আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর্মেনীয় গনহত্যার জন্য তুরস্কের বুদ্ধিজীবিরা ক্ষমা চেয়েছেন।

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৯১৫ সালে অটোমান শাসকরা প্রায় ১৫ লাখ আর্মেনীয়কে হত্যা করেছিল। এটিই ছিল বিশ শতকের প্রথম গনহত্যা। আর্মেনীয় গনহত্যার দায়দায়িত্ব তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে এড়িয়ে যাচ্ছে এবং নিজেদের তারা শাস্তিযোগ্য বলে মনে করে না।

তাদের বক্তব্য হল অটোমান সাম্রাজ্য ভাঙার সময় গণঅসন্তোষের কারণে হত্যা ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল। আমি এর আগে আর্মেনীয় গনহত্যা নিয়ে লিখেছি। লিখতে লিখতে ভাবছিলাম তুরস্কে তো অন্যান্য দেশের মতোই বিবেকবান সচেতন মানুষের অভাব নেই -কবে তারা আর্মেনীয়দের কাছে গনহত্যার জন্য ক্ষমা চাবে? আাশার কথা এই। গত সোমবার ২০০ জন তুর্কি বুদ্ধিজীবি আর্মেনীয় গনহত্যার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তারা ইন্টারনেটে একটি ক্ষমা প্রার্থনার চিঠি প্রকাশ করেন।

এদের মধ্যে রয়েছে তুর্কি শিল্পী সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। এই ঘটনায় আমি আরও আরও সম্ভাবনা উপলব্দি করে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেছি। তুর্কি বুদ্ধিজীবিরা অবশ্য গনহত্যার বদলে মহাধ্বংসযজ্ঞ শব্দটি ব্যবহার করেছে। যদিও আর্মেনীয়রা দীর্ঘদিন ধরে গনহত্যা বলে চিহ্ণিত করা দাবী করে আসছে। সে যাই হোক।

তুর্কি বুদ্ধিজীবিদের ক্ষমা চাওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। ক্ষমা প্রার্থনা পত্রে বলা হয় আমরা ১৯১৫ সালে সংগঠিত ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের বিষয়ে উদাসীন থাকতে পারিনা। আমরা এ অন্যায় মানি না। আমরা আর্মেনীয় ভাইদের সঙ্গে তাদের কষ্ট ও যন্ত্রণা ভাগ করে নিতে চাই। আমরা তাদের কাছে ক্ষমা চাই।

প্রায় আড়াই হাজার সাধারণ নাগরিকও ক্ষমা প্রার্থনা পত্রে স্বাক্ষর করে। এটাও আশার কথা। তবে জাতীয়তাবাদীরা ক্ষমা প্রার্থনার কঠোর নিন্দা করেছে। তাদের মতে আর্মেনীয়দের কাছে ক্ষমা চাওয়া ভুল এবং এটি জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি। কারও কাছে ক্ষমা চেয়ে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষে অপরাধ চিহ্ণিত করতে পারি না! এর আগে, ২০০৫ সালে নোবেল বিজয়ী তুর্কি লেখক ওরহান পামুক আর্মেনীয় গনহত্যার সম্বন্ধে বক্তব্য রাখায় তাঁর বিরুদ্ধে তুরস্কের সরকার আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিল।

তুরস্কের অন্য একজন সাংবাদিক আর্মেনীয় গনহত্যা সংক্রান্ত এক প্রবন্ধ প্রকাশ করার জন্য গুলি করে হত্যা করা হয়। ২ আপনাদের কারও কারও মনে থাকার কথা-বেনজির ভুট্টো হত্যার ঠিক আগে আগে ৭০টি পাকিস্থানী সংগঠন ১৯৭১ সালের গনহত্যার জন্য ক্ষমা চেয়েছিল। ১৯৭৫ বা ১৯৮০ বা ১৯৯০ সালে সংখ্যাটা ছিল নগন্য। আমার ধারনা যত দিন যাবে ক্ষমা চাওয়া ব্যাক্তি ও সংগঠনের সংখ্যা আরও বাড়বে। ৩ আমার বিশ্বাস।

বাংলাদেশে আমরা যাদের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিনি। একদিন বিশ্বের সব মানুষ তাদের যুদ্ধাপরাধী হিসেবই সনাক্ত করবে। সূত্র: প্রথম আলো। বুধবার। ১৭ ডিসেম্বর।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।