আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সনাতন ধর্ম (হিন্দু ) ও ইসলাম এর মধ্যে যোগ সম্পর্ক-১ (আদি গ্রন্হ সমূহ -২)

"A little knowledge of science makes man an atheist, but an in-depth study of science makes him a believer in God." Francis Bacon.
বেদ গ্রন্হের সুহুফে উলা এবং যুবুরুল আউয়ালীন হওয়ার পক্ষে একটি জ্ঞানগত প্রমাণ এটাও যে, পূরাণ সহ হিন্দুদের অন্যান্য ধর্মীয় কিতাব সমূহে অনেক নবী (আঃ) এর উল্লেখ আছে । বেদগ্রন্হে নবীদের মধ্য হতে কেবল হযরত আদম (আঃ) এবং হযরত নূহ (আঃ) এর নাম পাওয়া যায় । কুরআন শরীফ সাক্ষী যে, হযরত আদম (আঃ) থেকে নিয়ে নবী করীম (সাঃ) পর্যন্ত প্রত্যেক নবী আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন । ইসলাম ধর্মকে দ্বীনে ফিতরাত বলা হয়েছে । যখনই কোন জাতি এ ফিতরাত দ্বীন থেকে সরে গেছে তখনই বাস্তব এবং সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন নাম নিয়ে বহু ভাগে বিভক্ত হয়ে আল্লাহমুখী মূল স্রোতধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ।

পরবর্তীতে নিজেদের ভ্রান্তির উপর গৈারব করে চলেছে । এ দলছুট গ্রুপসমূহ নিজেদেরকে খৃষ্টান বলতে থাকে, ইহুদী বলতে থাকে আর পূর্বের নবী-রাসূলের উম্মতেরা নিজেদের নাম হিন্দু, বৌদ্ধ, যরুথ্রুষ্ট ইত্যাদি রেখে দিয়েছে । এখন বাস্তব অবস্হা দাঁড়িয়েছে এই যে, হিন্দু অধিবাসীদের মধ্যে দ্রাবিড় জাতি নূহ (আঃ) এর কওম এবং আর্যরা হল ইবরাহীম (আঃ) এর উম্মত এবং বৌদ্ধ জাতি হযরত যুলফিকল (আঃ) (সূরা -আম্বিয়া ৮৫)অর্থাৎ গৌতম বুদ্ধের উম্মাত । গৌতম বু্দ্ধ ফিতরাতে দ্বীন থেকে সরে যাওয়া হিন্দুস্তানীদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন । তার দাওয়াত ছিলো মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে ।

কিন্তু কতবড় র্দুভাগ্য যে, আজ তারাই সবচেয়ে বেশী মূর্তি বানিয়ে নিয়েছে । ইতিবাচক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শয়তান সবসময় দ্বীনের নামে ধর্মহীন অপকর্মের দিকে সহজ সরল মানুষদের তাড়িয়ে নিয়ে যায় । মতলববাজ, কঠিন হৃদয়ের অধিকারী বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠির কায়েমী স্বার্থবাদী চক্র সত্যকে জনগণের দৃষ্টি থেকে আড়াল করার জন্য হরেক রকম অজুহাত খুজতে থাকে এবং মানুষকে পরষ্পরের ছিদ্রান্বেষণ করার জন্য উস্কানী দিতে থাকে । এই সাথে নতুন নতুন প্রথা এবং মনগড়া ধর্মীয় বিধি-নিষেধের প্রচলন ঘটায় । যেমন, কখনো বলা হয় যে, বেদ কেবল ব্রাক্ষণদের জন্যই সংরক্ষিত , যদি শুদ্র গণ কোনভাবে শুনেও ফেলে তবে তাদের কানের মধ্যে গলিত সীসা ঢেলে দেয়া হবে ।

কখনো আইন বানিয়ে দেয়া হয় যে, বেদের অমুক অমুক অধ্যায় খোদ ব্রাক্ষণও পড়তে পারবে না । এর অধিকার কেবল ঐ ব্রাক্ষণদের আছে যারা পুরোহিতরে আসনে অধিষ্ঠিত । হিন্দু প্রফেসর ডঃ বেদ প্রকাশের গ্রন্হ -'কল্কি অবতার ও মোহম্মদ সাহেব' একটি উদাহরণ । রহস্য উন্মোচন এবং সত্য উদঘাটনের সদিচ্ছা নিয়ে তিনি যখন বেদের মধ্যে তার অনুসন্ধানী মন নিবদ্ধ করেন তখনই তার সামনে সত্য উদ্ভাসিত হয়ে গেছে । তিনি অনুভব করেছেন এবং বুঝতে সক্ষম হয়েছেন, প্রকৃতপক্ষে সত্য দ্বীন এবং ফিতরাতের দ্বীন একটিই ।

আর আল্লাহ এক এবং আল্লাহর রাসূলগণ সবাই একই তাওহীদের পয়গাম নিয়ে এসেছেন । বেদসমূহে যে আখেরী 'পয়গম্বর' বা অবতারের উল্লেখ রয়েছে তা হলো প্রকৃতপক্ষে নবী করীম (সাঃ) । তিনি একদিকে বেদের মধ্যে উল্লিখিত 'কল্কি অবতার' এর বিশেষত্ব সামনে রেখেছেন অন্যদিকে সীরাতে তাইয়েবার উপর দৃষ্টি বুলিয়েছেন, এভাবে কলেমার অর্ন্তনিহিত তাৎপর্য তার কাছে দিবালোকের ন্যায় ষ্পষ্ট হয়ে গেছে । চলবে........... তথ্য সূত্র---জগদগুরু মুহাম্মদ (সাঃ) , শায়খুল উবুদিয়া ইমাম সাইয়েদ মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ ইবনে আবদুহু আল-হোসাইনী । রেনেসাঁ পাবলিকেশন্স ।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.