আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সনাতন ধর্ম (হিন্দু ) ও ইসলাম এর মধ্যে যোগ সম্পর্ক-১ (আদি গ্রন্হ সমূহ -শেষ)

"A little knowledge of science makes man an atheist, but an in-depth study of science makes him a believer in God." Francis Bacon.
বিশ্বনবীর আর্বিভাবের ১৪শত বছর অতিবাহিত হলেও আজ অবধি তার প্রতীক্ষায় রয়েছে আহলে কিতাবরা । সহস্র সহস্রাব্দব্যাপী পরিবর্তন ও ব্যাখ্যা অপব্যাখ্যার দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ঘূর্ণাবর্তে পড়ে সত্য উপলব্ধির এবং অনুধাবনের সব সূত্র তারা হারিয়ে ফেলেছে । কিন্তু আজ যুগের দাবি উচ্চকিত হয়ে উঠেছে । প্রত্যাশিত অবতার সর্বশেষ নবী ও তার দ্বীনকে বোঝানোর জন্য আহলে কিতাবদের গ্রন্হসমূহের চাপা-পড়া সূত্র সমূহ উদঘাটন করা জরুরী হয়ে পড়েছে । আল-কুরআনে দেখা যায়, শুধু আহলে কিতাবদেরকেই নয় মুসলমানদেরকেও বার বার পূর্ববর্তী কিতাবগুলির উপর ঈমান আনতে হুকুম দেওয়া হয়েছে ।

ইরশাদ হয়েছে-- "বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং সেই কিতাবের উপর যা আমাদের নিকটে নাযিল হয়েছে । আর নাযিল হয়েছে ইবরাহিম, ইসমাঈল, ইসহাক ও ইয়াকুব নবীগনের উপর এবং তদীয় বংশধরদের প্রতি। আর সেই সকল কিতাবের উপরও ঈমান এনেছি যা মূসা এবং ঈসা এর নাযিল হয়েছিল এবং ঐসব কিতাবের উপর ও ঈমান এনেছি যা অন্যান্য নবীগনের উপর তাদের রব এর কাছ থেকে নাযিল হয়েছিলো । আমরা কোন পার্থক্য করিনা তাদের কারও মধ্যে । আমরা তার (আল্লাহর) কাছে আত্নসর্মপনকারী ।

" (সূরা - বাকারা ১৩৬) । হিন্দু ধর্মীয় মতবাদ আজ পৃথিবীতে এমন এক মতবাদ হিসেবে প্রচলিত আছে, যার মূল শিক্ষা যে কি তা অজানার অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে । এ মতবাদের মূল শিক্ষা বা অঙ্গ শিক্ষা থেকে কিছুই সুষ্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়না । কেউ জানেনা , এ ধর্ম মতের শুরু কখন হয়েছে এবং কে ছিলেন তার পরিচালক ? বর্তমানে আমাদের নিকট হিন্দু ধর্মীয় মতবাদের যেসব সাহিত্য রয়েছে, গভীর অধ্যয়নকালে সেগুলির মধ্যে এমন কোন সুবিন্যস্ত সামন্জস্য খুজে পাইনা যাকে আমরা হিন্দুইজম নামে আখ্যা দিতে পারি । প্রচলিত হিন্দু ধর্মের মধ্যে ভিন্নতা ও পরিবর্তনশীল ধর্মীয় প্রবণতার দিকে তাকিয়ে ডাঃ রাধাকৃষ্ঞ এ ধর্মের মেজাজ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, " এ ধর্মের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বা সংমিশ্রণ প্রবণতা এত বেশী যে, এ ধর্ম জীবন-যাপন করার জন্য সমন্বিত কোন বাস্তব ব্যবস্হা দেয়না ।

এ ধর্ম শুধু আভিজাত্যের দম্ভভরা এক ইজারাদারী মনোভাব সৃষ্টি করে এবং সবাইকে তার পদানত করার চেষ্টা করে । " প্রত্যেক নবীর দ্বীন ছিল ইসলাম কিন্তু শরীয়ত বা আইন কানুন ছিল ভিন্ন । দ্বীন হচ্ছে বুনিয়াদী সকল বিশ্বাসের সমষ্টি আর শরীয়ত হলো দুনিয়ার জীবনে দ্বীনের আমল করার নিয়ম । রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দ্বীনের চেতনা লুপ্তপ্রায় যুগে অর্থাৎ মক্কী জিন্দেগীর প্রাথমিক অবস্হায় মক্কার মুশরিকদেরকে এই কথা বলে দাওয়াত দানের সূচনা করেছিলেন-- " আমি তোমদের নিকট কোন নতুন দ্বীন নিয়ে আসিনি, বরং ইবরাহীম (আঃ) এর সেই আসল দ্বীন তোমাদের সামনে পেশ করছি, যার অনুসারী হওয়ার দাবী তোমরা করে থাক । ' আহলে কিতাবদের নিকট দ্বীন ইসলামই পৌছেছিল কিন্তু পরবর্তীতে তারা কিতাবকে নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে বদলে ফেলেছিলো ।

এ কথা টি অন্যভাবে বলতে গিয়ে মহাগ্রন্হ আল-কুরআন বলছে- "সকল মানুষ একই জাতিসত্তার অন্তভুক্ত ছিল । অতঃপর আল্লাহ তা'আলা পয়গম্বর পাঠালেন সুসংবাদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে । আর তাদের সাথে অবতীর্ণ করলেন সত্য কিতাব, যাতে মানুষের মাঝে বিতর্কমূলক বিষয়ে মীমাংসা করতে পারেন । বস্তুত কিতাবের ব্যাপারে অন্য কেউ মতভেত করেনি; কিন্তু পরিষ্কার নির্দেশ এসে যাবার পর নিজেদের পারষ্পরিক জেদবশত তারাই করেছে, যারা কিতাব প্রাপ্ত হয়েছিলো ! অতঃপর আল্লাহ ঈমানদারদেরকে হিদায়েত করেছেন সেই সত্য বিষয়ে যে ব্যাপারে তারা সতভেদে লিপ্ত হয়েছিলো । আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সরল পথ বাৎলে দেন" (সূরা-বাকারা : ২১৩) চলবে........... তথ্য সূত্র---জগদগুরু মুহাম্মদ (সাঃ) , শায়খুল উবুদিয়া ইমাম সাইয়েদ মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ ইবনে আবদুহু আল-হোসাইনী ।

রেনেসাঁ পাবলিকেশন্স । ---মারেফূল কুরআন ।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.