতনকে সৌদি সরকার কোনভাবেই মেনে নিতে পারেননি। সবচাইতে বড় কারণ যেটা তাহলো, মুরসীর কিছু পদক্ষেপ ইসরাইলের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাচ্ছিল।

আর সৌদি সরকার বরাবরই ইসরাইলের স্বার্থরক্ষাকারী। সে যা-ই হোক, মিশরে সেনাবাহিনীর আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কি না সেটা সেদেশের জনগণকে আবারো ভাবতে হবে। মিশর তো এমনিতে ছাড় দিয়ে আপোষ করে সীমান্ত টিকিয়ে রেখেছে, যদিও তা এখনো অরক্ষীতই। কেবল দেশের সম্পদ লুটপাটের জন্য কোন দেশ সেনাবাহিনী পুষতে পারে না। গণহত্যাকারী মিশরের এইসব কাপুরুষ সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের রইল চরম নিন্দা।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।