আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিলাসিতাঃ আবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

সুন্দর স্বপ্ন ।

“শিক্ষা অধিকার, সুযোগ নয়” এমনটাই সবার কাম্য । কিন্তু বাস্তবে এদেশে তার ছিঁটেফোঁটাও নেই । ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে সংগতি রেখে বাস্তবতার নিরিখে এদেশে কখনোই কোন শিক্ষানীতি কিংবা অবকাঠামো গড়ে উঠেনি । আমলাতান্ত্রিক মারপ্যাঁচ আর অযোগ্য রাজনীতিবিদদের হঠকারিতায় স্বাধীনতা পরবর্তী ৩৭ বছরেও একটি সার্বজনীন শিক্ষানীতি হয়নি ।

যাও দু’একবার তা করার প্রয়াস চালানো হয়েছিল, তাও ছিল পক্ষপাতদুষ্ট, আংশিক । তার আবার অধিকাংশই অনেকটা প্রসব বেদনার পূর্বেই গর্ভপাত হয়েছে/ করতে হয়েছে কিংবা আঁতুড় ঘরেই পটল তুলেছে । সুশীল সমাজের কতিপয় বিবেকবান এ জন্য লেখালেখি করেছে, সোচ্চার হয়েছে প্রতিবাদে । কিন্তু তাতে কোন কাজের কাজ হয়নি; কারণ তাদের আওয়াজ ছিল ক্ষীণ,আর দল ছিল ছোট । ফলশ্রুতিতে এদেশীয় সুযোগ সন্ধানী বেনিয়ারা তাদের “শিক্ষা বাণিজ্য” সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে সুচতুরতার সাথে ।

আজ আমরা তাদেরই হাতে জিম্মি । তারই ধারাবাহিকতায় ‘শিক্ষার প্রসার নয়,সংকোচন নীতি’ বাস্তবায়নেও একদল পাঁয়তারায় লিপ্ত । কারণ এতে অর্থলোভী শিক্ষা বানিজ্যে লিপ্ত সিন্ডিকেট সদস্যদের পোয়াবারো । ফুলে ফেঁপে উঠছে তাদের ঘৃণ্য এ বাণিজ্য । আর এর ফাঁদে পা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষও ।

এরই ধারাবাহিকতা এদেশের একমাত্র আবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় “জাহাংগীরনগর”। বিলাসিতার অপর নাম । সুবিশাল ক্যাম্পাস আর পর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং প্রয়োজন অতিরিক্ত জনবল নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি চলছে তার মত করে । স্বায়ত্তশাসনের সর্বোচ্চ অপব্যবহার চলছে এখানে । দেখার কেউ নেই বললেই চলে ।

যারাও আছেন তারাওঃ অনেকের মতে, নানা প্রকার সুযোগ সুবিধা নিয়ে চুঁপটি মেরে মুখে কুলুপ এটে বসে আছেন । যেদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১টি আসনে ভর্তির জন্য প্রতিযোগিতা করে হাজার হাজার মেধাবী ছাত্র, সেদেশে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় মানেই বিলাসিতার চুড়ান্ত । বর্তমানে যত সংখ্যক ছাত্র রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে, সদিচ্ছা থাকলেই তার চেয়েও দ্বিগুন ছাত্র ভর্তি করা সম্ভব এখনই । কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না তথা কথিত জাতির বিবেক বলে পরিচিত তথা দাবিদার কতিপয় শিক্ষকের জন্যেই । কারন, এখানে স্বায়ত্তশাসনের জোরে তারাই দন্ডমুন্ডের হর্তাকর্তা ।

যদি এ বিশ্ববিদ্যালয়টি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিনত হয় তাহলে এসব মহান (!) শিক্ষকদের শান্তি বিনষ্ট হবে বহুবিধ উপায়ে । অর্থ বানিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে । বন্ধ হয়ে যাবে স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতা । তাই তারা সব ভেদাভেদ ভুলে জোটবদ্ধ এখানে । তাদের এ জোটবদ্ধতা ধ্বংশ করছে ভবিষ্যত মেধাবী প্রজন্মকে ।

জাতি ধাবিত হচ্ছে গভীর অন্ধকারে । সৃস্টি হচ্ছে অনভিপ্রেত সংকট । তাই, জাতিব বৃহত্তর স্বার্থে এখনই এর অবসান হওয়া উচিত । কতিপয় বিবেকহীন অর্থলোভী অবিবেচক ব্যক্তি স্বার্থের জন্য হাজার হাজার মেধাবী ছাত্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নষ্ট করার অধিকার কারো নেই । আসুন, আমরা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থকে বাস্তবায়নে জন্য সোচ্চার হই ।

যথাযথ কর্তৃপক্ষের শুভবুদ্ধি হোক ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।