আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হোয়াট ইজ গইং অন ইন ইওর কান্ট্রি?

যা দেখছি, যা বুঝছি, যা ভাবছি...

কালকের দিনটাকে নিয়ে আমি খুব ভয়ে ভয়ে আছি। না, আবার বিডিআর-সেনাবাহিনীর যুদ্ধের আশংকা করছি না। গত দু'দিন তারা যে কান্ডটা করল তার খেসারত পুরো জাতির একজন হিসেবে আমাকে কিভাবে দিতে হবে তাই ভাবছি। আমি মিডিয়া বিষয়ক পড়াশুনার জন্য কিছুদিন হলো সুইডেন এসেছি। এখানকার ইয়াংশেপিং বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার বর্তমানে যে কোর্সটা চলছে তা একেবারেই সংবাদ বিষয়ক।

আমাদের কোর্স টিচার উদাহরণ দিতে গিয়ে সবসময় আন্তর্জাতিক সংবাদকেই প্রাধান্য দেন। স্বাভাবিকভাবেই বড় সংবাদগুলোই আলোচনায় আসে। আমার ভয়ের জায়গাটা এখানেই। কাল সকালেই ক্লাশ। আমাদের লজ্জার এই খবরটা নিশ্চয়ই তার চোখে পড়েছে।

এখন যদি উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি এই খবরটাকেই টেনে আনেন, তখন এই লজ্জা কোথায় রাখব তা ভেবে কোন কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছি না। খুব স্বাভাবিকভাবেই তিনি আমাকে জিঙ্গেসও করে ফেলতে পারেন, "সুদীপ্ত, হোয়াট ইজ গইং অন ইন ইওর কান্ট্রি?" তখন আমি কী বলব? উত্তর আগে থেকে তৈরি করে রাখার অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু নিজেদের লজ্জা ঢাকার মতো কোন যুৎসই জবাব খুঁজে পাই নি। আমি খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। এই ক্লাশে আমরা সবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট। অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, জার্মানি, অস্ট্রিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ছাত্রছাত্রী আছে এখানে।

আমরা দু'জন ভেতো বাঙ্গালি ছাড়া অন্য সবাই উন্নত বিশ্বের নাগরিক। নিজেদের সমস্যাগুলো যাতে কোনভাবে প্রকাশিত না হয়ে যায় সেজন্য সবসময় সচেতন থাকি। এখন পর্যন্ত সব ভালোভাবেই চলছে। কিন্তু কাল বুঝি আর শেষ রক্ষা হবে না। আমরা যে কতটা সভ্য (???) জাতি তা ঢেকে রাখার আর কোন ঢাল রাখলেন না আমাদের দেশপ্রেমিক (???) সেনা-বিডিআর সদস্যরা।

কাল হয়ত আমাকে নিজের মুখেই বলতে হবে আমাদের লজ্জার কাহিনী...সবাই যখন পরিহাসের হাসি দেবে আমাকে হয়ত তা সহ্যও করতে হবে...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।