আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কওমি মহিলা মাদ্রাসার অন্দরে… (৭)

kakpokhkhi@gmail.com

তেলা মাথায় তেল সবাই দেয়। তবে সে কথা তো হুজুরদের সাথে যাওয়ার কথা না। কেননা, ইসলাম বলে ধনী-গরিব সব সমান। কালো-সাদা সবই এক আল্লাহর সৃষ্টি। কিন্তু না।

যেহেতু এরা ইসলামকে ব্যব হার করে মাত্র , সেহেতু এরা টাকা ওয়ালাদের খুব ভক্ত। কথাটা খুব ন গ্ন ভাবে বললেও সত্য। যে সমস্ত ছাত্রী ধনি পরিবাবর থেকে এসেছে এবং বড় হুজুর বা বড় খালাম্মা/ বড় আপার মেয়ে বা বোন তাদের কে চট করে শিক্ষিক-শিক্ষিকারা তুই বলেনা, ধমক দেয়না। তাদের কাছ থেকে স হজে ওস্তাদগন সেবা চাননা ,আশাও করেননা। গুলশান ২নম্বরের ভাটারা মোড়ে এক মাদ্রাসায় (নাম মনে করতে পারছিনা) দেখলাম "স্পেশাল রুম" কিছু ছাত্রীর জন্য।

সেই ৪-৫জন ছাত্রীর একজন সেই মাদ্রাসার বড় আপার আত্বীয়া এবং বাকি সবাই ধনী পরিবারের মেয়ে। তারা আলাদা রুমে বেশী টাকা দিয়ে থাকছে। তারা সেখানে খাট ,চেয়ার-টেবিলও ব্যব হার করছে। যেখানে একটা হল রুমে শখানেক মেয়ে ,একেক জনের জন্য দেড় হাত বরাদ্দ করা যায়গায় গিজ গিজ করে রাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঘুমাচ্ছে , সেখানে মাত্র ২জন ছাত্রী একটা রুম শেয়ার করছে। শখানের জন্য ২-৩ টা টয়লেট এর ব্যবস্থা সেখানে স্পেশাল রুমে ২-৩ জন এটাচড বাথ ব্যব হার করছে।

তবে এ ব্যবস্থা অন্য কোন মাদ্রাসায় আছে কিনা এ মুহুর্তে বলতে পারছিনা। । বড় আপা / খালাম্মার বোন বা মেয়ে থাকলে তাদেরকেও ছাত্রীরা সমীহ করে চলে। অন্যায় হলেও কিছু বলার সাহস পায়না। সমস্যা হচ্ছে , বড় হুজুর কে বড় আপা/খালাম্মা ঠিক যেভাবে বলছে সেভাবেই বিচার হচ্ছে এবং সে রকমই ভেতরের অবস্থা সম্পর্কে সে জানছে।

সত্যি জানার বড় হুজুরের আর কোন ওয়ে নেই। তবে এরা যদি ইচ্ছে করে তাহলে হয়তো কওমি মাদ্রাসার ভেতরের অবস্থা গুলোর আসল অবস্থা জানতে পারে। আমি বলবোনা যে সব বড় আপা/খালম্মাই নিজেরদের মত করে ঘটনা বলে বড় হুজুরকে। তবে খুব বড় অংশই এই কাজ করে। কওমি মহিলা মাদ্রাসার সবচেয়ে বড় মাইনাস পয়েন্ট বড় হুজুরের বউ কে মাদ্রাসার ভেতরের দায়িত্ব দেয়া।

বড় আপা/বড় খালাম্মার মেয়ে বা বোনরা আরেক ধাপ আগানো। এসব বোন বা মেয়েরা যাদের কে পছন্দ করেননা, তাদের জীবন দোযখ বানিয়ে ছেড়ে দেয় তাদের মা/বোনের মাধ্যমে। এসব মাদ্রাসা মেয়ে দেখার জন্য দারুন যায়গা। প্রতি মাসেই কেউ না কেউ মেয়ে দেখতে আসে। ফ্যামিলি ভালো লাগলে যদি বড় খালাম্মা/ বড় আপার উপযুক্ত মেয়ে বা বোন থাকে তবে সন্দেহ নাই তাদেরকেই দেখানো হয়।

না থাকলে বা তাদের প্রোপোজাল পছন্দ না হলে পরে অন্যান্য মেয়েদের দেখানো হয়। যে মহিলা বা মহিলারা আসে মেয়ে দেখতে তারা সব রুম ঘুরে ঘুরে দেখে। মেয়ে পছন্দ হলে শিক্ষিকাদের সাথে যোগাযোগ করে এবং শিক্ষিকারা ছাত্রীর অভিবাবকদের সাথে যোগাযগ করিয়ে দেয়। শিক্ষিকারাও কোন কোন মেয়েকে তার ভাই/ছেলে/ কোন আত্বীয়র জন্য মনে মনে ঠিক করে রাখে। মজার ব্যপার হচ্ছে যে সমস্ত মেয়েরা খুব পর্দায় থাকে ভালো আমল করে তাদের কে শিক্ষিকারা পছন্দ করলেও তার ভাই/ছেলে/ আত্বীয়র জন্য পাত্রী পছন্দ করতে গিয়ে ৯৮% শিক্ষিকা ঠিকই সুন্দরী (তাদের মতে ফর্সা) এবং ধনী পরিবারের মেয়েকেই বেশী প্রায়োরটি দিয়ে থাকেন।

হোক না সে কম পর্দানশীলা অথবা কম আমলদার। (কারন, এরা পর্দার গুরুত্বের কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা উঠায় ফেলে)। বিয়ের পর পর্দায় করায় নেয়া যাবে। এখন দরকার হচ্ছে ফর্সা,নাদুস-নুদুস একটা কচিপুতুল । চলবে............।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.