আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এরশাদ স্বৈরাচার হলে খালেদা কি?



.আজকাল সকল আওয়ামী লীগ বিরোধী পোস্ট গুলাতে দেখা যায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে স্বৈরাচার এরশাদের সাথে জোট করার জন্য। কথা বার্তা শুনলে মনে হয় স্বৈরাচার শব্দটি একা এরশাদের জন্য লাইসেন্স করা হয়েছে। ক্ষমতা না ছাড়তে চাওয়া যদি এরশাদের স্বৈরাচারি হওয়ার কারন হয় তাহলে বিগত বছর গুলিতে আমরা বিএনপি ও তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার কাছ থেকে কি দেখতে পেয়েছি আসুন তা পর্যালোচনা করে দেখি। ১৯৯৬ সালঃ বিএনপির সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ও খালেদার জোর করে ক্ষমতা না ছাড়তে চাওয়া। নিজে প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রহসনের নির্বাচন করা ও তাতে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে জয়লাভ করা যা দেশ ও বিদেশে নিন্দিত হয়েছিল।

পরে জনতার ও আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল হিসাবে তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনে বিএনপির ও খালেদার পরাজয় হয়। ২০০৬ সালঃ আমাদের গর্ধভ ও অপদার্থ প্রেসিডেন্ট, বিএনপির ইয়েসম্যান ইয়েসউদ্দিনরে দিয়ে তত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের পদ দখল করা। ইয়েসউদ্দিন ও সিইসি বেহায়া আজিজকে দিয়ে নীলনকশার নির্বাচন করানোর চেস্টা। ফলশ্রুতিতে আবারও জনতার ও আওয়ামী লীগের আন্দোলন ও এই আন্দোলনের ফসল হিসাবে ১/১১ ও ডঃ ফখরুদ্দিন আহমদের নতুন তত্বাবধায়ক সরকারের জন্ম। ২০০৭ সালঃ গ্রেফতার হওয়ার আগে কোনো প্রকার বোর্ড মিটিং ছাড়া একক সিদ্ধান্তে দলের সাধারন সম্পাদক মান্নান ভূইয়া ও অন্যান্য সংস্কারপন্থী নেতাদের দল থেকে বহিস্কার করন।

এই ছাড়াও দেশের সবাই যখন তারেক আর কোকোর দুর্নীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ তখন খালেদার জনগনের বিপক্ষে দাবী তার পুত্ররা নাকি নির্দোশ এটা নাকি ষড়যন্ত্র। উপরোক্ত ঘটনা গুলো থেকে আমরা দেখতে পাই স্বৈরাচার শুধু এরশাদ একা নয়। খালেদাও স্বৈরাচারের সকল সীমা অতিক্রম করেছেন। আমি বলছিনা এরশাদ খুব ভাল মানুষ। কিন্তু স্বৈরাচার টাইটেল এরশাদের একা হবে কেন? এরশাদ যা করেছেন খালেদার কুকীর্তিও তার চেয়ে কম কিছু নয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।