আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-৪

কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-৩ Click This Link কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-২ Click This Link কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১ Click This Link গেরামে এসে পরথম কয়েকদিন টাল্টিবাল্টি করে বেড়ালেও শেষ পর্যন্ত একটা কাজে হাত দিতে হয় । গেরামে মসজিদ দুইটা । দুইটার একটার ইমাম বড় ভাই আরেকটার ইমাম আমার উপরের জন । সাইঝা অর্থাৎ উপর থেকে তিন নম্বর ভাইটা দুই গেরাম পরে নানার বাড়ির একমাত্র মসজিদের ইমাম আর সাথে সাথে ছোট একটা মাদরাছায় পড়ায় । বড় ভাই একটা ভোদাইমার্কা পাব্লিক ।

মিজাজ দেখানোর দিক দিয়া না । জীবনে যেন কুনো উদ্দেশ্য নাই । আমার উপরের ভাইডা একটা আস্তা দরবেশ । হাফেজি পড়ে সেইযে থানা শহরের মাদরাছায় গেল তারপর থাইকা জীবনের যৌবনের উপর তার যেন কোনো মোহই নাই । গেরামেরই দুরের কিনারের মসজিদে থাকে সপ্তাহেও একবার বাড়িতে আসে না ।

মসজিদেই পইড়া থাকে । পাশে ইমামছাবের ঘর আছে ঐখানে থাকে । সাইঝা ভাই এট্টা উড়নচন্ডী । তুই আলেম মানুষ তোর এত সাজগোজ ফ্যাশন এর কি আছে । মাসে মাসে ঢাকায় মামা খালার বাড়ী যায় ।

নতুন নতুন কুর্তা পায়জামা বানায় । ফেয়ার এন্ড লাভলি মাখে দুপুরে গোছল কৈরা । অর সাথে ঠিকমত চাইরকথা কওন যায় না । দুই কথার পরই লাইগা যায় । আমার কাম হৈল তাই শেষ পর্যন্ত বাপের দোকান দেখা ।

আর কারণে অকারণে তার লম্ফা লম্ফা বক্তৃতা শুনা । আব্বাজান তাবলীগ আর পরকাল নিয়া আছেন । দোকান একটা আছে মাসে দশ দিন থাকে বন্ধ । যখন খোলা তাও আমার ছুড ভাইডির একটারে বসাইয়া দিয়া তিনি কোরান তিলাওয়াতে মগ্ন থাকেন । মাঝে মাঝে মিজাজ যায় খিঁচড়াইয়া ।

একদিন তারে সূরা জুমআর আয়াত মাইরা কৈলাম দুনিয়াদারি ছাইড়া দিতে তো আল্লাহ নিষেধ করছেন । করলাম নাকি একটা আকাম । শুরু হৈল দুই ঘন্টার সওয়াল জবাব আর লেকচার । কোন বুজুর্গের খাওন কৈ থাইকা আসত কুন ছাহাবি কিভাবে এবাদতে মশগুল থাকত এইগুলা নিয়া শুরু হৈল হাবিজাবি । সামনে থাইকা সইরাও যাওন যায়না ।

ধমকাইয়া বসাইয়া দেন । মন এম্নিতেই খারাপ । কুলসুমার বিয়ার কথা মোটামুটি পাকাপাকি । আমিই গা কৈরা পাত্রপক্ষের লুকজনরে বুঝাইয়া ঠিকঠাক কৈরা দিতাছি । দুপুর বেলা যেইভাবে জলভরা চোখ নিয়া কৈল , আফনে দোকান থাইকা ইঁদুর মারার বিষ আইনা দেন তাও আমার বিয়া ঠিক কৈরেন না ।

ধমক দিয়া সৈরা আসলেও সেই চোখ কিছুতেই ভুলতাম পারতাছি না । তার মৈধ্যে এই কিচ্ছা কাহিনী । রাখেন আফনের কাহিনী বৈলা আমি উইঠা দৌড় মারলাম । বুকের মইধ্য ধুপধাপ শব্দ নিয়া বাড়ি থাইকা বাইরে দিলাম দৌড় । জীবনে কখনো আব্বাজানের সাথে এমন বেয়াদবি করি নাই ।

তাছাড়া এখন কৈরাও ভয়ডা আব্বাজানের না । বড় ভাইর । পেছন থাইকা শুনলাম আব্বা ধমক দিতাছেন । মা-বাবার লগে বেয়াদবি করবি তো জীবন ধ্বংস হৈয়া যাইব । ঠাডা পইড়া মরবি ।

ধ্বংস হোক । ঠাডা পড়ুক । নিজ হাতে নিজের জীবনের শ্রেষ্ঠ আশ্রয়কে যে দুরে পাঠায় তার জীবনে ধ্বংসের আর বাকি কি থাকে । বাড়ির পাশে পুকুর, পুকুরের অন্য পাশে রেলরাস্তা । সোজা গেলে বাসের রাস্তার সাথে ক্রসিং ।

বাসস্ট্যান্ড । শেষ দুপুরেই রওনা হৈলাম । চৈলা গেলাম যেদিকে দুইচোখ যায় । এক্কেবারে আন্দাজে যে তা আবার ঠিক না । ঢাকার বাসে উইঠা গেলাম ।

চান্দিনা যামু । মাহবুবের দ্যাশের বাড়ি । পাগড়ি বান্ধনের দিন অনেক কৈরা কৈছে যাইছ বন্ধু । মাধাইয়া বাস স্ট্যান্ডের নাইমা যে কাউরে জিগাইলেই দেখাইয়া দিতে পারব মন্তাজ চৌদরির বাড়ী । রাস্তা থাইকাই দেখা যায় ।

মাহবুবের পুরা পরিবার আমারে পাইয়া যেন হাতে চাঁদ পাইছে এমন খাতির যত্ন করলো । বেচারা ছৌদি চৈলা যাইব সামনের মাসে । দুএককথার পরেই কাইন্দা দিলেন মাহবুবের মা । ছ্যানছ্যান করে উঠে মাহবুব । কি খালি ফাগলের মত শুরু করলা ।

দেশ জুইড়া কত মানুষ যাইতাছে । রাইতে মাহবুবের কাছে যখন এইখানে থাকার এবং যেকোন একটা হুজুরীয় কাজ করার ইচ্ছার কথা খুইলা বল্লাম , মাহবুব গিয়া তার মারে কৈল । উনি যেন যারপরনাই খুশি হৈলেন । গেরামে তারাই মাতব্বর । কৈলেন মসজিদেতো ইমাম আছে ।

কোনো সমস্যা নাই , মোয়াজ্জিন হিসাবে তুমি থাকবা । থাকবা খাবা আমরার ঘরেই । মাহবুবের ছুড দুইটা বৈন আছে । সকাল বিকাল ওদের একটু কায়দা আমপারা পড়াবা । জীবন আমি যেরকম চাইছি সেইরকম কুনোদিনও ছিল না ।

শুধু এইবারেরটা ছাড়া । শেষ দুফরের গরম লোহার রেললাইন ধৈরা হাইটা আসার সময় আমি আসলে জীবনের ধ্বংস চাই নাই । চাইছি নির্বাসন । এমন কুনো জায়গায় যেইখানে কুলসুমার আক্ষেপগুলা শুনা যাইব না । যেখানে কেউ মুখের সামনে কুলসুমার নাম উচ্চারণ করবো না মাসে ছমাসে একবারও ।

মাহবুব কে বলি নাই কুলসুমার কথা । বেচারা আমারে বড় পেয়ার করলে মোন্তাজিরকে যেইভাবে নিজের জীবনে গল্পের ঝাঁপি খুইলা দিছিলাম সেই তুলনায় মাহবুবকে কিছুই বলি নাই । তাও আমর প্রতি টানের তার কুনো ঘাটতি দেখি নাই কুনোদিনই । এখন মনে হৈল হাতের কাছেই সেই নির্বাসন । অলস দিনগুলা যাইতে লাগল পাঙ্খার মত ।

সকালে দুএকটি ব্যাএছ্যাএ জাতীয় আরবি পাঠ আর সন্ধ্যার আধঘন্টাখানেক ঝিমানিরত মাহবুবের ছুড দুই বৈনরে ক খ ১ ২ ৩ এর বাইরে সারাটা দিন কামকাজ নাই । মাহবুব ব্যস্ত এবাড়ি সেবাড়ি দাওয়াতে । আমাকে টানাটানি করে । কিন্তু নির্বাসনে আমি কুনো আনন্দ মুহূর্ত চাইনা আরো অনেকদিন । কিছু মাস যাক ।

তারপর দেখা যাবে । মাহবুবরে আগাইয়া দিতে ঢাকাতেও যাই না । একসময় যখন উপরের সবগুলা ভাই কুনো না কুনো কারণে একবার দুইবার ঢাকা যাইত মাঝে মাঝে আক্ষেপ কৈরা বলতাম আমার জৈন্য ঢাকার এক পলিথিন মাটি নিয়া আসাতে । ঢাকায় গিয়া যখন ঢাকার মাটিতে পা দেয়া হৈল না তাইলে গেরামে বৈসাই দিই । তাও তো কৈতে পারমু ঢাকার মাটিতে পা দিছি ।

কিন্তু আইজ সেই ইচ্ছা নাই । ঢাকায় হাজার হাজার মাইয়া কাউরে না কাউরে দেইখা কুলসুমার পানিভার চোখের কথা মনে হৈয়া যাইতে পারে । সেইদিন সন্ধ্যায় মাহবুবের ছুড বৈন দুইটা কানতে কানতে কেলান্ত হৈয়া ঘুমাইয়া গ্যাছে আগেই । বেচারি মাহবুবের মার কুনো হুশ দিশ নাই । পড়ে আছেন ঘর আন্ধার করে ।

বৈঠকখানায় বৈসা আছি । হঠাৎ শুনলাম একটা মেয়েকন্ঠ বলছে হুজুর হাত ধুইয়া আসেন , ভাত খান । ঝাঁ করে একঝলক রক্ত বুকের মধ্যে পোঁচ মাইরা দিয়া গেল ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.