আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অস্তাচলের মরা ঈশ্বর তার কাছে কোন নালিশ নেই...

যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী কবি ও কেরানী প্রকাশ্য পথে হত্যার প্রতিশোধ চায়না আমি তাদের ঘৃণা করি
সবুট লাথিতে ভাঙ্গা পাঁজড়,থ্যাতলানো মুখ কষা বেয়ে রক্ত গড়ানো যে মানুষ মৃতপ্রায়, তারও একটি নালিশ ছিল,জানাল না সে মরা ঈশ্বর জাবদা খাতায় লিখতে পারে না। ও পাশে শোয়ানো আধখানা দেহ পা নেই হাত নেই ধুলোয় গড়িয়ে হাঁটে,শত মানুষের পদরেণু মেখে কষ্টেকল্পে মাথা তুলে হেঁকে অন্ন চায়।মরা ঈশ্বরের ভাড়ার খালি জোড়াতালি দেওয়া অন্নপ্রাসনে বরাদ্দ ছিল যা তাও নেই আজ মরা ঈশ্বরে। চার পুলিশের কামার্ত ক্ষুধা মেটায় যে সীমা সারা রাত ধরে তরল আগুন লেলিহান হয়ে জ্বালায় তাকে, মরা ঈশ্বর ভুলেও দেখেনি রমনীয় সেই ধর্ষণ,ঝুলে যাওয়া সীমা বাঁচার আকুতি লিখে রেখে গেছে মরা ঈশ্বরের ক্ষয়ে যাওয়া এক দেওয়ালে। ওই যে শিশুটি চাঁদপনা মুখ কি নির্বাক, ঠোঁটের কোনে হাজার কথারা জড়াজড়ি করে অতটুকু শিশু সারা গায়ে তার পেঁচানো কষ্ট আহা কি কষ্ট, সভ্যতার র‌্যাঁদা ছাল তুলেছে, হিংসা তাকে আদর করেছে,মোল্লা-পুরুত শাপ দিয়েছে, বিস্মিত চোখে কাকে দেখে সে? মরা ঈশ্বর আশে পাশে নেই,চাঁদপনা মুখ নির্বাক। গোলাপী প্রেম মৌ ভালবাসা চিবুকে আঁকা ছোট কালো তিল,তাও ছেড়ে যে ছেলে ফিরে গেছে আন্ধাগ্রামে,কালো রাত্রির কালো কালো দিনে দিন বদলের হাওয়া দিলে পরে সে-ও কি তবে হারিয়ে যায়? নাকি ডালে ঝুলন্ত মৃত দেহ হয়ে পেস্টার বুকে ব্যানার ঝোলানো মিছিল সমুখে আগুয়ান হয়? গোলাপী প্রেম ছোট কালো তিল নালিশ করে না, জানে মরা ঈশ্বর প্রেম বোঝে না। মাথার ভিতর স্বযত্নে বেড়ে ওঠা সেই যে শত্রু তিলে তিলে বাড়ে,কুরে কুরে খায়, অসহ্য ব্যথায় গোঙ্গানো মানুষ আশ্রয় খোঁজে নিস্তার খোঁজে, তারও সামনে ধূসর জমিন অনাবাদি ক্ষেত, বরাদ্দ আয়ূকে সামনে নিয়ে প্রেম ভালবাসা জড়াজড়ি করে আরো কিছু কাল বাঁচতে চায় মরা ঈশ্বর বোবা হয়ে থাকে কালা হয়ে থাকে সেই ঈশ্বরে তারও কোন নালিশ নেই। তোমাদের কারো হাতে যদি বেয়োনেট থাকে ঘৃণা থাকে অবহেলা থাকে তাহলে সে সব এক করে সপে দিও তাকে,মৃত্যু পথে ধাবমান যে সঞ্চয়ে তার প্রেম না ঘৃণা, চুমু না বেয়োনেট কি বা যায়-আসে তাতে? মৃত্যু পথে ধাবমান যে...... এই ঈশ্বর খারিজ করেছি,ঈশ্বরে কোন আস্থা নেই, আমার ঈশ্বর খুব কাছে থাকে হাতের নাগালে আমার যত নালিশ আর অভিমান অভিযোগ, সব টিনের বাক্সে গাদাগাদি করে আমি হেঁটে চলেছি ঈশ্বর খোঁজে পর্ণ কুটিরে। হাঁটুর ওপর তোলা শাড়ি নারী, আর উদোম গায়ে যে মানুষেরা,বোটকা গন্ধ,আঁশটে সময় তেল চিটচিটে শয়ন কক্ষ আমার জন্য সাঁজানো, সেখানে আমার নালিশ শুনতে হাজার মানুষ দাঁড়ানো।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।