আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফ্ল্যাট কিনে, চুক্তি করে হয়রানির শিকার মানুষ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আসাদ উল্লাহ আল হোসেন, গোপালগঞ্জের ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কাজী আখতারুজ্জামান ও সরকারি কর্মকর্তা শাহ আলমগীর। সম্মানিত এই তিন ব্যক্তিকে ডাকাতি মামলার আসামি হয়ে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। মাইহোম লিমিটেড নামের একটি আবাসনপ্রতিষ্ঠান থেকে ফ্ল্যাট কেনার পর তাঁদের এ পরিণতি। শুধু এই তিনজনই নন, ফ্ল্যাট কিনে কিংবা চুক্তি করে অনেক মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত দেড় শ থেকে দুই শ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এক হাজার ২৯১টি অভিযোগ জমা পড়েছে।

ওই তিন ব্যক্তির মতো অনেকেই বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেন। তাঁদের অভিযোগ, রিহ্যাবে লিখিত আবেদন করেও কোনো সুরাহা পাননি তাঁরা। তবে রিহ্যাব বলছে, তারা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ অভিযোগের মীমাংসা করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ওই তিনজনসহ অনেকেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আদালতই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

রিহ্যাবের পরিসংখ্যান যাচাই করে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত জমা পড়া অভিযোগের অর্ধেকেরও বেশির কোনো সমাধান হয়নি। রিহ্যাবের তথ্য অনুযায়ী, জমা পড়া অভিযোগগুলোর মধ্যে ৫৬৮টির নিষ্পত্তি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জবাবের অপেক্ষায় আছে ২০০ অভিযোগ। ২৭৭টি অভিযোগ আপস-মীমাংসার প্রক্রিয়াধীন। আদালতে বিচারাধীন ১২টি অভিযোগ।

২২৩টি অভিযোগের ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না। বাকি ১১টি অভিযোগের ব্যাপারে কোনো তথ্য মেলেনি। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.