আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছোট ছোট ইচ্ছা আর তা পুরন না হওয়ার কষ্টগুলো...

পথ বাঁধতে চেয়েছিল বন্ধনহীন গ্রন্থি...

সৃষ্টিশীল মানুষের রোগ নাকি অনিদ্রা আর যারা হাবুগাবু ধরনের মানুষ তাদের নাকি ঘুমের কোনও সমস্যা হয়না......অনেক বছর আগে হুমায়ুন আহমেদের কোন এক বইয়ে পড়েছিলাম একথাটা, পড়ে অনেক হাসলেও মনের ভিতরে কোথায় যেন একটা আনন্দের বান ডেকেছিল...মনে হয়েছিল আহা! আমিও তবে জিনিয়াসদের মাঝে আছি...! আজকাল আর এসব মনে হয়না...বড় হয়ে গেছি মনে হয়...গভীর রাতে যখন ঘুম আসেনা...আর একজনের পর একজন মেসেঞ্জার কন্ট্যাক্ট বাই দিয়ে যখন ঘুমাতে চলে যায় তখন মনে হয় হাবুগাবুরা[!] কি আনন্দেই না আছে...বালিশে মাথা রাখলেই ঘুম...ইশ! হাহাহাহাহা...গত তিনরাতে ঘুমাতে গেছি ৫টার পরে, [তাও শুয়ে পড়তে হয়েছে ঘাড় ব্যথার জন্য ঘুম এসেছে বলে না...সারাদিন পিসির সামনে বসে থাকলে ঘাড় ব্যথাতো হবেই, আর একটা শাড়িতে কাজ করছি তাও ঘাড় গুজেই...ঘাড়ের আর কি দোষ...] আর উঠেছি সকাল ১১টার পরে...[আজকে উঠেছি ১২টায়!]...উঠার পরে লজ্জা লাগে...সামনে ঈদ আর আমি একটা ধামড়া মেয়ে আম্মুর কোনও সাহায্যই করিনা... খনিকক্ষন আগে ফেসবুকে আমার এক বান্ধবীর স্ট্যাটাস মেসেজ পড়ে দেখি ওর এক ইউনি ফ্রেন্ডের ৫ বছর বয়েসী ভাই মারা গেছে লিউকোমিয়াতে...খুব মন খারাপ হল...কি জানি এতটুকু বাচ্চাকে আল্লাহ কেন এত তাড়াতাড়ি তুলে নিলেন...অসহায় লাগল...অনেকদিন পর সারাক্ষন বকবক করা আমি অনুভব করলাম, আমার বলার কিছু নাই...সান্তনা যে দিব...দিয়ে কি লাভ?...বান্ধবীকে বললাম ওর কাছে যা, আর গিয়ে পারলে একটুক্ষন ওকে জড়িয়ে ধরে রাখ...একটু উষ্ণতা, এছাড়া আমাদের আর কিইবা দেয়ার আছে...! আজ আমার ভাবনাগুলো খুব এলোমেলো...একটার পর একটা চিন্তা এসে মনটাকে এলোমেলো করে দিচ্ছে...গুছিয়ে লিখতে পারছিনা বলে যারা পড়ছেন তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি... জাহাঙ্গীরনগরে থাকতে আমি খুব একটা পছন্দ করিনা...আমাদের স্যারেরা আমাদেরকে বিভিন্ন সময় এত ক্লাস পরীক্ষা রিপোর্ট আর এসাইনমেন্ট দিয়ে এমন ভোগান্তিতে ফেলে রেখেছেন যে ক্লাস শেষ হওয়া মাত্রই আমরা দুদ্দাড় করে বাসে চড়ে বসি...একটা মুহুর্তও আর ওখানে থাকতে ইচ্ছা করেনা... যতটা সময় আমি জাবিতে থাকি তার মাঝে অনেকটাই আমার যায় নিছক আড্ডাবাজীতে...ক্লাসে যে আমি কিকরি তাতো আগেই দেখেছেন ক্লাসের বাইরের সময় টুকুতে চানাচুড় আর ভেলপুড়ি খাওয়াতে অনেক সময় কাটে...আর সমাজ বিজ্ঞানের সামনের চানাচুড় আর ভেলপুড়ি বেচার দুই মামার সাথেও আমার ব্যাপক খাতির... আমার খাতির জমাতে বেশি সময় লাগেনা এই ব্যাপারটেতো আছেই...আবার আরেকটা জিনিস হল আমি মোটামুটি এদের লয়াল কাস্টোমার, তাই এক্সট্রা খাতির পেয়েই থাকি...হরহামেশাই...! একদিন পার্লে জি খেতে খেতে সমাজ বিজ্ঞান পরিষদের সামনে এসে মামাকে তিনি এবং তার ফ্যামিলির সবাই কেমন আছে জিজ্ঞেস করার পর উনি হেসে বললেন, খালা আমার ছোট মাইয়াটা এই বিস্কুট খুব ভালা পায়...তারপর থেকে আমার কাজ ছিল হঠাৎ হঠাৎ পার্লে জির প্যাকেট কিনে এই দুই মামার পিচ্চিদের জন্যে দেয়া [ভেল মামার বাচ্চাও বিস্কুট কুট কুট করে খায়...]...এবার এস এস সি এর রেজাল্টের পর ভেল মামা বললেন উনার বড় ছেলে গোল্ডেন এ+ পেয়েছে শুনে খুশিতো হলামই আবার পরক্ষনেই মনে হল আমার নিজের ভাই সামনের বছর ম্যাট্রিক দিবে সেইন্ট জোসেফ থেকে ওর পিছনে যে খরচ করা হয় তার ছিটেফোটাও ভেল মামা তার ছেলের জন্য করতে পারেনা, আমার ভাই যখন এ+ পাবে...[ইনশাল্লাহ!] তখন আমার এই পাতানো মামাতো ভাইটা [ ভেল মামার ছেলে] হয়তোবা টাকার অভাবে ভালো কলেজে পড়তে না পারার দুঃখে কাতরাবে...[কি লিখছি জানিনা...চিন্তাগুলা খুব এলোমেলো...] আমার একটা মানত ছিল যে কিছু টাকা আমি গরিব কাউকে দিব...ভেবেছিলাম সামনে ঈদ তাই এই দুই মামাকে কিছু টাকা দিয়ে বলবো যেন তাদের বাচ্চাদের জন্য কিছু কিনে দেয়...দিতে পারিনি...লজ্জা লেগেছে...যদি তাঁরা ভাবেন আমি ভিক্ষা দিচ্ছি...আমি উনার বাচ্চাদের জন্য বিস্কিট কিনে নিয়ে যাবার পরে আমার থেকে ইনারা টাকা নিতে চাননাই...উনাদের আমি ছোট করি কিভাবে... ধুর...যা ভাবছি তার কিছুই লিখতে পারছিনা...আরও আবোল তাবোল লেখার আগে এখানেই বন্ধ করা উচিত...এর চেয়ে বরং আরও কিছু ছবি পেয়েছি সেগুলা পোস্টাই... পিচ্চিটার মৃত্যুতে আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি...বাচ্চাটাকে কখনও দেখিনাই তারপরেও কান্না পাচ্ছে...আমি নিজেকে বুঝিনা...আমি এত আজব কেন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।