আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সামহোয়ার ইন ব্লগ - (৫৭)



পর্ব - দশ ( শেয পর্ব ) রাতে শুয়েই নেমী চিন্তা করল দুদিন ও শুভর বাসায় যায়নি। ভীযন খারাপ লাগছে , বুকটা যেন ফাকা হয়ে আছে। শুভকে ফোন করে জানিয়েছে - কাল বাসায় আসছি। ফোনের ওপার থেকে উত্তর এসেছে - তোমার বাসায় তুমি আসবে এতে আমার কি। নেমী শুয়ে শুয়ে তাই চিন্তা করছে , কি জন্য যাবে ? কোন অধিকারে ? কোন অধিকারেই তো এখন পর্যন্ত শুভকে বাধতে পারল না।

শুভর মায়ের কাছ থেকেও দু-মাস সময় নিয়েছে তার ও কিছু করতে পারছে না। মায়ের অনুরোধ ও যেদিন শুভকে করেছে সে সময়ই ও রেগে গিয়েছে , যাচ্ছে তাই বলে ওকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। তাহলে কি নেমী শুভকে খুন থেকে বাচাতে পারবে। যদি এমন হয় - মা খুন হোলো , শুভর ফাসি হোলো। তাহলে ? নেমী কাছে মনে হচ্ছে সময় বেশী হাতে নেই।

শুভ ওকে বিয়ে না করলেও নেমী যে কাউকেই আর গ্রহন করবে না এটা সম্পুর্নই নিশ্চিত। শুভই ওর দেবতা , মেয়ে শরীর দুই জনের নয়। তবে শুভ ওকে সম্পুর্ন নেয় না কেন । ওর যে কি কস্ট হয় শুভ যদি বুঝত। কালই ও শুভকে বলবে - হয় ওকে গুলি করে মারবে না হয় ওকে এক্ষুনি গ্রহন করবে।

শুভ যেন ওকে বিয়ে করেছে এই ভেবেই বলল- ঈশ্বর কালই যেন একটা বাচ্চা পেটে এসে যায়। অন্তত বাচ্চার মুখ দেখে যাও বলেও যদি শুভকে ভাল করা যায়। বাচ্চাটা হলে বলবে - তোমার সন্তান যখন জানবে তার বাবা খুনি , আমি কি উত্তর দেবো বলে যাও। এটা বলে হয়তো শুভকে আটকানো যাবে। ভাবতে ভাবতেই নেমী কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ল।

সকালে ঘুম থেকে উঠে নেমী প্রস্তুতি নিল শুভর বাসায় যাওয়ার জন্য। ঠিক প্রথমদিন যাওয়ার মত সংকোচ ওর মনে হচ্ছে, ভীযন লজ্জা লাগছে। নেমীর নতুন দুই রুমমেটকে ও বলেছে - ওকে খুব সুন্দর সাজিয়ে দিতে হবে। জীবনের সেরা সাজটাই ও আজ সাজবে , একদম নতুন বউ , বাসর রাতের মত। সকালে ফোন করে শুভকে বলেছে - ন'টার মধ্যে গাড়ী পাঠিয়ে দিতে।

মনে মনে হাসল - ওয়ালে টানানো ঐ ছোট্ট শিশুটার ছবির দিকে তাকিয়ে বলল- আজ আমিও মা হতে চলেছি। আবার কি যেন মনে করে পরক্ষনেই মুখটা কালো হয়ে গেল নেমীর। যদি এমন হয় - শুভ ওর সব কথা রাখল। যে বেয়াড়া মানুয , বলল- : ঠিক আছে তোমাকে নিলাম , তবে আর একদিনও আমার কাছে এসো না। তবুও নেমী বলবে - একবারই নাও।

মনে মনে ঈশ্বরকে ডাকল - ও যদি আমাকে তাড়িয়ে দেয় , হে ঈশ্বর তুমি আমার পেটে একটা বাচ্চা দিয়ে দিও। আমি এ নিয়েই যেন বেচে থাকতে পারি। নেমী উঠে গিয়ে ক্যলেন্ডারের তারিখগুলো গুনে গুনে দেখলো। বিছানা থেকে বালিশটা বুকে জড়িয়ে চুমু খেল কয়েকবার। যেন প্রানপনে বালিশটাকে জড়িয়ে ধরে বলল- হবেই।

নুরুর মায়ের সেই কথাগুলো এখোনো মনে পড়ে - মোর বাচ্চারে বুকের দুধই খাওয়ামু আপা। ক্যালেন্ডারের বাচ্চাটা যেন ওর নিজের বাচ্চা , ডান হাতের আংগুলটা ওর মুখের উপর রেখে যেন শাসনের সুরে বলল- দুস্টু ছেলে নুরুর মার ছেলের মত কাপড় দিলে হয়- মেরে হাড় ভেংগে দেবো। নিজে নিজেই আবার বলল- হবে না ! বাপ যে দুস্টু! আমাকে জ্বালিয়ে ছেড়েছে। -চলবে


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।