আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিশু যৌন হয়রানি/ ইনসেস্ট/ পেডোফিলিয়া -- সামাজিক প্রতিকার কিরূপে?

মিলে মিশে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ! শিশু যৌন হয়রানি একটি ব্যাপক পরিসরের শব্দ। একজন বয়স্ক ব্যক্তি যেকোন ভাবে কোন শিশুকে শারীরিকভাবে হালকা বা গুরুতরভাবে যৌন হয়রানি করলে বা শিশু পর্ণগ্রাফী তৈরীতে শিশুকে ব্যবহার করলে সেটাকে শিশু যৌন হয়রানি বলা হয়। এর মাঝে যে ঘটনাগুলো পরিবারের বয়স্ক মানুষদের দ্বারা সংঘটিত হয়, সেগুলোকে বলে ইনসেস্ট। আর যেসব শিশুদের যৌনতা সম্বন্ধে কোন ধারণা তৈরী হবার আগেই যদি বয়স্ক কারো দ্বারা যৌন হয়রানির স্বীকার হয়, সেক্ষেত্রে সেটাকে বলা হয় পেডোফিলিয়া। এক্ষেত্রে শিশুটির প্রতি বয়স্ক ব্যক্তিটির এক ধরণের আকর্ষণ কাজ করবে, যেটা অন্যসব শিশু যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে থাকে না।

আবার সব পেডোফাইল ব্যক্তিই যে শিশুকে শারীরিকভাবে হয়রানি করবে তেমনটা নাও হতে পারে। যা হোক, এই যেকোন প্রকারের শিশু যৌন হয়রানি যারা করে তাদের এই প্রবণতাকে এখনো পর্যন্ত মানসিক রোগ বলেই আখ্যা দিচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে অনৈতিক এবং অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত হয় বলেই সবাই একমত। এখনো পর্যন্ত সারা বিশ্বে এ ধরণের ঘটনায় মামলা হলে শাস্তি দেবার ঘটনাই ঘটেছে, যদিও রিপোর্ট হয় খুব কমই। তবে মনরোগ বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন এ ধরণের মানসিক ব্যাধিতে যারা আক্রান্ত, তাদেরকে হরমোনজাতীয় ওষুধের চিকিৎসা এবং মানসিক চিকিৎসা -- উভয় প্রকারের চিকিৎসা দিয়ে সারিয়ে তোলা সম্ভব।

কিন্তু এখন মূল সমস্যা যেটা, সেটা হলো যারা পেডোফিলিয়ায় বা ইনসেস্ট বা আরো অন্যান্য ধরণের শিশু যৌন হয়রানির প্রবণতায় আক্রান্ত তারা নিজেরাই হয়তো সেটা ভালভাবে বুঝে উঠতে পারেন না, বা নিজের এই বৈশিষ্ট্যকে দোষ ভেবে লজ্জায় লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। বেশির ভাগ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ যারা এ ধরণের ব্যক্তিদের বিশেষ করে পেডোফাইলদের চিকিৎসা করেছেন বিভিন্ন সময়ে তাদের সবারই একই বক্তব্য ছিল যে তারা কেউ পেডোফাইল হতে চাননি, কিন্তু নিজেকে সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। আবার দেখা গেছে এরকম সমস্যায় যারা আক্রান্ত তাদের মাঝে প্রায় এক তৃতীয়াংশ নিজেরাই শিশুকালে এরকম যৌন হয়রানিমূলক ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। আবার কেউ কেউ ড্রাগ এডিক্টেড হয়েও এমন কাজ করেছেন। সাধারণত পুরুষরা বেশি সংখ্যক এরকম হলেও কিছু নারীও শিশু যৌন হয়রানি করে।

বাইরের দেশগুলোতে ইনসেস্টজাতীয় ঘটনায় বাবা-মা দুজনকেই দায়ী হতে দেখা গেছে। এতো গেল বয়স্কদের কথা। এবার আসি যারা ভিকটিম মানে শিশুদের প্রসংগে। এসব ভিকটিমদের মধ্যে সবচেয়ে করুণ অবস্থা আমার মতে যারা পেডোফাইল ব্যক্তি কর্তৃক আক্রান্ত হয়। এরা এতোটাই অল্প বয়সী থাকে যে তাদের সাথে কি ঘটনা ঘটছে সেটাই তারা বুঝতে পারে না।

আর এসব ঘটনার বেশির ভাগই ঘটে ঘরের মাঝে একান্ত কাছের আত্মীয়-স্বজনদের দ্বারা যারা আদরের ছলে এমন সব বিকৃত কাজ করেন, শিশুরা অনেক সময়ে অস্বস্তিবোধ করলেও ঠিক বুঝে উঠতে পারে না এটা আদর নাকি আর কিছু। যার ফলে তারা কারো কাছে বিষয়টি জানায়ও না, বা জানাতে যে হবে সেটাও বুঝতে পারে না। কিন্তু শিশুমনে ঠিকই এর এক বিরূপভাব জন্ম নেয় যার স্থায়ীত্ব চিরকাল। ঐ শিশুটি কিন্তু ঐ ঘটনা কখনোই ভোলে না। যে আত্মীয়ের দ্বারা এমন ঘটনাটি ঘটলো তাকে আর সারাজীবনে সে শ্রদ্ধা করতে পারে না, এক ধরণের মানসিক দূরত্ব ঠিকই থেকে যায় দুজনের কাছের আত্মীয়ের মাঝে।

এছাড়াও এ ধরণের ঘটনার শিকার ছেলেশিশুর তুলনায় মেয়েশিশুরা বেশি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখায় বড় হয়ে, মানে বড় হয়ে তার যখন ছোটবেলার সেই দু:খজনক ঘটনাটি মনে করে তার ভিতরে এক পুরুষের তুলনায় বেশি ঘৃণা, ক্ষোভের জন্ম নেয়। ঘরের মানুষ ছাড়াও যারা শিশুদের নিয়ে কাজ করে যেমন গৃহশিক্ষক, যিনি বাচ্চাদের স্কুলে আনা নেওয়া করেন (ড্রাইভার হতে পারেন বা কেয়ারটেকার বা বাসার কাজের ছেলেটি), ধর্মীয় শিক্ষক, গার্লস গাইড বা বয়'স স্কাউটের শিক্ষক, খেলাধুলার শিক্ষক, গানের বা নাচের শিক্ষক, কোচিং-এর শিক্ষক, বোর্ডিং স্কুলের হোস্টেলের স্টাফরা, বিভিন্ন ছাত্রাবাসের শিক্ষক-কর্মীরা ইত্যাদি। তবে বাইরে ঘটনাগুলো অনেকক্ষেত্রে ধরা পড়তে পারে নির্যাতকের অস্থির আচরণ থেকে। এছাড়াও ছেলেশিশুই হোক বা মেয়েশিশু হোক এসব ঘটনা থেকে তারা বিভিন্ন রকমের ছোট-বড় মানসিক সমস্যা, হীনমন্যতা, ব্যক্তিত্বহীনতাসহ আরো অনেক রকমের শারীরিক-মানসিক ক্ষতির শিকার হতে পারে। এমনকি কেউ কেউ মা -বাবা হবার উপযোগিতাও হারিয়ে ফেলতে পারেন।

আমি এই পোস্টে কোন পরিসংখ্যান বা নির্দিষ্ট কোন ঘটনার উল্লেখ করছি না, এ সংক্রান্ত বেশ কিছু রেফারেন্স পোস্ট বা অনলাইন লিন্ক আমি পোস্টের শেষ দিকে দিয়ে দিব যেগুলো থেকে সহজেই আপনারা সেসব তথ্য জেনে নিতে পারবেন। এখন আমরা আলোচনা করতে চাই যে বিষয়ে সারা বিশ্বেই নানারকম ট্যাবু আছে, সহজে কেউ মুখ খুলতে চায় না, খুব কম ঘটনাই রিপোর্ট হয়, মামলা তো পরের কথা, কাছের মানুষদের কাছেই বলা হয় না, অথচ নিরবে মনের মাঝে প্রচন্ড ক্ষত এবং নানারকম মানসিক ট্রমার শিকার হয়ে ভিতরে ভিতরে অসুস্থ হতে হতে একটা শিশু বড় হতে থাকে, সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বেশি রক্ষণশীল এই বাঙালী সমাজে আমরা এ বিষয়ে কি করতে পারি? জনহপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড: ফ্রেড বার্লিনের মতে, যে কোন ধরণের সাইকোলজিকের ট্রমার ক্ষেত্রে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ সবচেয়ে ভাল। তাহলে আমাদের প্রথম দরকার এ ধরণের পেডোফাইল বা ইনসেস্ট বা শিশুদের প্রতি যৌন হয়রানি করার মানসিকতা যাদের আছে, তাদেরকে বিভিন্ন কাউন্সেলিং সেন্টারে মানসিক ডাক্তারের অধীনে মানসিক থেরাপী দেয়ার ব্যবস্থা করা। যার জন্য প্রথমেই দরকার হলো তাদের চিহ্নিত করা। ১।

আর এ ব্যাপারে প্রথমে তারা নিজেরাই উদ্যোগী হতে পারে। বয়স্ক ব্যক্তি যারাই টের পাবেন নিজেদের মাঝে এ ধরণের বিকৃত মানসিকতা তারা দ্বিতীয়বার আর কোন শিশুর ক্ষতি না করে নিজেরাই চলে যান ডাক্তারের কাছে, আপনার কাছের কোন মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। মনে রাখবেন, শিশুরা হলো একটা দেশ বা জাতির ভবিষ্যত। তারা হলো ফুলের মতো, তাদের মন হলো কোমল, একবার সেখানে কালো দাগ পড়লে সেটা সারাজীবনের জন্যই তাদের ক্ষতি করবে। আর আপনার পরিবারের শিশু সে তো আপনারই সম্পদ, আপনারই অতি আপনজন! তাই লজ্জা, সংকোচ না করে, দেরি না করে আজই চলে যান কোন মানসিক ডাক্তারের কাছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেবার জন্য।

২। যারা নিজেরা সেভাবে সচেতন নন, আসলে বাংলাদেশের অনেকেই হয়তো যেকোন রোগের বেলাতেই সেভাবে সচেতন নন, তাদেরকে সনাক্ত বা সচেতন করতে দরকার বড় রকমের সামাজিক প্রচারণা। ক) সেটা পরিবার থেকে শুরু করে নানা ধরণের সামাজিক সমাবেশে, খ) রেডিও-টিভিতে সামাজিক বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে, গ) স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে এ বিষয়ে সচেতনমূলক পাঠ সংযুক্ত করে, ঘ) স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নানারকম সচেতনমূলক সভা-সেমিনার-ওয়ার্কশপের আয়োজন করে সেখানে ছাত্র-শিক্ষক সবাইকে সচেতন করার মাধ্যমে, ঙ) ব্লগ-ফেইসবুক-ফোরাম, পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্ক ও সংবাদ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত আলোচনা বা সচেতনমূলক কথাবার্তা বারে বারে বলার মাধ্যমে... ইত্যাদি আরো নানা উপায়ে। একই বিষয়ের উপরে বারে বারে আলোচনা হলে মানুষ তখন নিজেরাই বুঝতে পারবে তার নিজের ভিতরে কি গলদ আছে, বা তার পরিবারের শিশুদের কিভাবে সচেতন করতে হবে, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরই বা কিভাবে শিশুর প্রতি সহনশীল এবং দায়িত্বশীল করা যাবে। এবার ছোট্ট অবুঝ শিশুদের কিভাবে সতর্ক করা যায় বা তাদেরকে কিভাবে পারিবারিকভাবে রক্ষা করা যেতে পারে সে দিকে কিছু আলোকপাত করি।

ক) প্রথমেই বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে এ বিষয়ে, তাদেরই উদ্যোগী হয়ে ঘরে অবস্থানরত অন্যান্য সদস্যদের শান্ত সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে যে শিশুদের কতটুকু আদর করা যাবে, কত বেশি কাছে ঘেঁষা ঠিক নয়, কারণ একজন ছয়মাসের শিশুর বা এক দুই বছরের শিশুর আসলে ন্যুনতম কোন বোধই নাই যে তাকে আপনি কিছু বোঝাবেন। খ) এরপর শিশুরা একটু বড় হলে যখন কিছুটা কথা বুঝতে শেখে, বিশেষ করে নারীশিশুদের ক্ষেত্রে তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বিভিন্ন আদর আচরনের ব্যাপারে সতর্ক করবেন। কারো সাথেই খুব বেশি শারীরিক ঘনিষ্ঠভাবে মিশতে দেবেন না, খুব দু:খজনক হলেও সত্য এসব নিকট আত্মীয় মামা-চাচা-দাদা-নানাদের মাঝেই কেউ কেউ অমন বিকৃত মানসিকতার হয়ে যায় যেটা অনেকে হয়তো টেরই পায় না ঐ শিশুদের উপর কখন কি ঘটে গেছে। বলছি না যে সব নিকট আত্মীয়ই অমন খারাপ, না তা অবশ্যই নয়, কিন্তু কেউ কেউ সত্যিই অমন! গ) শিশুকে বারে বারে বুঝিয়ে বলা, মন খুলে শিশুর যে কোন সমস্যা যেন বাবা-মাকে খুলে বলতে পারে সেরকমভাবে শিশুর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা, যাতে করে কোন কিছু তাদের কাছে অস্বস্তিকর ঠেকলেই তারা যেন সাথে সাথে বাবা-মাকে সেটা জানাতে দ্বিধাবোধ না করে। ঘ) যারা এরই মাঝে আরেকটু বড় হয়েছে মানে স্কুলে কলেজে পড়ছে, হয়তো তাদের মাঝে মাঝে কেউ কেউ এরই মাঝে এরকম ঘটনার শিকার, কিন্তু সাধারণত এগুলো লজ্জায় পরিবারের কারো কাছে শেয়ার করতে পারেনি, তাদের জন্য প্রতিটি স্কুল-কলেজে একটা সেল থাকা দরকার যেখানে তারা চিরকুটের মাধ্যমে বা দায়িত্বরত শিক্ষককে সরাসরি নি:সংকোচে, নির্ভয়ে জানাতে পারে যেকোন কিছু।

শিক্ষকরাও উদার এবং সহযোগিতামূলক মন নিয়ে শিশুদের কোমল মনের ব্যাথাগুলো জানার চেষ্টা করবেন, আগ বাড়িয়েও সব শিশুকে জিগ্যেস করে জেনে নিতে পারেন। তারপর ভিকটিম শিশুর বাবা-মাকে বিস্তারিত জানাতে পারেন, প্রয়োজনে শিশুটির মানসিক থেরাপী বা কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা করতে পারেন যাতে করে শিশুটি মানসিক ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারে। ঙ) আবার খুব গুরুতর কিছু ঘটে থাকলে যেন প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থাও নেয়া যায়, তার জন্য পর্যাপ্ত আইনি সুযোগ সুবিধা, সহজেই যাতে অভিযোগ জানানো যায় সেরকম ব্যবস্থা করা। পরিশেষে মোদ্দাকথা হলো ভিকটিম এবং নির্যাতনকারী উভয়ের জন্যই যেন পর্যাপ্ত মানসিক থেরাপি বা কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা করা যায় সেদিকে সবার নজর দিতে হবে। এখন যেকোন ধরণের শিশু যৌন হয়রানিই হোক না কেন, সাধারণত মেয়েশিশুরা যেহেতু ছেলেশিশুদের চেয়ে বেশি এর শিকার হয় এবং ভবিষ্যতে এরাই হবে মা, এরাই ভবিষ্যতে তার পরিবারের শিশুদের দেখভাল করবে, তাই এসব মেয়েশিশুদেরকেই সবার আগে সচেতন এবং সুস্থ করে তুলতে হবে।

তাই আমরা কিছু নারী ব্লগার এটা নিয়ে কিছু একটা করার চেষ্টা করছি। ১। প্রাথমিক অবস্থায় আমরা ব্লগে -ফেইসবুকে এটা নিয়ে বেশি বেশি পোস্ট বা কথা বলার মাধ্যমে অনলাইনের সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করছি যাতে করে তারাই আবার বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের এ ব্যাপারে সচেতন করতে পারে, নিজেদের শিশুর ব্যাপারে সচেতন হতে পারে, কেউ যদি নিজের মাঝে এরকম কোন সমস্যার উপস্থিতি টের পান তিনি যেন অতিসত্ত্বর চিকিৎসা নেবার চেষ্টা করেন। ২। এরপর আমরা চাচ্ছি বিভিন্ন মেয়েদের স্কুলে একজন সমাজসেবিকা, একজন নারী সাইকোলজিস্ট, এবং দুই তিনজন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে দিন ব্যাপী ওয়ার্কশপ বা সেমিনারের মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষিকা এবং ছাত্রীদের সবাইকে সচেতন করতে।

প্রাথমিকভাবে ঢাকার কোন একটা স্কুল থেকে শুরু করতে চাচ্ছি। এর জন্য অন্যান্য নারী ব্লগারদের এগিয়ে আসবার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। ৩। সকল ছাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ডাটাবেইজ তৈরী করার চেষ্টা করা হবে, এবং যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় রাখবার জন্য একটা ওয়েবসাইট তৈরীর চিন্তাভাবনাও আছে, সেটা আরো কিছুদিন পরে। ৪।

না, এখানে পুরুষ ব্লগারদের অবহেলা করা হচ্ছে না। নারী ব্লগারদের পাশাপশি পুরুষ ব্লগাররাও আমাদের কাজে সহযোগিতা করতে পারেন নানাভাবে। ক) এক হলো উনারা ঢাকার বিভিন্ন নারী সংগঠন যারা নানারকমের ভিকটিম নারীদের নিয়ে কাজ করেন, সেসব সংগঠনের তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারেন। খ) উনারা অবশ্য অবশ্যই উনাদের পরিবারের বাকী সদস্যদের সচেতন করবেন এবং পরিবারে শিশুদের ব্যাপারে আরো মনোযোগী হবেন। গ) উনারা তাদের পরিবারের বা পরিচিত মেয়েদের দিয়ে যার যার এলাকার স্কুলে এরকম সেমিনার বা সচেতনমূলক প্রোগ্রামের আয়োজন করতে পারেন।

সব অনলাইন নারী ব্লগারদের বা ফেইসবুকারদের এ বিষয়ে আরো সুচিন্তিত, গঠনমূলক মতামত দেবার জন্য, মূল্যবান আলোচনা করবার জন্য এবং একটিভলী অংশগ্রহণ করার সুবিধার্থে ফেইসবুকে এ নিয়ে একটা গ্রুপ খোলা হয়েছে, যেখানে সবাইকে যোগ দিতে আমি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। নারী এছাড়াও বিভিন্ন ব্লগ পোস্টের মাধ্যমেও আপনারা নিজেদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বা মতামত শেয়ার করতে পারেন. সবাইকে আরো আরো বেশি সচেতন করে তুলতে পারেন. আপনারা সবাই মিলে সহযোগিতা করলে আশা করা যায় এরকম একটা নিরব ব্যাধি থেকে আমরা আমাদের শিশুদের রক্ষা করতে পারবো এবং ভবিষ্যতে একটি মানসিকভাবে সুস্থ একটি সমাজ গড়ে তুলতে পারবো. সবাইকে ধন্যবাদ. কৃতজ্ঞতা স্বীকার: ব্লগার নিপাত গর্দভ ভাইকে যিনি প্রথম আমাকে উত্সাহ দিয়েছেন এরকম একটা কাজ শুরু করবার জন্য, মূলত এ বিষয়ে কাজ করবার আইডিয়াটা উনার মাথা থেকেই এসেছে. এরপর নারী গ্রুপের প্রাথমিক সদস্যদেরকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি তারা এই শুরুর অবস্থা থেকেই নিজেদের বিভিন্ন মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে কাজটা একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন. উনাদের আরো একটিভ অংশগ্রহন আমি আশা করছি. সূত্রসমূহ: ১। পেডোফিলিয়া ২। চাইল্ড সেক্সুয়াল এবইউজ ৩। Click This Link ৪।

http://psychology.ucdavis.edu/rainbow/html/facts_molestation.html ৫। Click This Link ৬। Click This Link ব্লগের আরো কিছু পোস্ট শিশু যৌন হয়রানির উপরে: ১। শিশু ধর্ষন ও বাংলাদেশ ২। ডিসেনসিটাইজেশন, সমকামিতা আর পেডোফিলিয়া ৩।

ইনসেস্ট হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব? ৪। তবু বিহঙ্গ--- ওরে বিহঙ্গ মোর?! ৫। আমার মেয়ে দেখে ভয় পাওয়া রোগ- ১ম পর্ব ৬। পেডোফিলিয়া বা শিশুর যৌন নির্যাতনঃ একটি মানসিক ব্যাধি (১৮+?) ৭। অন্ধকারের গান: বাংলাদেশে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা ৮. ভালো আদর মন্দ আদর বাংলাদেশে নারী ভিকটিমদের আইনি সহায়তা বা মানসিক পরিচর্যা দেবার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের কিছু সহযোগিতা কেন্দ্র আছে, এগুলো এ পোস্টের সাথে অনেকটা প্রাসংগিক বিধায় আমি এখানে দিয়ে দিচ্ছি, যে কেউ চাইলে যেন সহজেই সাহায্য নিতে পারে, ১।

ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার ২. সিটিজেন হেল্প রিকুয়েস্ট এছাড়া সরাসরি থানায় গিয়ে যোগাযোগের ব্যবস্থা তো রইলোই. ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.