আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-২০

কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস

বাড়ীতে ফিরার পথে আমি আর খুরশিদ কথা কই কম । খুরশিদ বেশকয়েকবার চায় আলাপ জমাইতে । কিন্তু জমে না । নিজের মইধ্যে অনুশোচনা হতাশা এইসব মিলা শেষপইর্যন্ত রাগ আসে । রাগ এই দুইন্যাদারির উপর ।

রাগ লুকজনের উপর । জীবনে এই ধরণের কাম করমু সেইটা কখনো ভাবতে পারি নাই । রাগ হয় শেষ পইর্যন্ত রাশেদাআপার উপর । গত কয়েকটা সপ্তাহ উনার অবহেলায় একেকবার আমার বিরক্তি এমন চূড়ান্ত পর্যায়ে উঠে ইচ্ছা হয় উনার সাথে আরো কুনোদিন কুনো আলাপ করমু না । ফুন করলে ধরমু না ।

খবর পাঠাইলে যামু না । কিন্তু ধৈরা রাখতে পারি নাই । এখন আর এইটাতে তো কাম হৈব না । ঠিক করি রাশেদাআপারে খুইলা বলব কাইলকা রাইতের ঘটনা । গায়ে লাগে কিনা দেখি ।

বাড়ীতে গিয়া দেখি ঐখানে লাইগা আছে আরেক ভেজাল । খোদেজার শ্বশুরবাড়ী থাইকা লুক আসছে । খোদেজা উল্টাপাল্টা আচরণ শুরু করছে । জামাইর দিকে হান্ডি-পাতিল ছুইড়া মারে । লুকজনের সাথে আবোলতাবোল কথা কৈতাছে ।

বুকের মইধ্যের মোচড় মাইরা উঠে আমার । তাইলে কি এই পাগলামি বংশগত নাকি । আব্বার এক জ্যাঠারে নাকি শেষ বয়সে এই রুগে ধরছিল বৈলা শুনছিলাম । সেই সিলসিলা কি আবার শুরু হৈল ? তাইলেওতো আব্বারটা নাহয় ঠিকাছে । কিন্তু খোদেজা অল্প বয়স্কা পিচ্চি মাইয়া ।

এই বয়স থাইকাই যদি শুরু হয় তাইলেতো কপালে শনি আছে । তাড়াতাড়ি ওরে শ্বশুর বাড়ী থাইকে আমগো বাড়ীতে আইনা চিকিৎসা শুরু করি । মোটামুটি একই রকম চিকিৎসা । কিন্তু খোদেজা বেশ তাড়াতাড়িই স্বাভাবিক হৈয়া আসে । ডাকতর কয় হিস্টিরি নাকি কি জানি হৈছিল ।

এই বয়সের মাইয়াগো নাকি এইটা স্বাভাবিক ব্যাপার । তয় গেরামের মাইনষে সবাই কৈতাছিল জ্বিনের আছর । আমি কানে তুলি নাই । জ্বিনের খাইয়া দাইয়া অনেক কাম আছে জুয়ান মাইয়াগো ডিস্টাব করা ছাড়াও । ভেজালে ভেজালে রাশেদাআপার সাথে ঠিকমত কথা কওনের সুযোগ পাইলাম দশ/বার দিন পর ।

তারে খুইলা কৈলাম ঢাকার ঘটনার কথা । উনার উপরে রাগ কৈরাই এই কাম করছি বৈলা চালাইয়া দিলাম । রাশেদাআপা যতটা অবাক হৈব মনে করছিলাম ততটা অবাক হৈলেন না । ঝাড়ি টাড়ি হালকা দিলেন অবশ্য । কিন্তু ক্যান জানি মনে হৈল ঝাড়িতে ততটা জোর নাই ।

অধিকার নাই । আমি চাইছিলাম তার প্রতিক্রিয়া তীব্র হোক । ভয়ংকর রাগ করুন । অধিকার নিয়া কথা কউক । কিন্তু তার কিছুই হৈল না ।

বরং উনার প্রতিক্রিয়া অনেক ঠান্ডা । মিজাজ আরো গরম হৈয়া যায় আমার । আমি আরো ডেসপারেট হৈয়া যাই । বলি আমি আরো এইরকম করতাম চাই । আবার সেই একই ধরণের প্রতিক্রিয়া পাই ।

হালকা ভাবে মানা করা । সিনেমার ডায়ালগের মত শুনাইতে থাকে আমার শেষের কথাগুলা । উত্তর ঠিকই দেন কিন্তু একটু উত্তাপে ঘাটতি থাইকা যায় । টের পাই । মেজাজ গরম করে ফুন করা বন্ধ কৈরা দিই ।

শিরিন ভাবীর সাথে ফুনে আজাইরা আলাপ চালাই দুয়েকদিন । কিন্তু ঐদিকে আমার সাহস করে না । খালেদার মত আরেকটা বেঁকা হাসি সহ্য করনের ক্ষমতা এখনো হয় নাই । ঐ হাসি এখনো আমারে দুঃস্বপ্নের মত তাড়া কৈরা ফিরতাছে । যদিও ঢাকায় মনে হৈছে আমি ভালই ঠিকঠাক হৈয়া যাইতাছি কিন্তু ঐটারে বিশ্বাস করনের মত যথেষ্ঠ কারন নাই ।

ট্যাকা দিয়া কিনা জিনিস খাঁটি হওনের সম্ভাবনা থাকে বেশি । কিন্তু ভালোবাসা ট্যাকা দিয়া কিনাটা হয় উল্টা । মুখোশ পরাইন্যা । অভিনয় । দোকানদার হিসাবে এই জিনিস আমার হাঁড়ে হাঁড়ে জানা ।

আমিতো বেচাকিনার জগতেরই লুক । এমন এক বিরক্তিকর দিনে ক্যামনে ক্যামনে যেন কয়েক হাত ঘুইরা একটা মহিলার নাম্বার পাই । ফুনের বিভিন্ন নাম্বার আদান প্রদানের একটা বন্ধু মহল গৈড়া উঠছে আমার এরই মইধ্যে । বিভিন্ন ক্যাটাগরির মইধ্যে থাইকা ফাউল মাইয়াদের নাম্বারগুলা হাতবদল হয় বেশি । এইহাত সেইহাত হৈয়া নাম্বারডা আমার হাতে আইলো ।

ফুন ধইরা হ্যালো বললে আমি কৈলাম আফনে কে । আপনার কারে দরকার ? কৈলাম দরকার তো আফনারেই । মিয়া, ফাইযলামি করার আর জায়গা পান না, নাম্বার পাইছেন কৈ ? কৈলাম ফাইযলামি করার আসলেই জায়গা নাই দেইখাই ফুন করলাম । ঐপাশ থাইকা খিলখিল হাসির শব্দ শুনি । বুঝলাম সম্ভাবনা আছে ।

মিলির সাথে কথা আমার দিনদিন বাড়তে থাকে । অবশ্য নামডা নিয়া সন্দেহ আমার এখনো কাটে নাই । এরই মধ্যে তার হাজবেন্ড নিয়া তিন ধরনের কথা শুনা হৈয়া গ্যাছে । একবার কয় হাজব্যান্ড অন্য এক জায়গায় বিয়া করছে , তাগো নিয়া থাকে চিটাগাং । আরেকদিন কৈল হাজবেন্ড কুয়েতে থাকে ।

আবার আরেকদিন কয় হাজবেন্ড ঢাকায় চাকরি করে , মাসে দুই তিনবার আসে । জাহান্নামে যাক হাজবেন্ড । আমি বুঝি নিশ্চয়ই কুনো গোলমাল আছে । সেইটা নিয়া সন্দেহ নাই । সিনেমার ডাইলগ মারতে থাকি সমানে ।

নিজের জীবনে ইতিহাস খুইলা কই । সেন্সর কৈরা অবশ্য । মিলির জীবনের ইতিহাস শুনি । কিন্তু বিশ্বাস করতে ভরসা পাই না । হয়ত ঐ পক্ষও আমার কথা পুরাপুরি বিশ্বাস করে না ।

ঐটা নিয়া তেমন চিন্তা নাই আমার । কথা বিশ্বাস করানো উদ্দেশ্য না আমার । উদ্দেশ্য অন্য জায়গায় । রাশেদাআপারে ফুনে বলি আমার নতুন পীরিতের কথা । একটু হিট দিতাম চাই ।

কিন্তু কেমন জানি মনে হয় হিট লাগতাছে না । আমি আরও মিলির সাথে জড়াইয়া যাই । একদিন দেখা করার প্রস্তাব দিই । মিলি কয় না সম্ভব না কুনোমতেই । আমি বুঝি খুব সম্ভব ।

ওর কথার মইধ্যে থাইকা আসল উদ্দেশ্য বাইর করা নেয়াটা শিইখ্যা গেছে এর মইধ্যে । ওর বাড়ী বাতিসা । তাই ঠিক করি চৌদ্দগ্রামে দেখা করমু । কোলে একটা বাচ্চা নিয়া মিলি আসে । পালকিতে একটা সিনেমাও দেখি দুইজনে ।

ওর বাড়ী যাইতে চাই আমি সেইদিনই । কিন্তু মিলি মানা করে । বাড়ীতে শ্বাশুড়ী নাই , জা আছে একজন । তার কাছে বৈলা আসছে পিচ্চিরে নিয়া ডাকতর দেখাইতে যাইতাছে । ঠিক করি অন্য একদিন যামু ।

মিলির এক মামা থাকেন ছৌদিতে । চালানের জিনিস দিতে আইছি বৈলা যামু । ফেনীতে এক দামি কসমেটিকের দোকান থাইকা বিদেশি শ্যাম্পু আর সুনো কিনা সেইগুলারে প্যাকেট কৈরা একদিন মিলির বাড়ীতে চৈলা যাই । ফুনে কথা বৈলাই যাই । মিলির জা আসে দেখা করতে ।

আমি চৈলা যাই বলি উনার সামনেই । মিলি কয় না, যাওন চলবো না , দুপুরে খাইয়া যাইবেন । আমি বুঝি ঘটনা কি । না যাইতেই হৈব কৈতে কৈতে আমি থাইকা যাই । ঘরের পিছন দিকে রান্নাঘরে চৈলা যায় মিলি রান্না করতে ।

একটু পরে উইঠা আমিও যাই । বাড়ীতে ফিরি বিকালে । একটু খুশি একটু অনুতাপ নিয়া । নিজের মর্দামির উপর একটু একটু কৈরা বিশ্বাস ফিরা আসতাছে দেইখা একটু খুশি । দোযখের ডরে একটু অনুতাপ ।

মাইঝা ভাই ফুন কৈরা খবর দেন তিনি আর সাইঝা ভাই দুইজনেই একসাথে দেশে ফিরতাছেন সামনের মাসের পরের মাসে । আম্মা গোঁ ধরেন পরপর দুই সপ্তাহে দুইজনেরই বিয়া দিতে হৈব । আমি মনে মনে একটু খুশিই । তবু খরচ নিয়া চিন্তা লাইগা যায় । দুইজনেই ফুন কৈরা ট্যাকার ব্যাপারে আশ্বাস দিলে শুরু হৈয়া যায় বউ খোঁজা ।

দুই ভাইয়ের বিয়ার সময় লোকসমাগম দেইখা মনে হয় আব্বার পাগলামি আবার উইঠা যায় । এইবার অবশ্য বেশি উল্টাপাল্টা করনের আগেই , ইনজেকশন দিয়া উনারে শান্ত বানানো হয় । বিয়ার কয়েকদিন পরে তাবলীগে চৈলা যান আব্বা । ফিরা আসেন আকাম কৈরা । ফেনীতেই এক তাবলীগের মজলিস থাইকা দরবেশরে যৌতুকবিহীন কম দেনমোহরের বিয়া পড়াইয়া বৌ নিয়া আসেন ।

একটু হাউকাউয়ের পরে আম্মা মাইনা নেন । তয় দরবেশের বৌ আমগো ঘরে থাকেনা । তার বাপ ফেনীর আড়ৎদার । ভাই নাই । দুই বইন তারা ।

বাপের বাড়ীতেই থাকবো মাইয়া । মিলির বাড়ীতে আরো দুইবার যাই । প্রতিবার আইসা রাশেদাআপারে খুইলা বলি ঘটনা । তার মইধ্যে একটু রাগের উৎপত্তি দেখতে চাই । দেখা হয় না ।

দিনদিন আরো ঠান্ডা হৈতে থাকেন, আরো গুটাইয়া নিতে চান । ফুনে কথা কিন্তু তেমন কমে না । একদিন ফুন কৈরা মিলি আমারে আর ফুন কর‌তে মানা কৈরা দিলে এবং কয়েকদিন পরে ফুন বন্ধ কৈরা দিলে রাশেদাআপার সাথে ফুনে কথা আবার বাইড়া যায় আমার । সিনেমার ডাইলগ বাইড়া যায় ।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.