আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্তমান বিশ্বভাবনা (মাইক্রো)

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

সোমালিয়ান জলদস্যুরা আরেকটি জাহাজ ডাকাতি করেছে। দু:খের সংবাদ এই যে এইবারের জাহাজটিতে বেশ কজন বাংলাদেশি নাবিকও আছেন। তবে এই জলদস্যুরা সাধারনত পনবন্দিদের সাথে ভাল ব্যবহার করে থাকে। জানের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কিছুদিন আগে বিবিসির সাথে সাক্ষাতকারে এমন একজন জলদস্যু বললেন, সোমালিয়ার আর্থসামাজিক অবস্থা এরজন্য দায়ী।

আগে জেলে ছিলেন। গৃহযুদ্ধের পাশাপাশি তাদের সামুদ্রিক এলাকা বিদেশি জেলেদের দখলে চলে গেলে তারা এই দস্যুতে পরিনত হন জীবিকার খাতিরে। কিছুদিন আগেই এরাই সৌদি জাহাজ (পৃথিবীর অন্যতম বৃহত) ডাকাতি করে। সোমালিয়ার সরকার বিরোধী ইসলামী জংগী দলটি অবশ্য জেলেদস্যুদের শাসিয়েছে মুসলিম একটি দেশের জাহাজ দখল করার জন্য। এরিমধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনী এমনি একটি জলদস্যুদের জাহাজ ধংস করে দিয়ে বেশ সুনাম কুড়িয়েছিল।

অথচ ভারতীয় নৌবাহিনীকে ফাকি দিয়ে জংগীরা দুদিন আগে জলপথে (সম্ভবত) মুম্বাইয়ে ঢুকে ধংসলীলা চালিয়েছে। এতে যে বিরাট ক্ষতি হয়েছে তার ধকল ভারতসহ আশেপাশের দেশগুলোকে সইতে হবে। বাংলাদেশকেও এখন ভারতীয়রা সন্দেহের চোখে দেখবে। ভারতীয় মুসলমানদেরকেও যাতনা সইতে হবে সবচাইতে বেশি। যে তিনজন উর্ধ:তন পুলিশ কর্মকর্তা (বোম্বের সন্ত্রাস দমন বিভাগের প্রধান সহ) নিহত হয়েছেন তার মধ্যে একজন ছিলেন ভারতে বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী হামলার তদন্ত্রে নিয়োজিত।

এবং যার দক্ষতায় এটি প্রমানিত হয় যে বিভিন্ন হামলায় মুসলমানেরা নয় হিন্দু উগ্রবাদিরা জড়িত। তাকেই মরতে হল মুসলমান জংগীদের হাতে। দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে। এই ঘটনাবলী থেকে অন্তত: এটি উপলব্দি করা সহজ যে আমরা মানব সভ্যতার এমন একটা পর্যায়ে এসেছি যে আশেপাশের মানুষকে অসুখী রেখে নিজে একলা সুখে থাকা আর সম্ভবপর হবে না। অর্থনীতি, সামাজিক কিংবা পরিবেশগত নিরাপত্তা সমুন্নত রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

কাজটি যদিও দুরূহ। বাংলাদেশের কথাই ধরুন না কেন। দেশের নিরাপত্তার ভাবনা আমাদের দেশের নেতৃত্ব কতটুকু ভাবিয়ে তুলে, কোন একটা বড় ইস্যুতেই কি আমাদের নেতৃত্ব কখনো কি একসুরে কথা বলতে পারে। একটি খবর শুনে অবাক হলাম। গ্রামীন ব্যংক এখন আমেরিকানদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে তাদেরকে আমেরিকান অর্থনীতির নাজুক অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে।

এক মহিলা বর্ননা করলে কিভাবে তিনি ১৫০০ ডলার গ্রামীন থেকে ধার নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন। ক্রিসমাসের জন্য গিফট বাসকেট জাতীয় কিছু একটা বিক্রি করে। চার বাচ্চার এই মা এখন নাকি অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হয়েছেন। বলা হচ্ছে গ্রামিনের এই মাইক্রো লোন অনেকের জীবনকে বদলে দিবে। জানিনা গ্রাম বাংলার মানুষদের মত তাকে বছরে ২৫ থেকে ৩০ পারসেন্ট সুদ গুনতে হবে কিনা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.