আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হ্যালো, এফবিআই আমি এখানে!

১৯ জুন ২০০২ সাল। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন শিল্পী হাসান এম এলাহী যখন ডেট্রয়েট বিমানবন্দরে প্রবেশ করছিলেন, তখনো তিনি জানেন না, সেদিন থেকে তাঁর জীবনটা বদলে যাবে বেমালুম!
স্বাভাবিক নিয়মে অভিবাসন কর্মকর্তার হাতে নিজের পাসপোর্টটা তুলে দিয়েছিলেন তিনি। পাসপোর্ট একনজর দেখেই কেমন যেন থতমত খেয়ে গেলেন কর্মকর্তা। ঝাড়া কয়েক সেকেন্ড এক দৃষ্টিতে এলাহীর দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন, ‘আপনাকে একটু আমার সঙ্গে আসতে হবে। ’
ঘটনার বাকি অংশ জেনে নিন স্বয়ং হাসান এলাহীর বয়ান থেকে।

২০১১ সালে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে এমনটাই লিখেছেন তিনি।
‘ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার পিছু পিছু গিয়ে দাঁড়ালাম একটা বড় হলঘরে। সেখানে আরও অনেক লোক জড়ো হয়েছেন। কাছেই দাঁড়ানো একজন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলাম, ‘আমাকে এখানে কেন আনা হয়েছে?’ তাঁকেও আমার মতোই বিভ্রান্ত দেখাল।
কিছুক্ষণের মধ্যেই কালো স্যুট পরিহিত এক ব্যক্তি আমার মুখোমুখি দাঁড়ালেন।

বললেন, ‘আমি তোমাকে আরেকটু বয়স্ক আশা করেছিলাম। ’ জানতে চাইলাম, এখানে আসলে হচ্ছেটা কী? তিনি বললেন, ‘তোমাকে নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে হবে। ’
আমাকে নেওয়া হলো জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষে। অনুজ্জ্বল সাদা ঘরটির এক কোনায় একটি ক্যামেরা দাঁড় করানো। একটি ‘এল’ আকৃতির টেবিলের অপর প্রান্তে মুখোমুখি বসলেন লোকটি।

কোথায় গিয়েছিলাম, কোথায় যাচ্ছি, নানা ধরনের টুকরা প্রশ্নের পর হঠাৎই জানতে চাইলেন, ‘সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখ তুমি কোথায় ছিলে?’
সৌভাগ্যবশত, আমার কিছুটা স্মৃতি সংরক্ষণের বাতিক আছে। আমি আমার পিডিএ (পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট) খুললাম। ক্যালেন্ডারে দেখলাম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১১। বুধবার। ‘গুদামঘরের ভাড়া পরিশোধ, সকাল ১০টা।

জুডিথের সঙ্গে মিটিং, সকাল সাড়ে ১০টা...। নয় মাস আগের একটি দিনের কার্যকলাপ আমি হরহর করে বলে গেলাম। এতটা বোধ হয় তিনি আশা করেননি। চলল তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ:
—টাম্পা এলাকায় তোমার একটা গুদামঘর আছে, ঠিক?
—হুম, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে।
—কী আছে সেখানে?
—শীতের কাপড়, আসবাব, কিছু জঞ্জাল, যেগুলো আমার ঘরে জায়গা হচ্ছিল না।


—কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল?
—আমি নিশ্চিত, কখনোই ছিল না।
—হুম...আমাদের কাছে তথ্য আছে, তোমার গুদামঘরে বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল এবং তুমি সেগুলো নিয়ে সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখ পালিয়ে গেছ।
...যা হোক, আমার খুবই সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব দেখে তিনি বুঝলেন, আমার সম্পর্কে পাওয়া তথ্যে কোনো ভুল হয়েছে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।