আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নোবিপ্রবির ১০ বিভাগে পাঠদান বন্ধ

এপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের এই শিক্ষার্থীরা এর আগে সোমবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে একাডেমিক ভবনে তালা দেয়।
ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়।
তাদের তিনদফা দাবি হলো এপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সব ব্যাচের এসিসিই অনার্স ডিগ্রিকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিতে রূপান্তর, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সমৃদ্ধ ল্যাব সুবিধা নিশ্চিত করা।
এসব দাবিতে গত ২মে থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, এসিসিই বিভাগে বিভিন্ন ব্যাচে বর্তমানে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।


প্রায় একই পাঠ্যক্রম হওয়া সত্বেও শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এই বিভাগের এসিসিই অনার্স ডিগ্রিকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিতে রূপান্তর করা হয়নি।
এ কারণে ইতোমধ্যে যেসব শিক্ষার্থী চার বছর মেয়াদী ডিগ্রি সম্পন্ন করেছে কর্মক্ষেত্রে তাদের নানা প্রতিকূলতা ও বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে।
গত আট বছরে বিভাগটিতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনো শিক্ষক নিয়োগ না দেয়ায় পাঠদানেও শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
অন্যদিকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সমৃদ্ধ ল্যাব সুবিধা না থাকায় শিক্ষার্থীরা সবদিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ছে।
এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বার বার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো ফল না পেয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে।

 
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মমিনুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপেক্ষিতে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আবুল হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্টি একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশ উপস্থাপন করবে। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।