বৃদ্ধা ভিক্ষুকটি আরো বৃদ্ধা হয়
দিনে দিন বৃদ্ধ ক্ষয়
বুড়ি শরীরটাকে আর দাঁড়াতেই দেয়না
আগে তো কোনমতে লাঠি ভর দিয়ে হলেও দাঁড়াতে পারত
টুক টুক করে হাঁটত অলি-গলি বা রজপথে
আর এখন সে কোনমতে হাপুর দিয়ে
বয়ে চলে শরীরটাকে
বোঝার মতই এদ্বার-ওদ্বার
আগের চেয়েও আরও ক্ষীণ স্বরের আবদার
'দুগ্গা ক্ষয়রাত দেবেন গো মা...'
ছুড়ে দেয়া দু'এক টাকা বা এক মুষ্টি চালেই তুষ্ট বুড়ি
এরপরও প্রিতদিন আগের মতই নিয়ম করে
নিরুদ্বেগ যাত্রায় পৌছে যায় সে সেই শীল্প এলাকায়
জীবনানন্দের শহরের ঐ মেঠো ফুটপাতেই
গত পঁচিশ বছর ধরে তার রাত কাটে
আকাশ ছাউনির সংসারে তার সম্বল
দু'টো চটের বস্তা আর একটি জীর্ণ বাসন
মাঝ মাঘেও ঐ চটের বস্তাতেই সে উঞ্চ হতে চায়
সেবার বর্ষায় দয়ালু কোন এক রিক্সাওয়ালা
খুলে দিয়েছিল তার পলিথিনের পর্দা
আর বুড়ির প্রতিবেশী কিশোর চায়ের দোকানীর
কুড়োন ইটে ভর করে জাগে তার শূণ্য ভিটি
ইদানীং ঐ কিশোর দোকানীর মত
অনেক প্রতিবেশীই ভাবে
আজ বুড়ি ফিরবেতো নিরাপদে
নাকি শূণ্য পড়ে থাকবে তার চটের কোল
পরের দিন হয়ত কোন স্থানীয় দৈনিকে
মিলবে এক বেওয়ারিশ বৃদ্ধার লাশ উদ্ধারের খবর
ছবিটা ছাপার জায়গা হবে না নিশ্চয়ই...
তাই তাকে আর কারো দেখাও হবে না
তবে বুড়ি তার শেষ ভিক্ষাটি সযন্তে পাবে
পুণ্য অর্জনের কোন আশায় ছুটন্ত
দুরন্ত কোন ইচ্ছার কাছে
এতটুকুই নিশ্চিত আত্মবিশ্বাসে বলতে পারি আমি
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।