আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

...অদ্ভুত রহস্যময়তার আবর্তে বন্দি (Zone of Silence)

যে কোন প্রয়োজনে স্বরণ কইরেন: hopelessduniya@yahoo.com এই আইডি তে..এড কইরেন...

অদ্ভুত রহস্যময়তার আবর্তে বন্দি জোন অব সাইন্স বা নীরব ভূমি। মেক্সিকো মরুভূমির ধ্রপদী নামই জোন অব সাইলেন্স। এই নীরব মরুর প্রতি কদমে রহস্যের আনাগোনা। ঘুটঘুটে অন্ধকার, ভুতুরে পরিবেশ, রাতের গুমোট আধারে উল্কা বৃষ্টি নামে। টেপরেকর্ডার বাজাতে থাকলে হঠাৎই থেমে যায়।

চলন্ত গাড়ির স্টাট বন্ধ হয়ে যায়। এই সব কেন হয় তা আজও অদৃশ্য কারনের কাছে জিম্মি। কুখ্যাত বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল আর জোন অব সাইলেন্স একই অক্ষাংশে। সেন্ট্রাল মেক্সিকোর মাসিপি মরুভূমির দশ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে এই নীরব ভূমিতে আনাগোনা আজব সব প্রানীর। এখানকার পোকারমাকড় গুলোও স্বাভাবিক পোকামাকড়ের চেয়ে তিনগুণ বড়।

একবার নিক্ষিপ্ত আমেরিকান একটি মিসাইল নিদিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত না হেনে বিশেষ এই এলাকাটিতে এসে পড়ে। এখানে নিত্যদিনে রাতের বেলায় দুমসে উল্কা ছিটকে পড়ে। জোন অব সাইলেন্স এর পাথর গুলোও এমন ভুতুরে যে কম্পাসকে পর্যন্ত বিগড়ে দেয়। এই এলাকার উপর দিয়ে উড়ে যাবার সময় পাইলটরা অভিযোগ করেছেন, তাদের সবকিছু কেমন যেন বিভ্রান্তিকর ঠেকছে। এখানকার দৈত্যাকার ক্যাকটাস গাছগুলো টকটকে লাল রঙের কিন্তুু এই গাছই যখন এই এলাকার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তা সর্ম্পূন রুপে রং হারিয়ে ফেলে।

এখানকার বেঁটে হরিণ গুলোর শিং মানুষের কবজির মতো মোটা। আর বিছা গুলো কোনটাই লম্বায় এক ফুটের কম নয়। এগুলোর মাথা টকটকে লাল। জোন অব সাইলেন্সে কোন মানুষ বসতি গড়ার শখ পর্যন্ত করেনি। মরুভূমির আশপাশের মানুষ প্রতি রাতে আকাশে অদ্ভুত এক ধরনের আলো এদিক ওদিক ছুটে চলতে দেখে।

এই মরুভূমির নিকটবর্তী শহর সেবালোসের কেউ কেউ এখানে ফ্লাইং সসার দেখেছে বলে দাবি করেছে। পুলিশ চিফ ম্যানুয়েল শাপেরো বলেছেন, সেদিন রাতে দেখলাম কি প্রকান্ড আকৃতির একটি এয়ারক্রাফট শহর থেকে ৫০ ফুট উচ্চতায় ঝুলে আছে। যানটি আয়তক্ষেএের মতো, ধাতুর তৈরী, ওটার চারপাশে আলো জ্বলছিল আর গুনগুন করে শব্দ হচ্ছিল। মিনিট কয়েক যানটি ওভাবেই শূণ্যে ভেসে রইলো, অত:পর ঘুড়ির মত গুঁতো খেয়ে ছুটলো আেন অব সাইলেন্স এর দিকে। ১৯৭০ সালে ইউএস এয়ারফোর্স “অ্যাথেনা” নামে একটি মিসাইল উটাহর গ্রীণ রিভার থেকে নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডে নিক্ষেপের জন্য প্রোগ্রাম করে।

কিন্তুু মিসাইলটি আসল জায়গায় না গিয়ে পড়ে ওই ভুতুরে মরুতে। ইউএফও গবেষণাবিদ এবং লেখক ব্রাডষ্টিগার ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, এর দুটি কারন থাকতে পারে হয় কোন অজানা শক্তি মিসাইলটি ধ্বংস করেছে নতুবা কোন ইউএফও তার আন্ডারগ্রাউন্ড বেস থেকে ওটাকে জোন অব সাইলেন্স এ টেনে এনেছে। তবে এসবই অনুমান আর ধারনা। এই ভুতুরে মরুর রহস্যের াাজও কোন কিনারা হয়নি। সূত্র: সায়েন্স-জোন http://www.science-zone.tk/



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।