আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বীরশ্রেষ্ঠ একজনও সিভিলিয়ান নাই কেন? আরো সাতজনকে বীরশ্রেষ্ঠ ঘোষণা করা হউক সিভিলিয়ানদের মধ্য থেকে!

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

প্রশ্নটা উত্থাপন করেছেন আসাফ-উ-দ্দৌলা। সেদিন বাংলা ভিশনের টক-শোতে তিনি বললেন, সিভিলিয়ানদের মধ্যে থেকে কি একজনও বীরশ্রেষ্ঠ হতে পারতেন না? সব কেন আর্মির শহীদ থেকে বানানো হলো? আসাফ-উ-দ্দৌলা ঢালাওভাবে আর্মির নিন্দা করে গেছেন। বলেছেন স্বাধীন হবার পরে যা হয়েছে শাষণভার প্রকৃতপক্ষে পাকিস্থানী অত্যাচারী সেনাবাহিনী থেকে বাংলাদেশী অত্যাচারী সেনাবাহিনীর হাতে এসে পড়েছে। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ডিজিএফআইর কোন একাউন্টেবিলিটি নাই, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোন নিয়ন্ত্রণ নাই। কিভাবে তাদের বাজেট পাস হয়, তাদের কর্ম-পরিধি নিদৃষ্ট করা নেই, এবং জবাবদিহিতার কোন পরিসংখ্যান নাই।

ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে রাজউক, ট্যাক্স কমিশনের কোন প্রবেশ নাই - সাধারণ মানুষের পথ আটকে আর্মীরা চলে দোর্দন্ড প্রতাপে। আসাফ-উ-দ্দৌলার সমালোচনার সাথে আমি বেশীরভাগই একমত নই। তবে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠই আর্মীর ভেতর থেকে কেন করা হবে, সিভিলিয়ানদের মধ্যে অনেক সাধারণ জনতা, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। তাদের ভেতর থেকেও বীরশ্রেষ্ঠ হতে পারতো। পাকিস্থান সেনাবাহিনীর বাঙালী ভাইয়েরা মুক্তিযুদ্ধে বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছেন এবং তাদের স্বীকৃতিও তারা পেয়েছেন।

কিন্তু সাধারণ জনতার ভেতর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের সম্মান জানানো উচিত ছিল। দীর্ঘ ৩৭ বৎসরে কেন এই বিষয়টা নিয়ে আমরা ভাবি নাই? কেন কেন? আরো ৭জন কি সিভিলিয়ানদের মধ্য থেকে বীরশ্রেষ্ঠ হতে পারে না?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.