আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

করের হার না বাড়িয়ে উচিত আওতা বাড়ানে!

একজন জামাতের দালাল আমাকে খুর ক্রোধ ও কষ্টের সাথে বলল,ভাই এই জালিম সরকার নাস্তিক সরকার হেফাজতের অনেক কর্মীকে হত্যা করেছে ম ২৮, ২০১৩, মঙ্গলবার : জ্যৈষ্ঠ ১৪, ১৪২০ একান্ত সাক্ষাৎকাওে বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী মনির হোসেন চলতি রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি কমছে। নির্বাচনের কারণে আগামী অর্থবছরে তা আরও চ্যালেঞ্জে পড়বে। এ অবস্থায় রাজস্ব আয়ে প্রায় ২৪ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী। দৈনিক যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী এ কথা বলেন।

তার মতে, এ বছরের বাজেটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে রাজনৈতিক। কারণ এক সরকার বাজেট ঘোষণা করলেও তিন সরকার মিলে বাস্তবায়ন করতে হবে। আর অর্থায়নের ক্ষেত্রে ঋণনির্ভরতা বাড়বে। তিনি মনে করেন, পদ্মা সেতুর অর্থায়ন উন্নয়ন বাজেটে বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। তার মতে, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি হবে না।

অন্যদিকে সরকারের আয় বাড়াতে কর আদায়ে স্বচ্ছতা ও সহজ করা এবং বন্ড মার্কেট সক্রিয় করা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেন তিনি। ড. তৌফিক আহমেদ বলেন, এবারের বাজেটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল রাজনৈতিক। কারণ বাজেট ঘোষণার পর সরকার তা বাস্তবায়নে কিছু সময় পাবে। এরপর নির্বাচন চলাকালীন সরকার। পরবর্তীতে আবার নির্বাচিত সরকার আসবে।

সেক্ষেত্রে যদি আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসে, তখনকার প্রেক্ষাপটে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। ফলে এটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। তিনি বলেন, এ বছর রাজস্ব আদায়ে ২৩-২৪ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা উচ্চাভিলাষী। কারণ স্বাভাবিকভাবেই ১৪-১৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয় না।

এরপর এ বছর নির্বাচন। এছাড়া ব্যাংকের মুনাফা কমে যাচ্ছে। ফলে এ সময়ে উচ্চ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি নাও হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে রেমিটেন্সের আয় বাড়লে তার বিপরীতে মানি সাপ¬াই বাড়ে। ফলে বাজেটে এর পরোক্ষ একটি প্রভাব রয়েছে।

দাতাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন হলে পাইপলাইনে যে সব প্রতিশ্র“তি আছে, ওইগুলো ছাড় হলে তা ব্যবহার করা যাবে। আর না হলে সরকারকে ঋণ নির্ভর হতে হবে। তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন বাজেটেও বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। কারণ সরকার উন্নয়ন বাজেট তৈরি করে পঞ্চবার্ষিকীর ফ্রেমওয়ার্কে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে উন্নীত হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু এ বছর ৬ শতাংশের বেশি হবে না। তার মতে, গত বছর উন্নয়ন বাজেট ছিল ৫৪ হাজার কোটি টাকা। এ বছর ৬৫ হাজার কোটি টাকার মতো হতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকার পরিবর্তন হলেও তবে উন্নয়ন বাজেটের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামো উন্নয়ন অব্যাহত রাখা উচিত।

নির্বাচনের বছরে সরকার এসব খাতে বেশি বরাদ্দ দিতে চাইবে। কারণ সরকারের ভোটের হিসাব আছে। তবে কোনভাবেই ষষ্ঠ-পঞ্চ বার্ষিকীর ধারাবাহিকতা নষ্ট করা উচিত নয়। ড. তৌফিক বলেন, এ বছর পদ্মা সেতুতে বড় অংকের বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ফলে উন্নয়ন বাজেটের পরিমাণ বাড়াতে হবে।

এক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সরকারকে ঋণ বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, সরকার ঋণ নিয়ে যদি উৎপাদন খাতে ব্যয় করে তবে সমস্যা হয় না। কিন্তু উৎপাদন খাতে ব্যয় না হলে অসামঞ্জস্য তৈরি হয়। আর সরকার ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নিলে তা মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ পড়ে। এছাড়াও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ঋণ নেয়ার সুযোগ কমে যায়।

তবে বন্ড মার্কেট অথবা পুঁজিবাজার থেকে টাকা নিলে তেমন সমস্যা হয় না। তার মতে, সরকার কোন খাত থেকে ঋণ নিয়ে, কোন খাতে ব্যয় করছে তা এটি বিবেচ্য বিষয়। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা বন্ড সক্রিয় করার কথা বলে আসছি। কিন্তু সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে না। ড. তৌফিক আহমেদের মতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা না এলে শেয়ারবাজারে প্রণোদনা দিয়ে কোনও লাভ হবে না।

কারণ বিনিয়োগকারীদের মনে করতে হবে আমার টাকা কেউ হাতিয়ে নিতে পারে না। এটি নিশ্চিত না হলে বাজার উন্নয়নের সম্ভাবনা নেই। তিনি মনে করেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের এখন উপযুক্ত সময়। কিন্তু কেউ বিনিয়োগে আসছে না। কারণ একবার তারা আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

এ সময়ে সরকারের আয় বাড়াতে কর হার না বাড়িয়ে করের আওতা বাড়ানোর সুপারিশ করেন তিনি। তারমতে, ১৬ কোটি মানুষের দেশে মাত্র ১৩ থেকে ১৪ লাখ মানুষ কর দেয়। দেশে ব্যক্তিগতভাবে যারা ১ কোটি টাকা কর দেয়, তাদেরএ সংখ্যা ১০০-এর বেশি হবে না। কিন্তু অন্তত ৫০ হাজার মানুষ আছে, যারা ১ কোটি টাকা কর দিতে পারে। কারণ ৪ কোটি টাকা আয় হলেই ১ কোটি টাকা কর দিতে হয়।

তিনি বলেন, মানুষ বিভিন্নভাবে কর ফাঁকি দেয়। ফলে এদের করের আওতায় আনতে হবে। তিনি আরও বলেন কর ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও সহজ করতে হবে। এতে সরকারের আয় বহুগুন বাড়বে। তবে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ বারবার অব্যাহত রাখার বিপক্ষে তিনি।

তার মতে, এর ইতি টানা উচিত। নইলে নিয়মিত করদাতারা নিরুৎসাহিত হবে। Link http://jugantor.us/2013/05/28/news0162.htm ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।